ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম

অপূর্ব চৌধুরী, জবি প্রতিনিধিঃ 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান বাড়ি ভাড়া ও শিক্ষা সংকট নিরসনে ‘সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি’র দাবিকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের  ১৩১ জন শ্রেণী প্রতিনিধি। একইসাথে তারা দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭দিনের আল্টিমেটাম দেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা নানারূপ সংকটের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে। নানারূপ সুবিধা বঞ্চিত এই শিক্ষার্থীরা চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মেসভাড়া দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। বাড়িওয়ালাদের সাথে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামীতে ব্যাচেলর ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করবে।
চলমান বাসা ভাড়া ও আর্থিক সমস্যা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও সকল ব্যাচের সি.আরদের (শ্রেনী প্রতিনিধি) সম্মিলিত আলোচনা সভায় তারা ১৯ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও সমর্থন জানিয়ে এই দাবির পক্ষে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত সকল ব্যাচ মিলিয়ে সর্বমোট  ১৬ হাজার ৯১৭ জন শিক্ষার্থী আছেন। এদের প্রত্যেককে আগামী ৬ মাসে যদি ১৫০০ টাকা করে সম্পূরক শিক্ষা বৃত্তি দেয়া যায় তাহলে এর মোট পরিমান দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি শিক্ষার্থী ৬ মাসে ৯ হাজার টাকা করে পাবে। এই মহাসংকটে এই টাকাটা সম্পূরক শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে দেয়া হলে মেস ভাড়াসহ শিক্ষা সংকট দূর করা সম্ভব। এই দাবি পূরনে বিশ্ববিদ্যালয় বাস ভাড়া, ইন্টারনেট খরচ, বিদ্যুৎ বিল, আপ্যায়ন বিল, পহেলা বৈশাখ, মুজিব শতবর্ষ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ থেকে ও আসন্ন বাজেটে সম্পূরক অর্থ সহায়তা খাতে টাকা বরাদ্দ নিতে হবে।
তারা হুশিয়ারি করে বলেন, শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে সম্পূরক অর্থ সহায়তা বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এর মধ্যে সম্পূরক শিক্ষা বৃত্তির বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচীর দিকে যাবে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম

আপডেট টাইম ০২:৫৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
অপূর্ব চৌধুরী, জবি প্রতিনিধিঃ 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান বাড়ি ভাড়া ও শিক্ষা সংকট নিরসনে ‘সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি’র দাবিকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের  ১৩১ জন শ্রেণী প্রতিনিধি। একইসাথে তারা দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭দিনের আল্টিমেটাম দেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা নানারূপ সংকটের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে। নানারূপ সুবিধা বঞ্চিত এই শিক্ষার্থীরা চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মেসভাড়া দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। বাড়িওয়ালাদের সাথে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামীতে ব্যাচেলর ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করবে।
চলমান বাসা ভাড়া ও আর্থিক সমস্যা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও সকল ব্যাচের সি.আরদের (শ্রেনী প্রতিনিধি) সম্মিলিত আলোচনা সভায় তারা ১৯ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও সমর্থন জানিয়ে এই দাবির পক্ষে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত সকল ব্যাচ মিলিয়ে সর্বমোট  ১৬ হাজার ৯১৭ জন শিক্ষার্থী আছেন। এদের প্রত্যেককে আগামী ৬ মাসে যদি ১৫০০ টাকা করে সম্পূরক শিক্ষা বৃত্তি দেয়া যায় তাহলে এর মোট পরিমান দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি শিক্ষার্থী ৬ মাসে ৯ হাজার টাকা করে পাবে। এই মহাসংকটে এই টাকাটা সম্পূরক শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে দেয়া হলে মেস ভাড়াসহ শিক্ষা সংকট দূর করা সম্ভব। এই দাবি পূরনে বিশ্ববিদ্যালয় বাস ভাড়া, ইন্টারনেট খরচ, বিদ্যুৎ বিল, আপ্যায়ন বিল, পহেলা বৈশাখ, মুজিব শতবর্ষ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ থেকে ও আসন্ন বাজেটে সম্পূরক অর্থ সহায়তা খাতে টাকা বরাদ্দ নিতে হবে।
তারা হুশিয়ারি করে বলেন, শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে সম্পূরক অর্থ সহায়তা বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এর মধ্যে সম্পূরক শিক্ষা বৃত্তির বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচীর দিকে যাবে।