মোঃ মহিদুল ইসলাম, চৌগাছা(যশোর) যশোরের চৌগাছায় ৪২ বার নিজের রক্ত অন্যের জীবন বাঁচাতে দিয়ে আলোচিত হয়েছেন বিএম শফিকুজ্জামান রাজু নামের এক ছাত্রলীগ নেতা।
বিএম শফিকুজ্জামান রাজু চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজু উপজেলার হাজরাখানা গ্রামের সার্জেন্ট অবঃ এমদাদুল হক এর পুত্র বর্তমানে তিনি চৌগাছা বিশ্বাসপাড়া গ্রামে স্থায়িভাবে বসবাস করছেন।
ছাত্র জীবনে ভালোবাসা ও ভালো লাগার কারণে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে আসেন, খুব সাদা মনের মানুষ হিসাবে নেতা কর্মীর ভালোবাসা পেয়েছেন। সততা, দ্বায়িত্ববোধ ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের মতো এক গুরুপ্তপূণ্য পদের দ্বায়িত্ব পান।
তার নেতৃত্বে আজ চৌগাছা উপজেলার প্রায় ২৫ জন নেতা কর্মী সেচ্ছায় অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের রক্ত দান করছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সংগঠনটির প্রায় ২৫ জন সদস্য নিয়মিত রক্ত দান করে থাকে।
বেশ কয়েক বছর আগের কথা এই উপজেলার মানুষ জরুরী প্রয়োজনে সঠিক সময়ে রক্ত পেতে বেশ বেগ পেতে হতো। অনেক সময় দেখা যেত খুব জরুরী দুই ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন কিন্তু এক ব্যাগ রোগীর নিকট জনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে কিন্তু আর এক ব্যাগ রক্ত মিলছেনা, এমন হাজারো সমস্যায় উপজেলার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়তো।
জরুরী রক্তের জন্য সাধারণ মানুষের এমন হতাশা দেখে কয়েকজন ব্যক্তি একটি রক্তদান সংগঠন গড়ে তোলে কিন্তু কিছু দিন পরে আর সংগঠনটির দেখা মেলেনি।
তার কিছু দিন পরে চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম হুসাইন ও সাধারণ সম্পাদক বিএম শফিকুজ্জামানের একান্ত চেষ্ঠায় বেশ কিছু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মাধ্যমে চৌগাছায় আবারও চালু হয় সেচ্ছায় রক্তদান।
বর্তমানে ছাত্রলীগের প্রায় ২৫জন নেতা কর্মী চৌগাছা সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জরুরী রোগীদের সেচ্ছায় রক্তদান করছেন।
উল্লেখ্য, একটি সূত্রে জানা যায়, চৌগাছা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা নাইম দুইবার, চৌগাছা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা বি এম মেরাজ পাঁচবার, চৌগাছা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মামুন কবির দুইবার, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রিমন চারবার, পৌর ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ রহমান বিপুল এগারো বার, পৌর ছাত্রলীগ নেতা পাভেল চারবার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ দুইবার, ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ চারবার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হুসাইন বারোবার, সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা কর্মী ২ থেকে ৪২বার জরুরী প্রযোজনে সেচ্ছায় রক্তদান করেছেন।