ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

চৌগাছায় হাফেজ আরিফুল সুইসাইট নোট লিখে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে

(চৌগাছা, যশোর) যশোরের চৌগাছায় হাফেজ আরিফুল ইসলাম (২০) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার সময় তার আত্মহত্যার পিছনে কেউ দায়ী নয় বলে মোবাইলের একটি পেইজে সুইসাইট নোট লিখে গেছে। নিহত আরিফুল উপজেলার ফতেপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্ত’র ছেলে। গতকাল বুধবার (২৬ জুন) গভীর রাতে উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের মাশিলা গ্রামে আইসক্রিম কাঠির ফ্যাক্টরির পাশে একটি গাছে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ফ্যাক্টরির লোকজনের ধারণা। নিহতের পারিবারিক ও আত্মীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আরিফুল উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের মাঠচাকলা গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজি শেষ করে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। তারপর তার ছোট চাচা বিপুল হোসেনের আইসক্রিম কাঠির ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করে। ফ্যাক্টরিটি মাশিলা গ্রামে অবস্থিত। সেখানে আরিফুল কাজ করতো এবং থাকতো। গত রাত্রে অন্য দিনের মতো তাকে রাত্রের খাবার খেতে অন্যান্যরা ডাক দেয় কিন্তু সে কোনোমতেই খাবার খেতে যায় না। এরপর বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আরিফুলকে খাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করলে একপর্যায়ে পরে খাবে বলে ভাত বেড়ে রেখে দিতে বলে। যথারীতি সবাই রাত্রের ঘুম শেষে সকালে উঠে ফ্যাক্টরির পাশে গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখে। তাদের ধারণা আরিফুল আগে থেকে পরিকল্পনা করে গভীররাত্রে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ব্যাপারে তদন্তরত চৌগাছা থানার এস আই কওছার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার জন্য কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় আইনগত নিয়ম অনুসরণ করে লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া নিহতের বড় ভাই জুয়েল হোসেন কেঁদে কেঁদে বলেন, হাফেজি শেষ করার পরে ছোট ভাইটাকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনোমতেই আর পড়লো না। আমার ভাই হাফেজ হয়েও ভুল করে এই আত্মহত্যা করেছে। আমার ছোট ভাই মোবাইলে একটি পেইজ এডিট করে নিজেই লিখে গেছে যে, আমি নিজেই আত্মহত্যা করেছি, আমার আত্মহত্যার জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়। এই জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কারোর প্রতি অভিযোগ নেই। তবে তিনি সবার কাছে ভাইয়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন। নিহতের জানাযার নামাজ অনষ্ঠিতসহ দাফন হয় যহরবাদ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

চৌগাছায় হাফেজ আরিফুল সুইসাইট নোট লিখে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে

আপডেট টাইম ০৫:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯

(চৌগাছা, যশোর) যশোরের চৌগাছায় হাফেজ আরিফুল ইসলাম (২০) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার সময় তার আত্মহত্যার পিছনে কেউ দায়ী নয় বলে মোবাইলের একটি পেইজে সুইসাইট নোট লিখে গেছে। নিহত আরিফুল উপজেলার ফতেপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্ত’র ছেলে। গতকাল বুধবার (২৬ জুন) গভীর রাতে উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের মাশিলা গ্রামে আইসক্রিম কাঠির ফ্যাক্টরির পাশে একটি গাছে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ফ্যাক্টরির লোকজনের ধারণা। নিহতের পারিবারিক ও আত্মীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আরিফুল উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের মাঠচাকলা গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজি শেষ করে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। তারপর তার ছোট চাচা বিপুল হোসেনের আইসক্রিম কাঠির ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করে। ফ্যাক্টরিটি মাশিলা গ্রামে অবস্থিত। সেখানে আরিফুল কাজ করতো এবং থাকতো। গত রাত্রে অন্য দিনের মতো তাকে রাত্রের খাবার খেতে অন্যান্যরা ডাক দেয় কিন্তু সে কোনোমতেই খাবার খেতে যায় না। এরপর বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আরিফুলকে খাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করলে একপর্যায়ে পরে খাবে বলে ভাত বেড়ে রেখে দিতে বলে। যথারীতি সবাই রাত্রের ঘুম শেষে সকালে উঠে ফ্যাক্টরির পাশে গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখে। তাদের ধারণা আরিফুল আগে থেকে পরিকল্পনা করে গভীররাত্রে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ব্যাপারে তদন্তরত চৌগাছা থানার এস আই কওছার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার জন্য কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় আইনগত নিয়ম অনুসরণ করে লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া নিহতের বড় ভাই জুয়েল হোসেন কেঁদে কেঁদে বলেন, হাফেজি শেষ করার পরে ছোট ভাইটাকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনোমতেই আর পড়লো না। আমার ভাই হাফেজ হয়েও ভুল করে এই আত্মহত্যা করেছে। আমার ছোট ভাই মোবাইলে একটি পেইজ এডিট করে নিজেই লিখে গেছে যে, আমি নিজেই আত্মহত্যা করেছি, আমার আত্মহত্যার জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়। এই জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কারোর প্রতি অভিযোগ নেই। তবে তিনি সবার কাছে ভাইয়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন। নিহতের জানাযার নামাজ অনষ্ঠিতসহ দাফন হয় যহরবাদ।