ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

চৌগাছার মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য মূর্ত প্রতীক, দেশ পাহারায় জাগ্রত এক চেতনার নাম

(চৌগাছা যশোর) : যশোরের চৌগাছার মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য মূর্ত প্রতীক, দেশ পাহারায় জাগ্রত এক চেতনার নাম । ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য নির্মিত হয়েছে ছায়াছবি, নাটক, গল্প, কবিতা। সৃজনশীল চেতনায় তুলির আঁচড়ে উঠেছে চিত্রকর্ম। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বাংলা রচয়িত দেশত্ববোধক গানের ছন্দ সুরে প্রাণ অনুরণিত হয়। বিদগ্ধ ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিভিন্ন ভাস্কর্যে। গর্বিত হৃদয়ে গাঁথা রক্তঝরা লাল সবুজ পতাকার পরিচিতির কাজ দেখে-শুনে এমনকি পাঠ করে সাহসী হয়ে ওঠেন নতুন প্রজন্ম। তেমনি যুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে চিত্র ও ভাস্কর শিল্পী আতিয়ার রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যটি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে এক মূর্ত প্রতীক হয়ে দাড়িয়ে আছে। দেশ পাহারায় সদা জাগ্রত এক সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধা জানান দিচ্ছে, আমরা মরি নাই। আমরা তোমাদের চেতনায় জেগে আছি। আর বলছে..ওহে বন্ধু রক্তের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। তাই দেশকে তোমরা ভালোবাস। স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার চৌগাছার বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যটি সকলের দৃষ্টি কাড়ে। দৃষ্টিনন্দন এই ভাস্কর্যটি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে দাড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণ করে দেবার জন্যই এটি নির্মিত। বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতানের ছাত্র শিল্পী আতিয়ার রহমান এই ভাস্কর্যটি নির্মান করেন। শিল্পী আতিয়ার রহমান জানান, ২০০৮ সাল থেকে তার অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মানের জন্য শিল্প সত্ত্বা জাগ্রত হয়েছিল। প্রথমে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনার প্রতিফলন ঘটান সুনিপুন পেনসিলের স্ক্যাচে। সেই ভাস্কর্যের স্ক্যাচ নিয়ে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েছেন। বুঝিয়েছেন চৌগাছার রক্তঝরা মাটিতে নতুন প্রজন্মের জন্য ভাস্কর্যটি নির্মান করা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সহযোগিতার পরিবর্তে ভৎসনা আর অপমানিত হয়েছেন এই শিল্পী। ফলে নিজের কাছে দগ্ধ হয়েছেন বারংবার। এরপর ২০১০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মাটি খুঁড়ে ভাস্কর্য নির্মানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান ও সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাখাওয়াৎ হোসেন। প্রথম পর্যায় ভাস্কর্য নির্মানের জন্য শিল্পীর সাথে সাহসী ভূমিকা পালন করে চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাব। ফান্ড গঠনের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন লোকজনের নিকট গিয়ে টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু টাকা সংগ্রহ করার প্রয়াসটি থমকে যায়। কেননা ভাস্কর্য নির্মানের জন্য মোটা অংকের টাকা এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় শিল্পী আতিয়ার রহমানের এ কর্মকান্ড এগিয়ে নেবার জন্য সাবেক সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মরহুম মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ ২০১১ সালে টিআর ও কাবিখার প্রকল্পের বরাদ্দ দেন। এছাড়া জেলা পরিষদও সহযোগিতা করেন। ধীরেধীরে কয়েক বছরের মধ্যে ভাস্কর্যটির নির্মান কাজ শেষ করা হয়। শুধুমাত্র পানির ফোয়ারাটি এখনো নির্মান করা হয়নি। তারপরও জনগনের কথা চিন্তা করে এই ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বাজারের পথচারী পেটভরা গ্রামের আব্দুল গনি, সিংগঝুলী গ্রামের হাসানুর রহমান তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই ভাস্কর্যটি অনেক সুন্দর। এটি দেখলেই মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ে। চৌগাছাকে স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার বলা হয়। সেকারনে এই ভাস্কর্যটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এটি নিচেয় অনেকে পোস্টার ও প্রচারপত্র ঝুলিয়ে দেন। এটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে জনগনকে সচেতন হতে হবে। ভাস্কর্যটির সৌন্দর্য ধরে রাখা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ বিষয়ে শিল্পী আতিয়ার রহমান জানান, ভাস্কর্যটি নির্মান করতে ব্যায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ভাস্কর্যের বিষয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যটির উচ্চতা ত্রিশ ফুট। ভাস্কর্যটি তিন স্তরে ভাগ করা হয়েছে। মূলতঃ ত্রিভূজ আকৃতির চত্তর। বৃত্তাকার পানির ফোয়ারার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে ভাস্কর্যের মূল স্তম্ভ। প্রথম স্তরে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন, যুদ্ধে গণহত্যার পৈচাশিকতার চিত্র এবং পাকিস্থানীদের পরাজয় দৃশ্য-আত্ম সমার্পণ। দ্বিতীয় স্তরে সাতজন বীর শ্রেষ্ঠদের প্রতিকৃতি। শেষ স্তরে অর্থাৎ উপরে আছে অসংখ্য জনতার প্রতীক একজন দুঃসাহসিক মুক্তিযোদ্ধা। যার এক হাতে হুশিয়ারী উচ্চরণ করা দেশ প্রেমের রাইফেল, অন্যহাতে শান্তির প্রতীক পায়রা। ভাস্কর্যের নান্দনিকতা এবং নানাদিক নিয়ে তিনি আরো বলেন রক্তস্নাত গাঁথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধারা কখনো মরেনা। যুগেযুগে কালেকালে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের চেতনায় বেঁচে থাকবেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

চৌগাছার মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য মূর্ত প্রতীক, দেশ পাহারায় জাগ্রত এক চেতনার নাম

আপডেট টাইম ০৫:৩৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯

(চৌগাছা যশোর) : যশোরের চৌগাছার মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য মূর্ত প্রতীক, দেশ পাহারায় জাগ্রত এক চেতনার নাম । ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য নির্মিত হয়েছে ছায়াছবি, নাটক, গল্প, কবিতা। সৃজনশীল চেতনায় তুলির আঁচড়ে উঠেছে চিত্রকর্ম। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বাংলা রচয়িত দেশত্ববোধক গানের ছন্দ সুরে প্রাণ অনুরণিত হয়। বিদগ্ধ ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিভিন্ন ভাস্কর্যে। গর্বিত হৃদয়ে গাঁথা রক্তঝরা লাল সবুজ পতাকার পরিচিতির কাজ দেখে-শুনে এমনকি পাঠ করে সাহসী হয়ে ওঠেন নতুন প্রজন্ম। তেমনি যুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে চিত্র ও ভাস্কর শিল্পী আতিয়ার রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যটি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে এক মূর্ত প্রতীক হয়ে দাড়িয়ে আছে। দেশ পাহারায় সদা জাগ্রত এক সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধা জানান দিচ্ছে, আমরা মরি নাই। আমরা তোমাদের চেতনায় জেগে আছি। আর বলছে..ওহে বন্ধু রক্তের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। তাই দেশকে তোমরা ভালোবাস। স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার চৌগাছার বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যটি সকলের দৃষ্টি কাড়ে। দৃষ্টিনন্দন এই ভাস্কর্যটি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে দাড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণ করে দেবার জন্যই এটি নির্মিত। বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতানের ছাত্র শিল্পী আতিয়ার রহমান এই ভাস্কর্যটি নির্মান করেন। শিল্পী আতিয়ার রহমান জানান, ২০০৮ সাল থেকে তার অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মানের জন্য শিল্প সত্ত্বা জাগ্রত হয়েছিল। প্রথমে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনার প্রতিফলন ঘটান সুনিপুন পেনসিলের স্ক্যাচে। সেই ভাস্কর্যের স্ক্যাচ নিয়ে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েছেন। বুঝিয়েছেন চৌগাছার রক্তঝরা মাটিতে নতুন প্রজন্মের জন্য ভাস্কর্যটি নির্মান করা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সহযোগিতার পরিবর্তে ভৎসনা আর অপমানিত হয়েছেন এই শিল্পী। ফলে নিজের কাছে দগ্ধ হয়েছেন বারংবার। এরপর ২০১০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মাটি খুঁড়ে ভাস্কর্য নির্মানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান ও সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাখাওয়াৎ হোসেন। প্রথম পর্যায় ভাস্কর্য নির্মানের জন্য শিল্পীর সাথে সাহসী ভূমিকা পালন করে চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাব। ফান্ড গঠনের লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন লোকজনের নিকট গিয়ে টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু টাকা সংগ্রহ করার প্রয়াসটি থমকে যায়। কেননা ভাস্কর্য নির্মানের জন্য মোটা অংকের টাকা এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় শিল্পী আতিয়ার রহমানের এ কর্মকান্ড এগিয়ে নেবার জন্য সাবেক সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মরহুম মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ ২০১১ সালে টিআর ও কাবিখার প্রকল্পের বরাদ্দ দেন। এছাড়া জেলা পরিষদও সহযোগিতা করেন। ধীরেধীরে কয়েক বছরের মধ্যে ভাস্কর্যটির নির্মান কাজ শেষ করা হয়। শুধুমাত্র পানির ফোয়ারাটি এখনো নির্মান করা হয়নি। তারপরও জনগনের কথা চিন্তা করে এই ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বাজারের পথচারী পেটভরা গ্রামের আব্দুল গনি, সিংগঝুলী গ্রামের হাসানুর রহমান তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই ভাস্কর্যটি অনেক সুন্দর। এটি দেখলেই মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ে। চৌগাছাকে স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার বলা হয়। সেকারনে এই ভাস্কর্যটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এটি নিচেয় অনেকে পোস্টার ও প্রচারপত্র ঝুলিয়ে দেন। এটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে জনগনকে সচেতন হতে হবে। ভাস্কর্যটির সৌন্দর্য ধরে রাখা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ বিষয়ে শিল্পী আতিয়ার রহমান জানান, ভাস্কর্যটি নির্মান করতে ব্যায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ভাস্কর্যের বিষয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যটির উচ্চতা ত্রিশ ফুট। ভাস্কর্যটি তিন স্তরে ভাগ করা হয়েছে। মূলতঃ ত্রিভূজ আকৃতির চত্তর। বৃত্তাকার পানির ফোয়ারার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে ভাস্কর্যের মূল স্তম্ভ। প্রথম স্তরে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন, যুদ্ধে গণহত্যার পৈচাশিকতার চিত্র এবং পাকিস্থানীদের পরাজয় দৃশ্য-আত্ম সমার্পণ। দ্বিতীয় স্তরে সাতজন বীর শ্রেষ্ঠদের প্রতিকৃতি। শেষ স্তরে অর্থাৎ উপরে আছে অসংখ্য জনতার প্রতীক একজন দুঃসাহসিক মুক্তিযোদ্ধা। যার এক হাতে হুশিয়ারী উচ্চরণ করা দেশ প্রেমের রাইফেল, অন্যহাতে শান্তির প্রতীক পায়রা। ভাস্কর্যের নান্দনিকতা এবং নানাদিক নিয়ে তিনি আরো বলেন রক্তস্নাত গাঁথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধারা কখনো মরেনা। যুগেযুগে কালেকালে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের চেতনায় বেঁচে থাকবেন।