ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চৌগাছার কৃষকরা ইরি-বরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে

মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা থেকে) : যশোরের চৌগাছা সিমান্তবর্তী উপজেলা ধানের জন্য সারা জেলা জুড়ে বিরাট সুনাম আছে। চৌগাছার কৃষকরা ইতি মধ্যে ইরি-বরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে। অত্র উপজেলাটি ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিয়ে গঠিত, নারায়ণপুর, চৌগাছা, ফুলসারা, পাশাপোল, হাকিমপুর, ধুলিয়ানি, স্বরুপদাহ, সিংহঝুলি,সুখপুকরিয়া,জগীদেশপুর, পাতিবিলা সহ চৌগাছা পৌরসভার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় মাঠ জুড়ে সোনালী আর ধান। কিছু কিছু ধান আগেই কাটা হয়েগেছে। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় ইতিমধ্যই উপজেলার বেশ কিছু মাঠে শুরু হয়েছে প্রধান ফসল আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে ও কোন প্রকারের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দিলে এবার ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। ধানের ফুল ফোটার সময় হঠাৎ করে শিলা বৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়, তারপরেও বিগত সময়ের চাইতে এবার ধানের রেকর্ড পরিমান ফলন ভাল হবে। অন্য সব ফসলের তুলনায় ধানের খরচ ও কিন্তু অনেক বেশি, পানির দাম,সারের দাম, জনের দাম, জমি লিজের টাকা দিয়ে শেষ পর্যায়ে কৃষকের হাতে তেমন আর টাকা থাকেনা। উপজেলার একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার সকল প্রতিকুল কাটিয়েও ফলন অনেক ভালো হয়েছে আশা করছি ইরি বরো ধান অনেক লাভবান হবে স্থানিয় কৃষকরা। চৌগাছা উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে,চৌগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জমিতে পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় সচেষ্ট হতে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরো চাষে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত ধানের বাজার ভালো থাকলে কৃষকরা বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে লাভবান হতে পারবেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

চৌগাছার কৃষকরা ইরি-বরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে

আপডেট টাইম ০৬:২৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

মোঃ মহিদুল ইসলাম (চৌগাছা থেকে) : যশোরের চৌগাছা সিমান্তবর্তী উপজেলা ধানের জন্য সারা জেলা জুড়ে বিরাট সুনাম আছে। চৌগাছার কৃষকরা ইতি মধ্যে ইরি-বরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে। অত্র উপজেলাটি ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিয়ে গঠিত, নারায়ণপুর, চৌগাছা, ফুলসারা, পাশাপোল, হাকিমপুর, ধুলিয়ানি, স্বরুপদাহ, সিংহঝুলি,সুখপুকরিয়া,জগীদেশপুর, পাতিবিলা সহ চৌগাছা পৌরসভার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় মাঠ জুড়ে সোনালী আর ধান। কিছু কিছু ধান আগেই কাটা হয়েগেছে। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় ইতিমধ্যই উপজেলার বেশ কিছু মাঠে শুরু হয়েছে প্রধান ফসল আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে ও কোন প্রকারের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দিলে এবার ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। ধানের ফুল ফোটার সময় হঠাৎ করে শিলা বৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়, তারপরেও বিগত সময়ের চাইতে এবার ধানের রেকর্ড পরিমান ফলন ভাল হবে। অন্য সব ফসলের তুলনায় ধানের খরচ ও কিন্তু অনেক বেশি, পানির দাম,সারের দাম, জনের দাম, জমি লিজের টাকা দিয়ে শেষ পর্যায়ে কৃষকের হাতে তেমন আর টাকা থাকেনা। উপজেলার একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার সকল প্রতিকুল কাটিয়েও ফলন অনেক ভালো হয়েছে আশা করছি ইরি বরো ধান অনেক লাভবান হবে স্থানিয় কৃষকরা। চৌগাছা উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে,চৌগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জমিতে পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় সচেষ্ট হতে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরো চাষে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত ধানের বাজার ভালো থাকলে কৃষকরা বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে লাভবান হতে পারবেন।