নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ‘ঘাতক’ আব্বাস (৩২)। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মিল্টন হোসেনের আদালত এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আরো পড়ুন : হাতিরঝিলে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ
ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। দুই কণ্যাসহ নিহত নাজনিনের স্বামী সুমন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সুমনের ভায়রা ঘাতক আব্বাসকে (৩২) একমাত্র আসামী করা হয়। মামলা নং -৪৯। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্যালিকা ও তার দুই কন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে দুলাভাই আব্বাস। এ সময় নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকেও কুপিয়ে জখম করে রেখে যায়। নিহতরা হলো- মা নাজনীন (২৮), শিশু কন্যা নুসরাত (৮), খাদিজা (২)। নাজনীন সিআইখোলা এলাকার বাসিন্দা সুমনের স্ত্রী। সুমন সানারপাড় জোনাকি পেট্রোল পাম্পে চাকুরি করেন।
এ ঘটনায় আব্বাসের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়া (১৫) ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরে ঘটনার দিনই বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরের কমিউনিটি সেন্টারে খানসামার কাজ করা অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত র্কর্মর্র্কর্তা (ওসি) কামরুল ফারুকের নেতৃৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ আব্বাসকে আটক বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন। পরে ওই রাতেই আব্বাসকে একমাত্র আসামী করে নিহত নাজনীনের স্বামী সুমন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে দায়ের করা মামলায় আটক সুমনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে সেখানে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মিল্টন হোসেনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন।