আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জেঁকে বসছে শীত। সোমবার সকাল থেকেই সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশে মেঘ থাকায় বৃষ্টির ছোয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পিথাই এর প্রভাবে উত্তর কোণ থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস শীতের মাত্রা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে জেঁকে বসেছে শীত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবখানে।
এখানে এবার অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মেই শীত নেমেছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মিলেছে শীতের আমেজ। কিন্তু যে হারে শীত পড়ার কথা ছিল, সেভাবে অনুভূত হয়নি। তবে পৌষের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও আকাশে মেঘ থাকায় বাতাসের সাথে সাথে ভোরে ও রাতে কনকনে ঠান্ডা পড়ছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, তাপমাত্রা খুব একটা নামেনি। তবে ঘূর্ণিঝড় পিথাই এর প্রভাবে আকাশে মেঘ থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবে¶ণাগারের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার শীত বেশি অনুভূত হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আকাশে মেঘ রয়েছে তাই মনে হচ্ছে শীত পড়ছে। অনেকেই মনে করছেন তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত কারণ হচ্ছে মেঘলা আকাশ।
মেঘ কাটলে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন এর চেয়েও বেশি শীত অনুভূত হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ২টি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন তাপমাত্রাও অনেক কমে আসবে বলেও তিনি জানান। সোমবার দিবাগত রাত ১ টা ৪৫ মিনিটে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। সন্ধার থেকে রাতে বৃষ্টির গতিও বেশি দেখা গেছে।