ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন আর নেই

ফাইল ছবি

বিনোদন ডেস্ক :  বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের গুণী পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী আমজাদ হোসেন আর নেই। ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে তার পরিবার সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। তখন তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিউরো সার্জন ডা. টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রের এই গুণী নির্মাতার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে প্রখ্যাত এ চিত্রপরিচালকের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪২ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। এরপর ২৭ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আমজাদ হোসেনকে ব্যাংককের বামরুগ্রাদ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি।

আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, জামালপুরে। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন।

এভাবেই দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নাম ‘জুলেখা’। তার পরিচালিত ব্যাপক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

১৯৮১ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত পালন করেন আমজাদ হোসেন। গুণী এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন আর নেই

আপডেট টাইম ১২:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বিনোদন ডেস্ক :  বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের গুণী পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী আমজাদ হোসেন আর নেই। ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে তার পরিবার সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। তখন তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিউরো সার্জন ডা. টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রের এই গুণী নির্মাতার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে প্রখ্যাত এ চিত্রপরিচালকের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪২ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। এরপর ২৭ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আমজাদ হোসেনকে ব্যাংককের বামরুগ্রাদ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি।

আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, জামালপুরে। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন।

এভাবেই দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নাম ‘জুলেখা’। তার পরিচালিত ব্যাপক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

১৯৮১ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত পালন করেন আমজাদ হোসেন। গুণী এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।