ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও আমন ধান চাষে ব্যস্তসময় পার করছে চৌগাছার চাষিরা

মোঃ মহিদুল ইসলাস, চৌগাছা(যশোর) যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজারো চাষিরা চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও চলতি আমন ধান চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজারো কৃষকরা ইতি মধ্যে আমন ধান চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

উপজেলার  অনেক কৃষকরা বৃষ্টির পানির ভরসা না করে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপন করেছেন। ফলে একদিকে বাড়ছে ধানের বাড়তি খরচ,  অন্যদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।

বিগত কয়েক শত বছরের হিসাব অনুসারে  আগের সময়ে সাধারণ কৃষকেরা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে জমি চাষ করতো,  বর্তমানে আবহাওয়া ভালো না থাকায় সেটা সম্ভাব হয়নি। আষাঢ় মাস চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি,  মাঝে মাঝে হালকা একটু বৃষ্টির দেখা মেলে। যা ধান চাষের জন্য উপযুক্ত নয়।

চৌগাছা উপজেলার কৃষি অফিসে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, এ বছর অত্র উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ ৫০০ হেক্টর বিঘা জমি, কিন্তু বৃষ্টি না হবার কারণে এখনও অনেক জমি ধান রোপনের উপযুক্ত করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, গতবার একই পরিমাণ জমিতে ধান চাষের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ  করা হয়েছিল কিন্তু এবার কম বেশি হতে পারে।

বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা তৈরি করলেও পানির অভাবে রোপন করতে পারছেন না এ অঞ্চালের কৃষকরা,  ফলে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা।

সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করতে কৃষকের পকেট থেকে খরচ হচ্ছে বাড়তি টাকা, এমনিতেই গত বোর ধান চাষ করে উপজেলার অনেক চাষিই ধান বিক্রয় করতে পারেনি।  অনেকে আবার ধান বিক্রয় করতে পেলেও তিন চার মাস আড়ৎদার থেকে ধানের টাকা আদায় করতে পারেনি। ঘনঘন ধানের দাম কমে যাবার ফলে এক প্রকার ধান কেনা বেচা কমেই গেছে।

একে তো ধান উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি তার পরেও তুলনা মূলক ধানের দাম কম থাকায় সাধারণ কৃষকদের এবার ধান চাষে আগ্রহ অনেক কম।

উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের গরিবপুর গ্রামের সন্তোষ সাহার ছেলে পোল্লাদ সাহা এ প্রতিবেদকে জানান, পানির অভাবে তিন বিঘা জমির মধ্যে এক বিঘা জমির ধান ও চাষ করতে পারিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও আমন ধান চাষে ব্যস্তসময় পার করছে চৌগাছার চাষিরা

আপডেট টাইম ০৬:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
মোঃ মহিদুল ইসলাস, চৌগাছা(যশোর) যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজারো চাষিরা চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও চলতি আমন ধান চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজারো কৃষকরা ইতি মধ্যে আমন ধান চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

উপজেলার  অনেক কৃষকরা বৃষ্টির পানির ভরসা না করে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপন করেছেন। ফলে একদিকে বাড়ছে ধানের বাড়তি খরচ,  অন্যদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।

বিগত কয়েক শত বছরের হিসাব অনুসারে  আগের সময়ে সাধারণ কৃষকেরা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে জমি চাষ করতো,  বর্তমানে আবহাওয়া ভালো না থাকায় সেটা সম্ভাব হয়নি। আষাঢ় মাস চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি,  মাঝে মাঝে হালকা একটু বৃষ্টির দেখা মেলে। যা ধান চাষের জন্য উপযুক্ত নয়।

চৌগাছা উপজেলার কৃষি অফিসে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, এ বছর অত্র উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ ৫০০ হেক্টর বিঘা জমি, কিন্তু বৃষ্টি না হবার কারণে এখনও অনেক জমি ধান রোপনের উপযুক্ত করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, গতবার একই পরিমাণ জমিতে ধান চাষের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ  করা হয়েছিল কিন্তু এবার কম বেশি হতে পারে।

বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা তৈরি করলেও পানির অভাবে রোপন করতে পারছেন না এ অঞ্চালের কৃষকরা,  ফলে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা।

সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করতে কৃষকের পকেট থেকে খরচ হচ্ছে বাড়তি টাকা, এমনিতেই গত বোর ধান চাষ করে উপজেলার অনেক চাষিই ধান বিক্রয় করতে পারেনি।  অনেকে আবার ধান বিক্রয় করতে পেলেও তিন চার মাস আড়ৎদার থেকে ধানের টাকা আদায় করতে পারেনি। ঘনঘন ধানের দাম কমে যাবার ফলে এক প্রকার ধান কেনা বেচা কমেই গেছে।

একে তো ধান উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি তার পরেও তুলনা মূলক ধানের দাম কম থাকায় সাধারণ কৃষকদের এবার ধান চাষে আগ্রহ অনেক কম।

উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের গরিবপুর গ্রামের সন্তোষ সাহার ছেলে পোল্লাদ সাহা এ প্রতিবেদকে জানান, পানির অভাবে তিন বিঘা জমির মধ্যে এক বিঘা জমির ধান ও চাষ করতে পারিনি।