উপজেলার অনেক কৃষকরা বৃষ্টির পানির ভরসা না করে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপন করেছেন। ফলে একদিকে বাড়ছে ধানের বাড়তি খরচ, অন্যদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।
বিগত কয়েক শত বছরের হিসাব অনুসারে আগের সময়ে সাধারণ কৃষকেরা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে জমি চাষ করতো, বর্তমানে আবহাওয়া ভালো না থাকায় সেটা সম্ভাব হয়নি। আষাঢ় মাস চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি, মাঝে মাঝে হালকা একটু বৃষ্টির দেখা মেলে। যা ধান চাষের জন্য উপযুক্ত নয়।
চৌগাছা উপজেলার কৃষি অফিসে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, এ বছর অত্র উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ ৫০০ হেক্টর বিঘা জমি, কিন্তু বৃষ্টি না হবার কারণে এখনও অনেক জমি ধান রোপনের উপযুক্ত করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, গতবার একই পরিমাণ জমিতে ধান চাষের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল কিন্তু এবার কম বেশি হতে পারে।
বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা তৈরি করলেও পানির অভাবে রোপন করতে পারছেন না এ অঞ্চালের কৃষকরা, ফলে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা।
সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করতে কৃষকের পকেট থেকে খরচ হচ্ছে বাড়তি টাকা, এমনিতেই গত বোর ধান চাষ করে উপজেলার অনেক চাষিই ধান বিক্রয় করতে পারেনি। অনেকে আবার ধান বিক্রয় করতে পেলেও তিন চার মাস আড়ৎদার থেকে ধানের টাকা আদায় করতে পারেনি। ঘনঘন ধানের দাম কমে যাবার ফলে এক প্রকার ধান কেনা বেচা কমেই গেছে।
একে তো ধান উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি তার পরেও তুলনা মূলক ধানের দাম কম থাকায় সাধারণ কৃষকদের এবার ধান চাষে আগ্রহ অনেক কম।
উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের গরিবপুর গ্রামের সন্তোষ সাহার ছেলে পোল্লাদ সাহা এ প্রতিবেদকে জানান, পানির অভাবে তিন বিঘা জমির মধ্যে এক বিঘা জমির ধান ও চাষ করতে পারিনি।