ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

চন্দনাইশে সুচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ

চন্দনাইশ উপজেলা শুচিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিকলু দাশ গুপ্তের অনৈতিক, ঔদ্ধত্বপূর্ণ, অশিক্ষক সুলভ আচরণ, বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী। গত ১ নভেম্বর সকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধনে সভাপত্বি করেন প্রাত্তন ছাত্র-ছাত্রী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তৃষিত চৌধুরী। মানববন্ধনে আলোচনায় অংশ নেন পলাশ দাশ, মৃধুল বৈদ্য, সঞ্চয় ভট্টাচার্য্য, প্রিয়ব্রত চৌধুরী, রুপন বিশ্বাস, বসুপ্রিয় তালুকদার, পুষ্পেন বড়ুয়া, শিমুল বিশ্বাস, টিংকু শীল প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক টিকলু দাশ গুপ্ত অনৈতিক, উদ্ধ্যত্বপূর্ণ, অশিক্ষক সুলভ আচরণ, বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি ও ইউনিক আইডি বাবদ মোটা অংকের টাকা আদায়, উপবৃত্তির জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে অবিলম্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রধান শিক্ষক টিকলু কুমার দাশ গুপ্ত বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের একাউন্টে সরাসরি জমা হয়। ১৯৪০ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর অনেকে প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদও ছিল। তখন থেকে ফটোকপি অনেকেই সংগ্রহ করতে পারেন। তবে তিনি কাউকে বিদ্যালয়ের কাগজ দেননি বলে জানান। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে রশিদ ছাড়া টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি গত ১ নভেম্বর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরোধে বিদ্যালয়ে যাননি এবং তিনি তৃষিত চৌধুরী, কিশোর চৌধুরী, বিপ্লব চৌধুরীকে বিবাদী করে চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। প্রয়োজনে তিনি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শুভাগত চৌধুরী বলেছেন, স্থানীয় পলাশ চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের পদ চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী উভয় পক্ষকে প্রধান শিক্ষকসহ উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেন। ওইদিন সকালে শিক্ষাবোর্ডে তার দপ্তরে গেলে প্রধান শিক্ষকের সাথে অপর পক্ষের কথা কাটাকাটি ও হুমকি দেয়া হয় বলে তিনি জানতে পারেন। একইদিন বিকেলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পাপিয়া চৌধুরীকেও হুমকি দেয় ওই সকল দৃষ্কৃতিকারীরা। তারা বিদ্যালয়ের পিয়ন থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিঘটিত করার চেষ্টা করেন। তবে তারা কোন পক্ষই এব্যাপারে তাকে লিখিত বা মোখিকভাবে অবহিত করেননি। এদিকে গতকাল বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেছেন, যারা মানববন্ধন করেছেন তাদের অভিযোগের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ নিয়ে তার দপ্তরে জমা দেয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু এ ধরনের কোন কাগজপত্র বা কোন তথ্য এমনকি অভিযোগও তার কাছে দেয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রধান শিক্ষককে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

চন্দনাইশে সুচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপডেট টাইম ০৫:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ

চন্দনাইশ উপজেলা শুচিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিকলু দাশ গুপ্তের অনৈতিক, ঔদ্ধত্বপূর্ণ, অশিক্ষক সুলভ আচরণ, বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী। গত ১ নভেম্বর সকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধনে সভাপত্বি করেন প্রাত্তন ছাত্র-ছাত্রী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তৃষিত চৌধুরী। মানববন্ধনে আলোচনায় অংশ নেন পলাশ দাশ, মৃধুল বৈদ্য, সঞ্চয় ভট্টাচার্য্য, প্রিয়ব্রত চৌধুরী, রুপন বিশ্বাস, বসুপ্রিয় তালুকদার, পুষ্পেন বড়ুয়া, শিমুল বিশ্বাস, টিংকু শীল প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক টিকলু দাশ গুপ্ত অনৈতিক, উদ্ধ্যত্বপূর্ণ, অশিক্ষক সুলভ আচরণ, বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি ও ইউনিক আইডি বাবদ মোটা অংকের টাকা আদায়, উপবৃত্তির জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে অবিলম্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রধান শিক্ষক টিকলু কুমার দাশ গুপ্ত বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের একাউন্টে সরাসরি জমা হয়। ১৯৪০ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর অনেকে প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদও ছিল। তখন থেকে ফটোকপি অনেকেই সংগ্রহ করতে পারেন। তবে তিনি কাউকে বিদ্যালয়ের কাগজ দেননি বলে জানান। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে রশিদ ছাড়া টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি গত ১ নভেম্বর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরোধে বিদ্যালয়ে যাননি এবং তিনি তৃষিত চৌধুরী, কিশোর চৌধুরী, বিপ্লব চৌধুরীকে বিবাদী করে চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। প্রয়োজনে তিনি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শুভাগত চৌধুরী বলেছেন, স্থানীয় পলাশ চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের পদ চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী উভয় পক্ষকে প্রধান শিক্ষকসহ উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেন। ওইদিন সকালে শিক্ষাবোর্ডে তার দপ্তরে গেলে প্রধান শিক্ষকের সাথে অপর পক্ষের কথা কাটাকাটি ও হুমকি দেয়া হয় বলে তিনি জানতে পারেন। একইদিন বিকেলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পাপিয়া চৌধুরীকেও হুমকি দেয় ওই সকল দৃষ্কৃতিকারীরা। তারা বিদ্যালয়ের পিয়ন থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিঘটিত করার চেষ্টা করেন। তবে তারা কোন পক্ষই এব্যাপারে তাকে লিখিত বা মোখিকভাবে অবহিত করেননি। এদিকে গতকাল বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেছেন, যারা মানববন্ধন করেছেন তাদের অভিযোগের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ নিয়ে তার দপ্তরে জমা দেয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু এ ধরনের কোন কাগজপত্র বা কোন তথ্য এমনকি অভিযোগও তার কাছে দেয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রধান শিক্ষককে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান।