ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বশর ভূঁইয়া পরিষদের ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আশারুল শেখ এবং তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস শেখ ও খায়রুল শেখ’কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় মাস্টার প্ল্যান প্রনয়নে কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী

ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান প্রনয়নে কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় মেয়র
মাস্টার প্ল্যানের আলোকে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে
চট্টগ্রাম-২৮ ডিসেম্বর’২০২২খ্রি.
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ২০২০ থেকে ৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন পরিকল্পনায় বন্দর নগরীকে বাণিজ্যিক নগরী এবং পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু পরিকল্পনা গ্রহণ করলে হবে না, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে আন্তরিক হতে হবে। মাস্টার প্ল্যান এর মধ্যে সিএসআরএস জরিপ অনুযায়ী সমস্ত বিলুপ্ত খাল গুলো উদ্ধারের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সিডিএ’র যে কোনো প্ল্যান অনুমোদনে চসিকের সংশ্লিষ্টতা থাকার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই অপরিকল্পিত নগরায়নের সৃষ্টি হবে না। মাস্টার প্ল্যান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অংশ হিসেবে কাজ করবে এবং সকল বৈষম্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পেশাজীবী প্রতিনিধি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি যারা এলাকার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাদের সাথে বৈঠক করে ধারনা নিতে হবে।
তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের রিটেনিং ওয়াল করতে গিয়ে পানি চলাচলে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে যার ফলশ্রতিতে শুষ্ক মৌসুমেও বাকলিয়া, চাদগাঁও এলাকায় ঘরবাড়ির উঠোন ও রাস্তাঘাট ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে তার প্রতি লক্ষ্য রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতিগতভাবে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, সমতল ভূমি বিস্তৃত এক অনন্য সুন্দর নগরী। পাহাড় কেটে বৃক্ষ নিধন করে এই সৌন্দর্যের হানি ঘটানো হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিষয়টি অতীব গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের কে বি আব্দুস ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান ২০২০-২০৪১ প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ড ভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী আশিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর মোবারক আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী ঈসা আনসারী ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের টিম লিডার ডঃ আহসানুল কবির প্রমুখ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম বলেন, নগরীর মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে গেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ অপরিহার্য। এই লক্ষ্য নিয়ে আজকের এই অংশীজন সভা। প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক অংশীজন সভা করা হবে। এ সভায় প্রত্যেক শ্রেণী পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ করা হবে। এ মাস্টার প্ল্যান ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, উন্নত নগর গড়তে হলে পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা অপরিহার্য্য। তিনি বলেন, নগরীর সকল সংস্থার সমন্বয় না হলে পরিকল্পিত উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি মাস্টার প্ল্যান পরিকল্পনায় হকার পুনর্বাসন, যানজট নিরসন,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় মাস্টার প্ল্যান প্রনয়নে কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী

আপডেট টাইম ০৮:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান প্রনয়নে কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় মেয়র
মাস্টার প্ল্যানের আলোকে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে
চট্টগ্রাম-২৮ ডিসেম্বর’২০২২খ্রি.
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ২০২০ থেকে ৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন পরিকল্পনায় বন্দর নগরীকে বাণিজ্যিক নগরী এবং পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু পরিকল্পনা গ্রহণ করলে হবে না, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে আন্তরিক হতে হবে। মাস্টার প্ল্যান এর মধ্যে সিএসআরএস জরিপ অনুযায়ী সমস্ত বিলুপ্ত খাল গুলো উদ্ধারের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সিডিএ’র যে কোনো প্ল্যান অনুমোদনে চসিকের সংশ্লিষ্টতা থাকার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই অপরিকল্পিত নগরায়নের সৃষ্টি হবে না। মাস্টার প্ল্যান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অংশ হিসেবে কাজ করবে এবং সকল বৈষম্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পেশাজীবী প্রতিনিধি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি যারা এলাকার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাদের সাথে বৈঠক করে ধারনা নিতে হবে।
তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের রিটেনিং ওয়াল করতে গিয়ে পানি চলাচলে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে যার ফলশ্রতিতে শুষ্ক মৌসুমেও বাকলিয়া, চাদগাঁও এলাকায় ঘরবাড়ির উঠোন ও রাস্তাঘাট ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে তার প্রতি লক্ষ্য রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতিগতভাবে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, সমতল ভূমি বিস্তৃত এক অনন্য সুন্দর নগরী। পাহাড় কেটে বৃক্ষ নিধন করে এই সৌন্দর্যের হানি ঘটানো হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিষয়টি অতীব গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের কে বি আব্দুস ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান ২০২০-২০৪১ প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ড ভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী আশিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর মোবারক আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী ঈসা আনসারী ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের টিম লিডার ডঃ আহসানুল কবির প্রমুখ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম বলেন, নগরীর মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে গেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ অপরিহার্য। এই লক্ষ্য নিয়ে আজকের এই অংশীজন সভা। প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক অংশীজন সভা করা হবে। এ সভায় প্রত্যেক শ্রেণী পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ করা হবে। এ মাস্টার প্ল্যান ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, উন্নত নগর গড়তে হলে পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা অপরিহার্য্য। তিনি বলেন, নগরীর সকল সংস্থার সমন্বয় না হলে পরিকল্পিত উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি মাস্টার প্ল্যান পরিকল্পনায় হকার পুনর্বাসন, যানজট নিরসন,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।