স্টাফ রিপোর্টারঃ (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামে বাঁশখালী থানাধীন গন্ডামারা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডে মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ ইমরান(১০) বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে,গত ৮/১০/২১ইং তারিখে বিকাল চার ঘটিকার সময় মোয়াজ্জেম বাড়ির পূর্ব পাশে এস আলমের বালুচরের মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় ইমরানকে গন্ডামারা ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের মোয়াজ্জেম বাড়ির মোহাম্মদ লোকমান এর পুত্র মোহাম্মদ মিয়া (২২)পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। ইমরান সাতকানিয়া থানাধীন আজাদ নগর মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের একজন অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছাত্র তার বয়স ১০ বছর, মোহাম্মদ মিয়া খেলার মাঠ থেকে ইমরানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মাঠের পাশে পরিত্যক্ত মাওলানা দিদার ও শিকদারের ঘরে নিয়ে যায়, তখন ভিকটিম ধস্তাধস্তি করিলে মিয়া ভিকটিমকে মারধর করে, এক পর্যায়ে মিয়া জোরপূর্বক ভিকটিমের পরিহিত প্যান্ট খুলে ফেলে, বলাৎকারের চেষ্টা করিলে ভিকটিম চিৎকার করে , মিয়া তার গায়ে পরিহিত গেঞ্জি খুলে গেঞ্জি দিয়ে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে বলাৎকার করে, পরবর্তীতে ভিকটিম মুমূর্ষ ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে যেতে লাগিলে মোহাম্মদ মিয়া ভিকটিমকে ঘটনাস্থল রেখে পলায়ন করে, অতঃপর ভিকটিমের পায়ুপথে অসহ্য যন্ত্রনায় কান্না করিতে থাকিলে শুনতে পেয়ে ফখরুদ্দিন, আলী আকবর, মোঃ হুমায়ুন কবির তাহার মাকে খবর দিলে মা আসেন, মা সহ তারা ভিকটিমকে বাঁশখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, বাঁশখালী উপজেলায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে প্রাথমিকভাবে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে,পর তারা ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান, ভিকটিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড নং -ও.সি.সি ,বেড নং -০৩ ,রেজিস্ট্রেশন নং ১৬১৯৫৪/৪১৪ ও.সি.সি আর/ডব্লিউ-৩৫৪/২ এ বিগত ০৮/১০/২০২১ইং তারিখ হইতে ১০/১০/২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল। তৎপর ভিকটিমের মা ভিকটিমের বাবার শহীদ আলোচনাক্রমে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করিলে ভিকটিম ও তার পরিবারকে মিয়া বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করিতে থাকে, ঘটনার বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিংবা কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করিলে প্রাণের হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করেন ,ভিকটিমের মা জীবনের নিরাপত্তা এবং তার সন্তানের ওপর অত্যাচারের বিচার প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসীকে দিয়েছেন।