ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ামতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

চট্টগ্রামে করোনাকালীন স্কুল বন্ধের সুযোগে বাড়ছে বাল্যবিয়ে

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

মহামারী করোনার প্রভাবে স্থবির জনজীবনে। নানা কারণে বাড়ছে নানা অরাজকতা ও বাল্যবিয়ে। চট্টগ্রামের প্রায় উপজেলায় অতি গোপনীয়তায় অসচেতন কিছু স্বার্থন্বেষী অভিভাবকদের সুচতুরতায় বাড়ছে বাল্যাবিয়ে। অন্যদিকে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের কর্মহীন সময়কে কাজে লাগাতে গিয়ে কযেকগুন বেড়েছে বাল্যবিয়ে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বিয়ের আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ১ সপ্তাহে ৩টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। এসব বিয়ের কনের আসনে বসানো হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের।

সূত্র জানায়, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রী অলস সময় কাটাচ্ছে ঘরে।
আবার আয়-রোজগার কমে যাওয়া, নানা শঙ্কা ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ‘ভালো ছেলে’ হাতছাড়া না করতে অনেক অভিভাবক বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের। ইউএনওকে ফাঁকি দিতে আইনজীবীর রুমে এফিডেভিট করে নিচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
এতে উদ্বেগ বাড়ছে স্কুলশিক্ষক, সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের।

শুক্রবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

ইউএনও বলেন, কনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। সে ওবায়দুল্লাহ নগর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বর ঠিক করা হয়েছিল একই ইউনিয়নের এক প্রবাসফেরত ছেলের সঙ্গে। বিয়ের প্রীতিভোজ চলাকালে বর আসার আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করি। উভয় পক্ষ জানায় তারা আইনজীবীর কক্ষে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।

পরে মেয়ের বাবা এবং বরের ভাইকে যখন বোঝানো হয় এভাবে বিয়ে বৈধ নয় এবং আইনগত ভিত্তি নেই এবং মেয়ে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়বে। তখন মেয়ের বাবা ভুল বুঝতে পারেন। বর কনে উভয় পক্ষের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে কনের ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে দেবেন তারা।

অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী হাসান, ইউপি সচিব আবু তৈয়ব ও ইউপি সদস্যরা সহায়তা করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

চট্টগ্রামে করোনাকালীন স্কুল বন্ধের সুযোগে বাড়ছে বাল্যবিয়ে

আপডেট টাইম ০৯:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

মহামারী করোনার প্রভাবে স্থবির জনজীবনে। নানা কারণে বাড়ছে নানা অরাজকতা ও বাল্যবিয়ে। চট্টগ্রামের প্রায় উপজেলায় অতি গোপনীয়তায় অসচেতন কিছু স্বার্থন্বেষী অভিভাবকদের সুচতুরতায় বাড়ছে বাল্যাবিয়ে। অন্যদিকে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের কর্মহীন সময়কে কাজে লাগাতে গিয়ে কযেকগুন বেড়েছে বাল্যবিয়ে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বিয়ের আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ১ সপ্তাহে ৩টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। এসব বিয়ের কনের আসনে বসানো হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের।

সূত্র জানায়, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রী অলস সময় কাটাচ্ছে ঘরে।
আবার আয়-রোজগার কমে যাওয়া, নানা শঙ্কা ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ‘ভালো ছেলে’ হাতছাড়া না করতে অনেক অভিভাবক বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের। ইউএনওকে ফাঁকি দিতে আইনজীবীর রুমে এফিডেভিট করে নিচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
এতে উদ্বেগ বাড়ছে স্কুলশিক্ষক, সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের।

শুক্রবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

ইউএনও বলেন, কনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। সে ওবায়দুল্লাহ নগর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বর ঠিক করা হয়েছিল একই ইউনিয়নের এক প্রবাসফেরত ছেলের সঙ্গে। বিয়ের প্রীতিভোজ চলাকালে বর আসার আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করি। উভয় পক্ষ জানায় তারা আইনজীবীর কক্ষে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।

পরে মেয়ের বাবা এবং বরের ভাইকে যখন বোঝানো হয় এভাবে বিয়ে বৈধ নয় এবং আইনগত ভিত্তি নেই এবং মেয়ে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়বে। তখন মেয়ের বাবা ভুল বুঝতে পারেন। বর কনে উভয় পক্ষের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে কনের ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে দেবেন তারা।

অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী হাসান, ইউপি সচিব আবু তৈয়ব ও ইউপি সদস্যরা সহায়তা করেন।