মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’ ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরবর্তী সার্বিক অবস্থা নিয়ে রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
আরো পড়ুন: ১২ নভেম্বরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও স্থগিত
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনকে আরও শক্তিশালী করা হবে। সুন্দরবনকে আরও সবুজ করে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। খুব শিগগির আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
ব্রিফিংয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। গাছচাপা পড়ে দু’জন নিহতের কথা এ সময় নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে সাড়ে ৫ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির যেসব তথ্য দিচ্ছেন, তাও সঠিক। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাই ব্র্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির আরও তথ্য আসছে এবং পুরো হিসাব পেতে এক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তবে বেসরকারি হিসেবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পাঁচ জেলায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাঁচ জেলায় নিহত আট জনের মধ্যে পরিচয় মিলেছে চার জনের।
ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে খুলনায় দুজন, বাগেরহাটে একজন এবং পটুয়াখালীতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে এবং সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ভয়াবহ রূপ নিয়ে ধেয়ে আসতে থাকে। এতে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করে দুই বন্দরসহ বেশ কয়েকটি উপকূলীয় জেলায়। তবে শনিবার রাতে অনেকটা দুর্বল হয়ে সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশ অংশ ঢুকে ‘বুলবুল’। পরে তা স্থল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়।সুন্দরবনের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পায় বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।