ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় তাদের বেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ রায়ের ফলে দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আরো পড়ুন: মোশতাক, জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন ক্ষমতায় না আসে: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত বছর গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন কেন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

৭০ জন গ্রাম পুলিশের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সে সময় আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন জেলার ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। একইভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর,পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার এ রিট আবেদনটি করেন।

আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। এখন দুটি রিটের রুলই এক সঙ্গে শুনানি হবে।

দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩ হাজার টাকা।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।

ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

আইনজীবীদের দাবি ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন,প্রশিক্ষণ,শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আইনজীবীরা আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশো টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশো টাকা বেতন পান। আবার তাদের নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ

আপডেট টাইম ০১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় তাদের বেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ রায়ের ফলে দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আরো পড়ুন: মোশতাক, জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন ক্ষমতায় না আসে: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত বছর গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন কেন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

৭০ জন গ্রাম পুলিশের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সে সময় আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন জেলার ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। একইভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর,পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার এ রিট আবেদনটি করেন।

আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। এখন দুটি রিটের রুলই এক সঙ্গে শুনানি হবে।

দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩ হাজার টাকা।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।

ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

আইনজীবীদের দাবি ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন,প্রশিক্ষণ,শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আইনজীবীরা আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশো টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশো টাকা বেতন পান। আবার তাদের নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।