এদিকে সোমবার রাত ৮টার দিকে আলম এশিয়া বাসের কন্ডাক্টারকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশ। তার নাম-আনোয়ার হোসেন (২৫)।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এসময় পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার জানান, যাত্রী সালাউদ্দিনকে পিষে হত্যার পর চালক রুকন উদ্দিন প্রথমে মুক্তাগাছা পরে শেরপুরের নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট ও সবশেষে ধোবাউড়ায় দু:সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছিল। পুলিশ ওই বাড়িতে উপস্থিত হলে টের পেয়ে সে পাশের নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ নদী থেকে তাকে ঝাপটে ধরে ফেলে। সে ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তার কাছ থেকে মামলার অন্য আসামীদের নাম ও অবস্থান জেনে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। একাধিক টিম তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রেসব্রিফিংয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, মো: গোলাম সবুর, মো: আমীনুল ইসলাম সহ গাজীপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাসে কন্ডাক্টরের সাথে ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে গত রবিবার সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকায় বাস থেকে ফেলে যাত্রী সালাউদ্দিনকে চাকায় পিষে হত্যা করে আলম-এশিয়া পরিবহনের বাসের চালক রুকুন উদ্দিন। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের স্ত্রীকেও ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দিয়ে বাসটি মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায় চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টর। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জামাল মিয়া বাদি হয়ে ওই বাসের চালক, হেলপার, সুপারভাইজার ও কন্ডাক্টরকে আসামী করে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহত যাত্রী সালাহ উদ্দিন (৩৫), স্থানীয় আতাউর রহমান মেম্বার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্কটেক্স এ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানার গাড়ি চালাতেন। তিনি ঢাকার সিদ্দিকবাজারের আলুবাজার এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে।