ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

গাজিপুরে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিক ভয়ানক আক্রোশের শিকার!

ডেস্ক রিপোর্টঃ গ্যাস জাতীয় সম্পদ। এর সঠিক নিয়মে অনুমোদন নিয়ে সুষম ব্যবহার জাতির গুরুত্বপূর্ণ দয়িত্ব।গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে গাজিপুর জেলায় বাসন থানার অধিনে ৩ জন পেশাদার সাংবাদিক তাদের দায়িত্ব পালনে তথ্যের জন্য পালের পাড়া, পাকিস্তান গার্মেন্টস গলির মাথা হাজ্বী ভিলার মালিক আব্দুল জলিলের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এদিকে এলাকাবাসি জানায় এই ভবনের মালিক আব্দুর জলিল তার ভবনে পাশের গলিতে একটি মুদি দোকানে সব সময়ই বসেন সেখানে গেলে তাকে পাবেন।কাজেই সাংবাদিকরা জলিল সাহেবে মুদি দোকানে গিয়ে জলিল সাহেবকে তাদের পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে গ্যাস সংযোগ সম্পর্কে তথ্য এবং কয়টি চুলা জানতে চাইলে জলিল সাহেব উত্তেজিত হয়ে যান এবং বলেন আমার বাড়িতে কয়টি গ্যাসের চুলা আছে তার তথ্য আপনাদের দেবো কেনো?এসব আমি জানি আর তিতাস কর্তৃপক্ষ জানে। শুধু তাই নয় সাংবাদিকরা এও বলেন জলিল সাহেবকে, আপনি তথ্য না দিলে আমরা চলে যাবো তা আপনি আমাদের সাথে খারাপ আচরন করছেন কেনো? এমন কি জলিল সাহেব বলেন আপনারা এভাবে কার অনুমতিতে কেন তথ্য জানতে এসেছেন? আপনাদের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট কই,পুলিশ কই,তিতাস গ্যাসের অফিসার কই?তখন সাংবাদিক শোয়েব হোসেন বলেন, তথ্য জানতে হলে কি এতোকিছুর প্রয়োজন? এটা কোন আইনে আছে? একথা বলতেই জলিল সাহেব আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের ওপর ক্রমশ চড়াও হতে থাকেন। তখন জলিল সাহেব সাংবাদিকদের বলেন,আপনারা কোথাও যেতে পারবেন না বাসন থানার সভাপতি আসবেন,কাউন্সিলর আসবেন তার পরে মজা দেখবেন, বলে হুমকি দেন। এদিকে সেই মুহুর্তে ওই ভবনের মালিক গাজিপুর বাসন মেট্রো প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রাজ্জাককে মোবাইলে কল করেন এবং ৩ জন পেশাদর সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিক রানা(দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ)সাথে মোবাইল ফোনে কথপোকথন হয়।এদিকে এর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আব্দুল জলিল সাহেব এলাকার আরও কয়েকজন ব্যক্তিদের ডেকে এনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের সহযোগিতায় ওই ৩ পেশাদার সাংবাদিকদের গালাগাল সহ কার অনুমতিতে এখানে এসেছেন এবং কিসের সাংবাদিক এই বলে ভিডিও করেন। এর পরে জলিল সাহেব ও তারই এক বন্ধু মিলে সাংবাদিক শোয়েব হোসেনকে(দৈনিক চৌকস) ও সাংবাদিক আরিফকে গালমন্দ চড়,থাপ্পড় মারতে মারতে এলাকার গলির মাথা থেকে প্রধান সড়কের দিকে নিয়ে আসে এবং সে সময় আব্দুল জলিল মুহুর্তেই অনেক নেতা,মাস্তান ও সন্ত্রাসী হাজির করে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন তাদের মধ্যে কাউসার,রাজিব,হযরত অন্যতম। সাংবাদিকদের তথ্য তো দেনই না বরং তাদের তিনজনকে ধাক্কা দিতে দিতে মেইন রোডের দিকে তাড়িয়ে দেন।

এ ঘটনা শুনে সাংবাদিকদের পাশে কিছুক্ষন পরে ঘটনাস্থলে আসেন গাজিপুর বাসন মেট্রোথানা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আরাফাত হোসেন ও স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ।তাকেও তারা অপমান করে মারমুখী ভঙ্গিতে রাস্তার অপর প্রান্তে তাড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে।শুধু তাই নয় সুত্রে আরও জানা গেছে আরাফাত হোসেন এর সাথে আনা নোয়া হাইব্রিড গাড়ি রাস্তার ওপারে থাকলে তখন জলিল সাহেবের নেতা মাস্তান ও সন্ত্রাসীরা তাদের ঐ ভাড়া করা গাড়িতেও লাথি,ঘুষি মারে এবং গাড়ির চালককেও হুমকির সাথে অপমান অপদস্ত করে দ্রুত তাড়িয়ে দেন ।এতে গাড়ি ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে,ঘটনার শুরুতে তারা জলিল সাহেবের বাড়িতেও প্রবেশ করেননি এবং সাংবাদিকরা জলিল সাহেবের সাথে দেখা করে তাদের সাথে থাকা এ্যাসায়েনমেন্টও দেখান এবং জলিল সাহেব সেই এ্যাসায়েন্টন্টও পড়েন। তারপরও কেনো এমন অপমান,বিশৃংখলা ও অযৌক্তিক ভাবে অপবাদ ও লাম্পট্য জনক আচরণ ,কিসের কারণে তার এতো আক্রোশ ?

এই নিয়ে সাংবাদিকদের নামে বাসন থানায় বানোয়াট অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শোয়েব হোসেন বলেন, আমি উক্ত জলিলকে বারবার তথ্য প্রদানে অনিহার কারণ জানতে চাই বিধায় তিনি আমার ওপর বড্ডোবেশী চটেছেন। তিনি তাতক্ষনিক ভাবে যেভাবে পুরো এলাকার সন্ত্রাসী ও নেতা, মাস্তান একত্র করে দাপট দেখিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল।সুযোগ বুঝে সাংবাদিকদের নামে চাঁদা চাওয়ার মতো মিথ্যা অপবাদও গর্বিত চিত্তে জুড়ে দেন জলিল ও তার সহযোগীরা। এমন অপশক্তি, ক্ষমতা থাকলে সামান্য গ্যাস চুরি তার কাছেতো মামুলি ঘটনাই বটে ! আমি নিজে উপস্থিত থেকে তাদের সকল অপকর্ম অবাক দৃষ্টিতে দেখেছি। এভাবে দাঁড়ি টুপি পড়া স্থানীয় মুরুব্বিরা কীভাবে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলে! এরা আসলে দেশ ও জাতির কলংক!চোরের সহযোগী সবাইকে চোর বলাও অতুক্তি নয়! আমি মানবাধিকার সংস্থার একজন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আমার মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল ‘এর মাধ্যমে গাজীপুর জেলার ডিসি,এসপি,পুলিশ কমিশনার, মেয়র মহোদয় সহ ঢাকা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদক , জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইজিপি, র‍্যাব হেডকোয়ার্টার, তিতাস গ্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন দপ্তরে এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে তবেই গিয়েছি।এই সংস্থা সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবীদের একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা। এসাইনমেন্টগুলো জলিল সাহেব দেখার পরেও এমন অঘটন ঘটিয়েছিল যা শুধু সাংবাদিকদের নয় সে উল্লেখিত প্রতিটি দপ্তরকেই অপমান করেছে। এমন কাজ দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক কলংক জনক অধ্যায়! অবশ্যই জলিল সাহেব সহ তার সহযোগী সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমি গণমাধ্যম কর্মীগনের মাধ্যমে প্রতিটি মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি এই অমানুষদের উচিত বিচার চাই। তাদের মানবাধিকার লংঘন সহ আক্রোশপুর্ন নির্যাতন, চক্রান্ত,মানহানি, হুমকি, সন্ত্রাসী, বিশৃংখলা,মিথ্যা অভিযোগ, হয়রানি, রাষ্ট্রিয় সম্পদ চুরি ও লাম্পট্য জনক আচরণ এর বিচার না হলেই নয়।

উক্ত ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ এবং বিভিন্ন প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কড়া নজরদারি পরিলক্ষিত হয়।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গাজিপুরে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিক ভয়ানক আক্রোশের শিকার!

আপডেট টাইম ০৮:১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ডেস্ক রিপোর্টঃ গ্যাস জাতীয় সম্পদ। এর সঠিক নিয়মে অনুমোদন নিয়ে সুষম ব্যবহার জাতির গুরুত্বপূর্ণ দয়িত্ব।গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে গাজিপুর জেলায় বাসন থানার অধিনে ৩ জন পেশাদার সাংবাদিক তাদের দায়িত্ব পালনে তথ্যের জন্য পালের পাড়া, পাকিস্তান গার্মেন্টস গলির মাথা হাজ্বী ভিলার মালিক আব্দুল জলিলের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এদিকে এলাকাবাসি জানায় এই ভবনের মালিক আব্দুর জলিল তার ভবনে পাশের গলিতে একটি মুদি দোকানে সব সময়ই বসেন সেখানে গেলে তাকে পাবেন।কাজেই সাংবাদিকরা জলিল সাহেবে মুদি দোকানে গিয়ে জলিল সাহেবকে তাদের পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে গ্যাস সংযোগ সম্পর্কে তথ্য এবং কয়টি চুলা জানতে চাইলে জলিল সাহেব উত্তেজিত হয়ে যান এবং বলেন আমার বাড়িতে কয়টি গ্যাসের চুলা আছে তার তথ্য আপনাদের দেবো কেনো?এসব আমি জানি আর তিতাস কর্তৃপক্ষ জানে। শুধু তাই নয় সাংবাদিকরা এও বলেন জলিল সাহেবকে, আপনি তথ্য না দিলে আমরা চলে যাবো তা আপনি আমাদের সাথে খারাপ আচরন করছেন কেনো? এমন কি জলিল সাহেব বলেন আপনারা এভাবে কার অনুমতিতে কেন তথ্য জানতে এসেছেন? আপনাদের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট কই,পুলিশ কই,তিতাস গ্যাসের অফিসার কই?তখন সাংবাদিক শোয়েব হোসেন বলেন, তথ্য জানতে হলে কি এতোকিছুর প্রয়োজন? এটা কোন আইনে আছে? একথা বলতেই জলিল সাহেব আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের ওপর ক্রমশ চড়াও হতে থাকেন। তখন জলিল সাহেব সাংবাদিকদের বলেন,আপনারা কোথাও যেতে পারবেন না বাসন থানার সভাপতি আসবেন,কাউন্সিলর আসবেন তার পরে মজা দেখবেন, বলে হুমকি দেন। এদিকে সেই মুহুর্তে ওই ভবনের মালিক গাজিপুর বাসন মেট্রো প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রাজ্জাককে মোবাইলে কল করেন এবং ৩ জন পেশাদর সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিক রানা(দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ)সাথে মোবাইল ফোনে কথপোকথন হয়।এদিকে এর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আব্দুল জলিল সাহেব এলাকার আরও কয়েকজন ব্যক্তিদের ডেকে এনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের সহযোগিতায় ওই ৩ পেশাদার সাংবাদিকদের গালাগাল সহ কার অনুমতিতে এখানে এসেছেন এবং কিসের সাংবাদিক এই বলে ভিডিও করেন। এর পরে জলিল সাহেব ও তারই এক বন্ধু মিলে সাংবাদিক শোয়েব হোসেনকে(দৈনিক চৌকস) ও সাংবাদিক আরিফকে গালমন্দ চড়,থাপ্পড় মারতে মারতে এলাকার গলির মাথা থেকে প্রধান সড়কের দিকে নিয়ে আসে এবং সে সময় আব্দুল জলিল মুহুর্তেই অনেক নেতা,মাস্তান ও সন্ত্রাসী হাজির করে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন তাদের মধ্যে কাউসার,রাজিব,হযরত অন্যতম। সাংবাদিকদের তথ্য তো দেনই না বরং তাদের তিনজনকে ধাক্কা দিতে দিতে মেইন রোডের দিকে তাড়িয়ে দেন।

এ ঘটনা শুনে সাংবাদিকদের পাশে কিছুক্ষন পরে ঘটনাস্থলে আসেন গাজিপুর বাসন মেট্রোথানা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আরাফাত হোসেন ও স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ।তাকেও তারা অপমান করে মারমুখী ভঙ্গিতে রাস্তার অপর প্রান্তে তাড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে।শুধু তাই নয় সুত্রে আরও জানা গেছে আরাফাত হোসেন এর সাথে আনা নোয়া হাইব্রিড গাড়ি রাস্তার ওপারে থাকলে তখন জলিল সাহেবের নেতা মাস্তান ও সন্ত্রাসীরা তাদের ঐ ভাড়া করা গাড়িতেও লাথি,ঘুষি মারে এবং গাড়ির চালককেও হুমকির সাথে অপমান অপদস্ত করে দ্রুত তাড়িয়ে দেন ।এতে গাড়ি ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে,ঘটনার শুরুতে তারা জলিল সাহেবের বাড়িতেও প্রবেশ করেননি এবং সাংবাদিকরা জলিল সাহেবের সাথে দেখা করে তাদের সাথে থাকা এ্যাসায়েনমেন্টও দেখান এবং জলিল সাহেব সেই এ্যাসায়েন্টন্টও পড়েন। তারপরও কেনো এমন অপমান,বিশৃংখলা ও অযৌক্তিক ভাবে অপবাদ ও লাম্পট্য জনক আচরণ ,কিসের কারণে তার এতো আক্রোশ ?

এই নিয়ে সাংবাদিকদের নামে বাসন থানায় বানোয়াট অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শোয়েব হোসেন বলেন, আমি উক্ত জলিলকে বারবার তথ্য প্রদানে অনিহার কারণ জানতে চাই বিধায় তিনি আমার ওপর বড্ডোবেশী চটেছেন। তিনি তাতক্ষনিক ভাবে যেভাবে পুরো এলাকার সন্ত্রাসী ও নেতা, মাস্তান একত্র করে দাপট দেখিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল।সুযোগ বুঝে সাংবাদিকদের নামে চাঁদা চাওয়ার মতো মিথ্যা অপবাদও গর্বিত চিত্তে জুড়ে দেন জলিল ও তার সহযোগীরা। এমন অপশক্তি, ক্ষমতা থাকলে সামান্য গ্যাস চুরি তার কাছেতো মামুলি ঘটনাই বটে ! আমি নিজে উপস্থিত থেকে তাদের সকল অপকর্ম অবাক দৃষ্টিতে দেখেছি। এভাবে দাঁড়ি টুপি পড়া স্থানীয় মুরুব্বিরা কীভাবে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলে! এরা আসলে দেশ ও জাতির কলংক!চোরের সহযোগী সবাইকে চোর বলাও অতুক্তি নয়! আমি মানবাধিকার সংস্থার একজন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আমার মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল ‘এর মাধ্যমে গাজীপুর জেলার ডিসি,এসপি,পুলিশ কমিশনার, মেয়র মহোদয় সহ ঢাকা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদক , জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইজিপি, র‍্যাব হেডকোয়ার্টার, তিতাস গ্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন দপ্তরে এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে তবেই গিয়েছি।এই সংস্থা সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবীদের একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা। এসাইনমেন্টগুলো জলিল সাহেব দেখার পরেও এমন অঘটন ঘটিয়েছিল যা শুধু সাংবাদিকদের নয় সে উল্লেখিত প্রতিটি দপ্তরকেই অপমান করেছে। এমন কাজ দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক কলংক জনক অধ্যায়! অবশ্যই জলিল সাহেব সহ তার সহযোগী সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমি গণমাধ্যম কর্মীগনের মাধ্যমে প্রতিটি মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি এই অমানুষদের উচিত বিচার চাই। তাদের মানবাধিকার লংঘন সহ আক্রোশপুর্ন নির্যাতন, চক্রান্ত,মানহানি, হুমকি, সন্ত্রাসী, বিশৃংখলা,মিথ্যা অভিযোগ, হয়রানি, রাষ্ট্রিয় সম্পদ চুরি ও লাম্পট্য জনক আচরণ এর বিচার না হলেই নয়।

উক্ত ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ এবং বিভিন্ন প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কড়া নজরদারি পরিলক্ষিত হয়।