ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

গলাচিপায় পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটে ৯ জনকে বহিষ্কার

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) পরীক্ষা শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যে ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের একে একে বহিষ্কার করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান।
বহিষ্কার হওয়া ৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সাতজন খাতায় রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া কিছুই লিখতে পারেনি। বাকি দুজনের একজন দুটি এবং অপরজন তিনটি উত্তরের বৃত্ত ভরাট করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমান। এ সময় তিনি কক্ষ পরিদর্শন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন অভিযোগে একের পর এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করতে থাকেন তিনি। এভাবে মোট ৯ জনকে বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী মধ্য হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র মোকসেদুল বলে, ‘সকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি ভিজে তাড়াহুড়ো করে শেষ সময়ে হলে ঢুকি। খাতা পাওয়ার পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক হয়ে সবকিছু ঠিক করে বসতে যাবো, তখনই এসে আমাকে এক্সপেল করে।’
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের ভাষ্য, ‘আমরা কোনো অসদুপায় অবলম্বন করিনি। এমনকী খাতায় লেখাই শুরু করিনি। এর আগেই আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের খাতা চেক করলেই দেখা যাবে আমরা কিছুই লিখিনি।’
এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহান মনি বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা দেখাদেখি করছিল। সে কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন এমসিকিউ উত্তরপত্রের দুটি ও অপরজন তিনটি উত্তর ভরাট করেছে। বাকি সাতজন শুধু রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ঘর পূরণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম যে দুজন উত্তরপত্রে উত্তরের ঘর পূরণ করেছে তাদের বহিষ্কার করেন। কিন্তু তিনি সবাইকেই বহিষ্কার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের অনেকেই দেখাদেখি এবং প্রশ্ন এক্সচেঞ্জ করছিল। এ কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’
অনেকের খাতায় কিছু লেখা নেই এবং পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কেন বহিষ্কার—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা খাতায় লিখেছে এবং সময় অরেকটু বেশি হবে।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

গলাচিপায় পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটে ৯ জনকে বহিষ্কার

আপডেট টাইম ১১:০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) পরীক্ষা শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যে ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের একে একে বহিষ্কার করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান।
বহিষ্কার হওয়া ৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সাতজন খাতায় রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া কিছুই লিখতে পারেনি। বাকি দুজনের একজন দুটি এবং অপরজন তিনটি উত্তরের বৃত্ত ভরাট করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমান। এ সময় তিনি কক্ষ পরিদর্শন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন অভিযোগে একের পর এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করতে থাকেন তিনি। এভাবে মোট ৯ জনকে বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী মধ্য হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র মোকসেদুল বলে, ‘সকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি ভিজে তাড়াহুড়ো করে শেষ সময়ে হলে ঢুকি। খাতা পাওয়ার পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক হয়ে সবকিছু ঠিক করে বসতে যাবো, তখনই এসে আমাকে এক্সপেল করে।’
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের ভাষ্য, ‘আমরা কোনো অসদুপায় অবলম্বন করিনি। এমনকী খাতায় লেখাই শুরু করিনি। এর আগেই আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের খাতা চেক করলেই দেখা যাবে আমরা কিছুই লিখিনি।’
এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহান মনি বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা দেখাদেখি করছিল। সে কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন এমসিকিউ উত্তরপত্রের দুটি ও অপরজন তিনটি উত্তর ভরাট করেছে। বাকি সাতজন শুধু রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ঘর পূরণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম যে দুজন উত্তরপত্রে উত্তরের ঘর পূরণ করেছে তাদের বহিষ্কার করেন। কিন্তু তিনি সবাইকেই বহিষ্কার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের অনেকেই দেখাদেখি এবং প্রশ্ন এক্সচেঞ্জ করছিল। এ কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’
অনেকের খাতায় কিছু লেখা নেই এবং পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কেন বহিষ্কার—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা খাতায় লিখেছে এবং সময় অরেকটু বেশি হবে।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’