রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নে ঈদগাহ করোনা মহামারি কাটিয়ে দুই বছর পর খোলা জায়গায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এবার ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে।
গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ও বাউশিয়া, ভবেরচর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে রবিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের প্রধান জামাত।
এর আগেই ভবেরচর, গজারিয়া, বাউশিয়া ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহের পার্শ্ববর্তী সড়কেও অনেকে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর চারটি ঈদে মুসল্লিদের ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছিল মসজিদে। এবার করোনার বিধিনিষেধ ছিল না।
গজারিয়া ইউনিয়নে ঈদের জামাতে অংশগ্রহন করেন গজারিয়ার কৃতি সন্তান জনাব আমিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান গজারিয়া উপজেলা পরিষদ ও সাধারণ সম্পাদক গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ বাউশিয়া ইউনিয়নে ঈদের জামাতে অংশগ্রহন করেন বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মো.মিজানুর রহমান প্রধান।
ভবেরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন জৈনপুরী পীর সাহেব ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। ঈদের বিশেষ খুতবা পড়া হয়। খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রধান জামাত। মোনাজাতে গুনাহ থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ভবেরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, আতাউর রহমান নেকী খোকন ভাইস চেয়ারম্যান গজারিয়া উপজেলা পরিষদ, ইন্জি.সাহিদ মোঃ লিটন চেয়ারম্যান ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ, গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রইছ উদ্দিন, মোঃ মনিরুজ্জামান অফিসার ইনচার্জ ভবেরচর হাইওয়ে থানা, সহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন ঈদ জামাত শেষে কুশল বিনিময় এবং ঈদের কোলাকুলি করেন।
গজারিয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শান্তিপুর্ন ভাবে গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঈদের নামাজের পরপরই পশু কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করে।