ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

গজারিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান আতংকে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগন্ঞ্জের গজারিয়ায় একাদিক জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণ করছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অন্তত দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়গুলোর দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরাসহ কক্ষগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে আরো বেশি আতঙ্কে আছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিবাবকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রকৌশলীর কার্যলয় এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আধারমাণিক ও ১৩ নং টেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটির পুরনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছ দুই বছর আগেই। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পৈক্ষারপাড়, ৫৯নং হোগলাকান্দি, জামালদি, দক্ষিনকান্দি বাউশিয়া, পোড়াচক বাউশিয়া দক্ষিণকান্দি, জৈষ্ঠীতলা, চরচৌদ্দকাহনিয়া ও ১৫নং বড় ভাটেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইসমানির চর প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয় ভবন। গত ২৫ এপ্রিল ভূমিকম্পে বড় ভাটেরচর বিদ্যালয়টির অধিকাংশ দেয়াল ও ছাদে বড় ফাটল দেখা দেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিত্রী রানী রায় জানান, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মাথার ওপর ফাটল নিয়ে পাঠদান ও গ্রহণে মনোনিবেশ করতে পারছে না। সম্প্রতি শিক্ষকদের অফিস কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। গজারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল হক ভূঞা জানান, দুটি পরিত্যক্তসহ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে কয়েকদফা জানানো হয়েছে। গজারিয়া প্রকৌশলী কার্যলয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়গুলোর পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার কাজের কোনো অগ্রগতির খবর আমাদের কাছে নেই।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

গজারিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান আতংকে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

আপডেট টাইম ০৩:৩৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগন্ঞ্জের গজারিয়ায় একাদিক জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণ করছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অন্তত দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়গুলোর দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরাসহ কক্ষগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে আরো বেশি আতঙ্কে আছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিবাবকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রকৌশলীর কার্যলয় এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আধারমাণিক ও ১৩ নং টেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটির পুরনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছ দুই বছর আগেই। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পৈক্ষারপাড়, ৫৯নং হোগলাকান্দি, জামালদি, দক্ষিনকান্দি বাউশিয়া, পোড়াচক বাউশিয়া দক্ষিণকান্দি, জৈষ্ঠীতলা, চরচৌদ্দকাহনিয়া ও ১৫নং বড় ভাটেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইসমানির চর প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয় ভবন। গত ২৫ এপ্রিল ভূমিকম্পে বড় ভাটেরচর বিদ্যালয়টির অধিকাংশ দেয়াল ও ছাদে বড় ফাটল দেখা দেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিত্রী রানী রায় জানান, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মাথার ওপর ফাটল নিয়ে পাঠদান ও গ্রহণে মনোনিবেশ করতে পারছে না। সম্প্রতি শিক্ষকদের অফিস কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। গজারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল হক ভূঞা জানান, দুটি পরিত্যক্তসহ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে কয়েকদফা জানানো হয়েছে। গজারিয়া প্রকৌশলী কার্যলয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়গুলোর পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার কাজের কোনো অগ্রগতির খবর আমাদের কাছে নেই।