ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

গজারিয়াবাসী ২০ বছরে ফুলদী নদীতে সেতু পায়নি

  • রাজু আহমেদ
  • আপডেট টাইম ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াবাসি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গজারিয়া উপজেলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল ফুলদী নদীতে একটি সেতু। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। এর পর ২০ বছর পার হলেও এখনো শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। এদিকে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

ভোগান্তির মধ্য দিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২০ বছরেও পায়নি সেতু,
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকায় উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর প্রশাসনিক নানা জটিলতা ও সরকার পরিবর্তন হলেও সেতু নির্মাণকাজের ফাইল আর নড়েনি। ২০ বছর অতিবাহিত হলেও ফুলনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়নি। নদীর রসুলপুর প্রান্তে শুধু ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক নির্মাণ পর্যন্তই রয়েছে সেতু নির্মাণকাজ।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, ভিত্তিপ্রস্তরের পর সাড়ে ২০ বছরেও গজারিয়ার ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় রসুলপুর, দৌলতপুর, ইমামপুর আঁধারমানিক, করিম খাঁ, মাথাভাঙ্গা, গজারিয়া, হোসেন্দী, ইসমানিরচর গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে ফুলদী নদী পাড়ি দিয়ে জীবনযাপন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এসব গ্রামের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষর্থী প্রতিদিন এই ফুলনী নদী পাড়ি দিয়ে গজারিয়া পাইলট হাইস্কুল, গজারিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া বাতেনিয়া

আলিম মাদ্রাসা, মাথাভাঙ্গা মহিলা আলিম মাদ্রাসা ও গজারিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখা করছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী

প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলের অধিকতর গুরুত্ব থাকায় ফুলদী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতু বিভাগ প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণ করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফুলদী নদীর উপরও সেতু নির্মাণ করা হবে।

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, রসুলপুর ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে ফুলদী নদীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফেরি চলাচল করছে। ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণসহ মেঘনা নদীতে সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের সেতুবন্ধন হবে। গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস পল্লী এবং ঔষধ শিল্পপার্কের মালামাল সহজে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় পরিবহন করা যাবে। সেতু দুটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে খুলনার মংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সড়ক যোগাযোগে প্রবেশদ্বার হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

গজারিয়াবাসী ২০ বছরে ফুলদী নদীতে সেতু পায়নি

আপডেট টাইম ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াবাসি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গজারিয়া উপজেলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল ফুলদী নদীতে একটি সেতু। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। এর পর ২০ বছর পার হলেও এখনো শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। এদিকে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

ভোগান্তির মধ্য দিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২০ বছরেও পায়নি সেতু,
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকায় উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর প্রশাসনিক নানা জটিলতা ও সরকার পরিবর্তন হলেও সেতু নির্মাণকাজের ফাইল আর নড়েনি। ২০ বছর অতিবাহিত হলেও ফুলনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়নি। নদীর রসুলপুর প্রান্তে শুধু ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক নির্মাণ পর্যন্তই রয়েছে সেতু নির্মাণকাজ।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, ভিত্তিপ্রস্তরের পর সাড়ে ২০ বছরেও গজারিয়ার ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় রসুলপুর, দৌলতপুর, ইমামপুর আঁধারমানিক, করিম খাঁ, মাথাভাঙ্গা, গজারিয়া, হোসেন্দী, ইসমানিরচর গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে ফুলদী নদী পাড়ি দিয়ে জীবনযাপন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এসব গ্রামের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষর্থী প্রতিদিন এই ফুলনী নদী পাড়ি দিয়ে গজারিয়া পাইলট হাইস্কুল, গজারিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া বাতেনিয়া

আলিম মাদ্রাসা, মাথাভাঙ্গা মহিলা আলিম মাদ্রাসা ও গজারিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখা করছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী

প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলের অধিকতর গুরুত্ব থাকায় ফুলদী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতু বিভাগ প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণ করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফুলদী নদীর উপরও সেতু নির্মাণ করা হবে।

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, রসুলপুর ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে ফুলদী নদীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফেরি চলাচল করছে। ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণসহ মেঘনা নদীতে সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের সেতুবন্ধন হবে। গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস পল্লী এবং ঔষধ শিল্পপার্কের মালামাল সহজে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় পরিবহন করা যাবে। সেতু দুটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে খুলনার মংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সড়ক যোগাযোগে প্রবেশদ্বার হবে।