নারায়ণগঞ্জ: বই আনেনি, তার উপর সঙ্গে ছিলো মোবাইল; আর এ কারণে এক ছাত্রীকে মারধর করে অচেতন করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের একাদশ শ্রেণীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দাবি ‘ফোন জব্দ করা হয়, মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
আরো পড়ুন : বিকেএমইএ’র নির্বাচন: মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন সেলিম, হাতেমসহ ২৭ প্রার্থী
ভোক্তভোগীর নাম তন্বী। সে ফতুল্লার ভূইগড়েরর মাহমুদপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। আর অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সুলাইমান খন্দকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, তন্বীর কাছে বই ছিলো না। এছাড়া ক্লাসে মোবাইল নিয়ে এসেছিলো। তাই স্যার রেগে যায় এবং চর থাপ্পর মারেন। এসময় তন্বী অজ্ঞান হয়ে যায়।
মারধরের ঘটনা অস্বীকার বরে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. সুলাইমান খন্দকার জানান, ‘আমি ক্লাসে প্রবেশের সাথে সাথেই কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো। আমি তাদের থামিয়ে মোবাইল খুঁজে পাই। এছাড়া তাদের কাছে বই ছিলো না। কলেজের নিয়ম অনুযায়ী সেই মোবাইল জব্দ করি। তবে, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি চলে যাওয়ার পরে একজন শিক্ষার্থী অচেতন হয়েছে শুনেছি।’
তবে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তিভোগীর বাবা, মা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ অস্বীকার প্রফেসার বেদৌরা বিনতে হাবিব জানান, ‘মেয়েটি অসুস্থ্য ছিলো। ফলে ক্লাস করার সময় অচেতন হয়ে পরে। তাই চিকিৎসার জন্য অভিভাবকের কাছে মেয়েটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে।’