মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ ক্যাসিনো মামলার আসামিরা যাতে কোনোভাবেই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে। বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্তেও সতর্ক রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরো পড়ুন : ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক সেবা উদ্বোধন
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ রবিবার সকালে ইমিগ্রেশন ও সীমান্তে সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইমিগ্রেশন ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত পথে বিভিন্ন কৌশলে ভারতে যাওয়ার সুযোগ থাকে বেশি। তাই এ সীমান্তপথে তাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ জন্য বিশেষভাবে এ সীমান্তে সতর্কতা ও নজরদারি বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকা ঘুরে পুলিশ ও বিজিবির এ নজরদারি ও সতর্কতা চোখে পড়ে। ইমিগ্রেশনে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নাম, ঠিকানা যাচাই ও পাসপোর্টের সঙ্গে তাদের ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া একাধিক বা জাল পাসপোর্ট যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য হাতের ছাপও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
সীমান্ত ঘুরে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছেন। কোনোভাবেই যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য তারা সতর্কতা জারি করেছেন আগের চেয়ে বেশি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান পাঠান বলেন, ঢাকা পুলিশের এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) থেকে আমাদের কাছে একটি নির্দেশনা এসেছে। ক্যাসিনো মামলায় জড়িত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পাশাপাশি নেপালের ৯ নাগরিক যাতে কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন আরো নামের তালিকা আসছে বলেও জানান তিনি।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা ও খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটাীলয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, রাষ্ট্র ঘোষিত অপরাধীরা যাতে কোনোভাবে সীমান্তপথে অবৈধভাবে চলে যেতে না পারে সে জন্য তাদের সৈনিকরা সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।