ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ামতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

ক্যাসিনোকাণ্ড: অর্থপাচার মামলায় এনামুল-রূপন ৪ দিনের রিমান্ডে

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  অর্থপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের সহযোগী মোস্তফাকে পাঠানো হয়েছে তিন দিনের রিমান্ডে।আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তিন জনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। কেরানীগঞ্জে মোস্তফার বাড়িতে থেকে সেখান থেকে বেনামি পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এনামুল ও রূপন।

গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনদের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। একাধিক বার অভিযান চালিয়েও এত দিন তাদের ধরা যায়নি।

এনামুল ও রূপন গত ৬-৭ বছরে পুরান ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কমপক্ষে ১২টি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬টি। পুরোনো বাড়িসহ কেনা জমিতে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ইমারত। স্থানীয় লোকজন জানান, এই দুই ভাইয়ের মূল পেশা জুয়া। আর নেশা হলো বাড়ি কেনা।

জুয়ার টাকায় এনামুল ও রূপন কেবল বাড়ি ও ফ্ল্যাটই কেনেননি, ক্ষমতাসীন দলের পদও কেনেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৮ সালে এনামুল পান গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ। আর রূপন পান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। তাঁদের পরিবারের ৫ সদস্য, ঘনিষ্ঠজনসহ মোট ১৭ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে পদ পান। তারা সরকারি দলের এসব পদ-পদবি জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার নির্বিঘ্নে চালানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

ক্যাসিনোকাণ্ড: অর্থপাচার মামলায় এনামুল-রূপন ৪ দিনের রিমান্ডে

আপডেট টাইম ০৩:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  অর্থপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের সহযোগী মোস্তফাকে পাঠানো হয়েছে তিন দিনের রিমান্ডে।আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তিন জনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। কেরানীগঞ্জে মোস্তফার বাড়িতে থেকে সেখান থেকে বেনামি পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এনামুল ও রূপন।

গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনদের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। একাধিক বার অভিযান চালিয়েও এত দিন তাদের ধরা যায়নি।

এনামুল ও রূপন গত ৬-৭ বছরে পুরান ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কমপক্ষে ১২টি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬টি। পুরোনো বাড়িসহ কেনা জমিতে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ইমারত। স্থানীয় লোকজন জানান, এই দুই ভাইয়ের মূল পেশা জুয়া। আর নেশা হলো বাড়ি কেনা।

জুয়ার টাকায় এনামুল ও রূপন কেবল বাড়ি ও ফ্ল্যাটই কেনেননি, ক্ষমতাসীন দলের পদও কেনেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৮ সালে এনামুল পান গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ। আর রূপন পান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। তাঁদের পরিবারের ৫ সদস্য, ঘনিষ্ঠজনসহ মোট ১৭ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে পদ পান। তারা সরকারি দলের এসব পদ-পদবি জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার নির্বিঘ্নে চালানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।