মোঃশহিদুল ইসলাম : কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার যশ খেঁজুরের রস অার গুড়।খেজুর গুড়ের জন্য বিখ্যাত কোটচাঁদপুর উপজেলা। কোটচাঁদপুর উপজেলা ও পৌর শহরসহ বিভিন্ন গ্রামে খেঁজুর রস জ্বালানীর জন্য অস্যাংখ্য কারখানা ছিল। যা কিনা পৌর শহরে বাড়ী করতে গেলে গুড়ের ভাড়ের খাবরা মাটির অনেকে গভীরে। সেই পুরানো ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তের পথে। ছোট ছোট সোনামনিদের কাছে রুপকথা গল্পের মতো। ৯ জুন -২০১৯ রবিবার ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ নাজমা খাতুন উপজেলার গ্রামের রাস্তার দুইধারের খেঁজর গাছ ও অপরিকল্পিত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেঁজর বাগান পরিদর্শন করেন। কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বিশিষ্ট গাছ প্রেমিক মোস্ততাফিজুর রহমান বটা বলেন,খেঁজর বাগান একটি লাভজনক চাষ। তিনি অালাপচারিতায় বলেন রাস্তার দুইধারে, পরিত্যক্ত জমিতে কিংবা পরিকল্পিত উপায়ে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ ফুট বাই ৫ ফুট চারা রোপন করার মাধ্যমে ৩ বছরের মাথায় যেয়ে একজন খেঁজুর বাগানচাষী তাঁর প্রতিবিঘা জমি হতে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা গুড় বিক্রয় করে অায় করতে পারে। এছাড়াও জ্বালানী হিসেবে খেঁজর পাতা ব্যবহার করা হয়। বছরে ওই খেঁজুর বাগান হতে একজন বাগান মালিক খেঁজুর বিক্রয় করেও টাকা উপার্জন করতে পারবে। দেশি খেঁজুর স্ব স্ব এলাকা হতে গাছ হতে পাকা খেঁজুর খাওয়ার পর বীজ ছিটিয়ে দিলে চারা গজাবে। ১ মাসের মাথায় সেই চারা পরিকল্পিত উপায়ে লাগাতে হবে। এছাড়াও সৌদি খেঁজুর ও অামাদের এলাকায় বাণিজ্যেক ভিত্তিক চাষ হচ্ছে। সুয়াদী গ্রামের খেঁজর বাগান চাষী মিজানুর রহমান বলেন, খেঁজুর চাষ একটি লাভজনক চাষ। উৎপাদন খরচ কম। তিনি জানান সেই খেঁজরেরর হারানো অতীত ফিরে পেতে বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় হতে হবে। এদিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ নাজমা খাতুন উপজেলার কৃষিবিভাগ ও বনবিভাগকে যৌথ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সাথে সক্রিয় সচেতনতা সৃষ্টি করে লাভজনক এই খেঁজুর বাগান চাষের বিস্তৃতি ঘটিয়ে অাবারো সেই কোটচাঁদপুরের গুড়ের হারানো যশ ফিরিয়ে অানা সম্ভব হবে।
সংবাদ শিরোনাম ::
কোটচাঁদপুরের খেঁজুরের বাগান বিলুপ্তের পথে
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০২:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০১৯
- ১১৪২ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ