মনির হোসেন, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আলমগীর (৩২) চট্টগ্রাম বিভাগের হালিশহর থানায় একই গ্রামের আলেক মিয়া( ৫০) ও তার ছেলে রমজান (১৮) কে , ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে সুরমা আক্তার(১৫) কে জোরপূর্বক আব্দুল্লাহ নামক এক মুন্সি দিয়ে বিবাহ পড়ায়, পরে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।।
এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে কেন্দুয়া থানাধীন বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আলমগীর ( ৩২) ।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়,আলেক মিয়ার মেয়ে ,সুরমা আক্তার(১৫) পেঠের তাগিদে চট্টগ্রাম বিভাগের হালিশহর থানায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি সুবাদে একই এলাকার কাশেমের ছেলে আলমগীরের সাথে পরিচয় হয়।
আলমগীর ( ৩২) দিনমজুরের কাজ চট্টগ্রাম বিভাগের হালিশহর থানার তাসফিয়া খান বাড়ি রোড আনন্দধারা আবাসিক এলাকার বাচ্চু মিয়ার ভাড়াটিয়ারা ঘরে এক কন্যা সন্তান ও স্ত্রী আঞ্জুরা কে নিয়ে বসবাস করত।
পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রথম স্ত্রী আঞ্জুরা (২৫)আলমগীরকে তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর , সুরমা আক্তার ( ১৫)কে রাস্তা উত্ত্যক্ত করতো , এক পর্যায়ে লম্পট আলমগীরের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কৌশলে এ ঘটনাটি ঘটায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুরমা আক্তার (১৫) বলেন, বিবাহতে রাজি না হলে আমার পিতা ও ভাইকে মেরে ফেলবে বলে , ভয় রাজি হই।
চট্টগ্রাম বিভাগের হালিশহর থানার ২৫ নং ওয়ার্ডের কাজী মোর্শেদ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজের ব্যস্ততা থাকার কারণে , মাওলানা আব্দুল্লাহ হুজুরকে দিয়ে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করান তিনি। সুরমা আক্তারের বয়সের ব্যাপারে জানতে চাই কাজী মোর্শেদ বলেন, আমার কাছে যে, জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েছে তার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া বিবাহ রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেছি।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে, কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন , এই ঘটনা আমার জানা নেই ,যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে অভিযোগ দিতে বলেন।