মোহাম্মদ মনির হোসাইন,কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি:,মুরাদনগর উপজেলার ২২ ইউনিয়নে সারা বিশ্বের বৈশ্বিক দুর্যোগের মধ্যে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিলা বৃষ্টি তুফানে তাণ্ডব সকল জমির ফসল ও বাড়িঘর, ধান থেকে বীজ ,বীজ থেকে চারা , চারা থেকে গাছ , তারপর রোপন, নিরানি সার ,পানি, কীটনাশক সবকিছু শেষে কৃষকের গোলায় এখন পাকা ধান তোলার পালা। কৃষক যখন পাকা ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন ঠিক তখনি মাথার উপর থেকে নেমে আসে হঠাৎ বৈশাখী ঝড় ও শিলবৃষ্টি। শনিবার সন্ধায় ৬ঃ৫০মিনিটে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে একটানা মুষলধারে শিলাবৃষ্টি বর্ষিত হয়। এতে ঘরবাড়ি ,দোকান পাটের টিনের চালা, ফসলি মাঠ, ও গাছপালার ব্যাপত ক্ষতি হয়েছে।এ সময় মুরাদনগরে মাটি ও মানুষের নেতা সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ মুরাদনগর উপজেলার ২২ টি ইউনিয়নের সকল জনসাধারণের খোঁজখবর নেন,সকল ফসল জমি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্যাপক উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।
কোভিড-১৯ কারনে দেশে চলছে নিরভ দূর্ভিক্ষ। সরকার ও কৃষিস্প্রসারন অধিদপ্তরের পক্ষ বলা হচ্ছে এক খন্ড মাটি যেন খালি না থাকে। এই মাটিতে ফলানো ফসলই চলমান দূর্ভিক্ষ থেকে পরিত্রান পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
ইরি বুরো এদেশের কৃষকের একটি বড় স্বপ্ন। এই ফসলটা ঘরে তোলার জন্য কৃষক যখন তীর্থের কাক হয়ে অপেক্ষা করছিল ঠিক তখনই কালবৈশাখী ঝড় ও শিলবৃষ্টির তান্ডব লিলায় নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের ফসলি মাঠ।
মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এই ঝড় ও শিলবৃষ্টির কারনে ঢেউটিন ছিদ্র হয়ে ঘরে পানি পড়ছে। গাছপালা ভেঙ্গে বাড়ি-ঘর রাস্তার উপর পড়ে আছে। আচমকা শিলাবৃষ্টির পরে এই সব এলাকার বিঘার পর বিঘা জমির ফসল মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। গাছ থেকে ঝড়ে গেছে ধান। এগুলোর বাহিরেও কোন কোন এলাকায় তিল, মোগডাল, ভুট্টা ও পাটের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। মুরাদনগর সদরের ইউনিয়ন, সহ হীরার কান্দা, দিলালপুর, ধনিরামপুর, ইউসুফ নগর, ঘোড়াশাল, ডুমুরিয়া, আলীরচর, করিমপুর,
দারোরা ইউনিয়ন কাজিয়াতল সাতচূড়া, বড়াই মূড়া, কদম মূড়া ও লাটিয়ার বিলে নূন্যতম ৮ হাজার কানি ফসলের ব্যবপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার যাত্রাপুর , মোচাগড়া, নেয়ামতপুর. কামাল্লা. বাঙ্গরা, দৌলতপুর, ১৪নং নবীপুর পূর্ব, ১৫নং নবীপুর পশ্চিম, টনকী , চাপিতলা , রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বিভিন্নগ্রামে কৃষি ও ঘরবাড়ীর ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শাহেদ সরকার জানান-গতকালের শিলাবৃষ্টির কারনে উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের টিনের চাল দোকাপাট ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইনউদ্দিন বলেন, আমাদের মাঠে এখন হারভেস্টার করার মত ফসল আছে ধান ও ভূট্টা । গতকালের শিলাবৃষ্টির কারনে মুরাদনগর উপজেলায় ৫% বুরো ধানের ক্ষতি হতে পারে। শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল ১-২% ক্ষতি হয়েছে। এদিকে উপসহকারী কৃষিকর্মতাদের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেই জমির ৮০% ধান পাকা ধরেছে তা কেটে ফেলে ঘরে তোলার জন্য পরামর্শ দেন।
দৈনিক জাতীয় মাতৃভূমির খবর,