আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটকের উন্মাদনা। সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দে মেতেছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকরা। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন দেশি বিদেশি হাজারো পর্যটক। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে গত শনিবার ২২ এপ্রিল বিকেল থেকেই পর্যটকদের আগমন ঘটেতে শুরু করে সমুদ্রকন্যা খ্যাত দেশের অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
গতকাল রোববার ২৩ এপ্রিল সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি ও ছবি তুলে নিজেদের ভ্রমণ উপভোগ করছেন। অনেকে আবার বেঞ্চিতে বসে ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন উপভোগ করছেন। কেউবা আবার ঘুরছেন ওয়াটার বাইকে। কেউবা আবার ঘোড়ায় কিংবা মোটরসাইকেলে চড়ে উপভোগ করছেন বিভিন্ন পর্যটন স্পট।
আগত পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৮০ ভাগ হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে খবার হোটেল, পোশাকের দোকান ও বিভিন্ন প্রসাধনী সমগ্রীর দোকানগুলোতে। পুরো ব্যবস্তায় কাটছে ব্যবসায়ীদের দিন। সাতক্ষীরা থেকে আসা পর্যটক ইয়াসিন-সুমি দম্পত্তি জানান, মূলত ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউ, মোহনীয় গর্জন ভালোই লাগছে। গোপালগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক মোয়াজ্জেম সিকদার জানান, বন্ধুরা মিলে সকালে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কেটেছি। আমাদের যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপিত রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করছে।