ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কুষ্টিয়া দহকুলায় কথিত পশু ডাঃ বিল্লালের ভুল চিকিৎসায় সর্বশান্ত হলেন এক কৃষক

মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া :—————  কুষ্টিয়া সদর  উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা হিন্দু পাড়ায় গত ২৬ আগস্ট  দুলাল নামে এক কৃষকের গরু অসুস্থ হলে স্থানীয় পশু চিকিৎসক বিল্লালকে চিকিৎসার জন্য ডাকে।  কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল পশুর পায়ে ব্যথা ও গায়ে জ্বর থাকার কারণে গরুকে এন্টিবায়োটিকসহ তিন ধরনের ইনজেকশন করে, পরদিন পুনরায় কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল গরুটিকে আবারো অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ইনজেকশন করে। এ সময় পশুটির অবস্থা অবনতি হলে কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল সেখান থেকে সটকে পড়ে । তাকে ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। স্থানীয়রা  পশুটির অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় কসাই নায়েব আলীকে খবর দেয়। গরুটির বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ হাজার টাকা হলেও ওই কসাই মাত্র ২০ হাজার টাকায় গরুটি কিনে নেয়। কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের মৃত মুল্লিক মণ্ডলের ছেলে। কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন সরকারি নিয়ম অমান্য করেই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম কর্ণফুলী পশু বাজারে পশু চিকিৎসা করার জন্য গেলে প্রশাসনের কাছে আটক হয় এই কথিত পশু চিকিৎসক। এ সময় মুচলিকা দিয়ে  প্রশাসন তাকে ছেড়ে দিলে তিনি থেমে নেই। সরকারের নির্দেশ রয়েছে শুধুমাত্র রেস্টার্ট পশু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু তা মানছেন না এই কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, শুধুমাত্র চিকিৎসকই অ্যান্টিবায়োটিক ও স্ট্রাইড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া কোনো প্রাথমিক পশু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক  ও স্ট্রাইড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কোন প্রাথমিক পশু চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক ও স্ট্রাইক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে তাহলে তার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া দহকুলায় কথিত পশু ডাঃ বিল্লালের ভুল চিকিৎসায় সর্বশান্ত হলেন এক কৃষক

আপডেট টাইম ০৫:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯
মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া :—————  কুষ্টিয়া সদর  উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা হিন্দু পাড়ায় গত ২৬ আগস্ট  দুলাল নামে এক কৃষকের গরু অসুস্থ হলে স্থানীয় পশু চিকিৎসক বিল্লালকে চিকিৎসার জন্য ডাকে।  কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল পশুর পায়ে ব্যথা ও গায়ে জ্বর থাকার কারণে গরুকে এন্টিবায়োটিকসহ তিন ধরনের ইনজেকশন করে, পরদিন পুনরায় কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল গরুটিকে আবারো অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ইনজেকশন করে। এ সময় পশুটির অবস্থা অবনতি হলে কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল সেখান থেকে সটকে পড়ে । তাকে ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। স্থানীয়রা  পশুটির অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় কসাই নায়েব আলীকে খবর দেয়। গরুটির বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ হাজার টাকা হলেও ওই কসাই মাত্র ২০ হাজার টাকায় গরুটি কিনে নেয়। কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের মৃত মুল্লিক মণ্ডলের ছেলে। কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন সরকারি নিয়ম অমান্য করেই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম কর্ণফুলী পশু বাজারে পশু চিকিৎসা করার জন্য গেলে প্রশাসনের কাছে আটক হয় এই কথিত পশু চিকিৎসক। এ সময় মুচলিকা দিয়ে  প্রশাসন তাকে ছেড়ে দিলে তিনি থেমে নেই। সরকারের নির্দেশ রয়েছে শুধুমাত্র রেস্টার্ট পশু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু তা মানছেন না এই কথিত পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, শুধুমাত্র চিকিৎসকই অ্যান্টিবায়োটিক ও স্ট্রাইড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া কোনো প্রাথমিক পশু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক  ও স্ট্রাইড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কোন প্রাথমিক পশু চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক ও স্ট্রাইক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে তাহলে তার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।