মোহাম্মদ রফিক, কুুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমানের তদারকিতে বদলে গেল জেলার সকল পশু হাসপাতালে চিত্র। ১লা জুলাই ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তার অধীনে রয়েছে ছয়টা পশু হাসপাতাল। কুষ্টিয়া সদর, দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী ও খোকসা।
আরো পড়ুন : ভারতের সাবেক মন্ত্রী রাম জেঠমালানি আর নেই
কুষ্টিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকট হওয়ায় সরকারী কাজ দ্রুত শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান যোগদান করার পরই বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে প্রাণিসম্পদ অফিসার পানি সংকট, দীর্ঘদিন ধরেই এই অফিসে পানির সংকট ছিল ইতিপূর্বেও যে সমস্ত অফিসার এসেছেন তারা এই সমস্যা সমাধান করেননি। কিন্তু ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান যোগদান করার পরপরই এই সমস্যাটি সমাধান করেছেন তিনি। এখন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পানি সংকট নেই। এছাড়াও বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ করেছেন তিনি। নিরাপদ দুধ, ডিম, মাংস, আমিষ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে চলেছেন।
জরিপে উঠে এসেছে গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দুধ উৎপাদন ছিল ৫৩৩২০ মেট্রিক টন, মাংস উৎপাদন ছিল ৬৯০০০ মেট্রিক টন, ডিম উৎপাদন ছিল১৫ কটি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুধ উৎপাদন ৭৪২৫৭ মেট্রিক টন, মাংস উৎপাদন ৮৭৬০০ মেট্রিক টন, ডিম উৎপাদন ২১ কটি। ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান যোগদান করার পরে গত বছর থেকে উৎপাদন বেড়েছে দুধ ২০৯৩৭ মেট্রিক টন, মাংস ১৮৬০০ মেট্রিক টন, ৬ কোটি ডিম। তিনি পশু হাসপাতালে তদারকি করার জন্য দৌলতপুর পশু হাসপাতালে সকাল ৯ টার মধ্যে হাজির হয়ে যান। তিনি সরোজমিনে গিয়ে দেখেন অফিসে স্টাফ অনুপস্থিত। ভি এফ এ আক্তারুজ্জামান অফিসে আসেন নাই। কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুধু দৌলতপুরেই নয়, জেলার বিভিন্ন থানা পশু হাসপাতালে গিয়ে দেখেন একই অবস্থা। এই অবস্থা দেখে তিনি নিজেই হতবাক হয়ে যান। অফিস টাইমে অফিস স্টাফ অফিসে আসেন না। এই অনিয়ম শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান। তারই তদারকির কারণে কুষ্টিয়া জেলাতে বেড়েছে নিরাপদ দুধ মাংস ও ডিম।