ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কুষ্টিয়া ইবি থানার ঝাউদিয়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নাসরিন মেম্বারের বিরুদ্ধে

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ৭০০ হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানেন না তাদের নামে চাল উত্তোলন করা হয়। আবার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, তাদের কার্ড তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন এক ইউপি সদস্য। ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খয়বারের স্ত্রী পারুল, রওশনের ছেলে আফজেল ও একই ওয়ার্ডের আক্তারের মেয়ে সাগরিকা জানেই না তাদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড হয়েছে। ২০১৬সালে তাদের নাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় আসলেও আজঅবধি কোন চালই পায়নি তারা। এমনকি তাদের নাম যে তালিকায় রয়েছে সেটাও জানতেন না তারা। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে ২হাজার ৫শত টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদানের জন্য যে তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন, সেই সময় তারা জানতে পারে খাদ্যবান্ধব তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। অপরদিকে ৪নং ওয়ার্ডের মাসুম আলী মোল্লা ও লতিফের কার্ড নিয়ে নেন ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নাসরিন। তাদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত তারাও কোন চাল পায়নি। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, তাদের কার্ডে চাল উত্তোলন করছে ঐ মহিলা মেম্বারের ভাই। এ বিষয়ে তারা একাধিকবার ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করলেও কর্ণপাত করেনি তিনি। এ বিষয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পল্টু জানায়, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আমার জানা মতে ৪ ও ৯নং ওয়ার্ডে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু আমার ওয়ার্ডে নেই। তিনি আরো বলেন, তবে শুনেছি তালিকায় যাদের নাম আছে, এমন কিছুজন চাল পায় না। তাদের চাল অন্য কেউ উঠিয়ে নেয়। এ বিষয়ে ডিলার ভালো বলতে পারবে। ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নাসরিন জানায়, আমি শুধুমাত্র ৪টি কার্ড জমা নিয়েছিলাম, তা ইউনিয়ন পরিষদে জমাও দিয়েছি। আমি কাউকে কার্ড দেয় নাই। ইউনিয়ন পরিষদ কাকে সেই কার্ডগুলো দিয়েছে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মফি হোসেন জানায়, কার্ডের অনিয়মের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। যারা কার্ড নিয়ে আসে আমি তাদেরকেই চাল দিই। ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেরামত আলী জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকা প্রনয়ন ও কার্ড বিতরনের দায়িত্ব থাকে মেম্বারদের। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানায়, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া ইবি থানার ঝাউদিয়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নাসরিন মেম্বারের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম ০৬:৪২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ৭০০ হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানেন না তাদের নামে চাল উত্তোলন করা হয়। আবার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, তাদের কার্ড তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন এক ইউপি সদস্য। ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খয়বারের স্ত্রী পারুল, রওশনের ছেলে আফজেল ও একই ওয়ার্ডের আক্তারের মেয়ে সাগরিকা জানেই না তাদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড হয়েছে। ২০১৬সালে তাদের নাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় আসলেও আজঅবধি কোন চালই পায়নি তারা। এমনকি তাদের নাম যে তালিকায় রয়েছে সেটাও জানতেন না তারা। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে ২হাজার ৫শত টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদানের জন্য যে তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন, সেই সময় তারা জানতে পারে খাদ্যবান্ধব তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। অপরদিকে ৪নং ওয়ার্ডের মাসুম আলী মোল্লা ও লতিফের কার্ড নিয়ে নেন ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নাসরিন। তাদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত তারাও কোন চাল পায়নি। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, তাদের কার্ডে চাল উত্তোলন করছে ঐ মহিলা মেম্বারের ভাই। এ বিষয়ে তারা একাধিকবার ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করলেও কর্ণপাত করেনি তিনি। এ বিষয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পল্টু জানায়, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আমার জানা মতে ৪ ও ৯নং ওয়ার্ডে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু আমার ওয়ার্ডে নেই। তিনি আরো বলেন, তবে শুনেছি তালিকায় যাদের নাম আছে, এমন কিছুজন চাল পায় না। তাদের চাল অন্য কেউ উঠিয়ে নেয়। এ বিষয়ে ডিলার ভালো বলতে পারবে। ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নাসরিন জানায়, আমি শুধুমাত্র ৪টি কার্ড জমা নিয়েছিলাম, তা ইউনিয়ন পরিষদে জমাও দিয়েছি। আমি কাউকে কার্ড দেয় নাই। ইউনিয়ন পরিষদ কাকে সেই কার্ডগুলো দিয়েছে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মফি হোসেন জানায়, কার্ডের অনিয়মের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। যারা কার্ড নিয়ে আসে আমি তাদেরকেই চাল দিই। ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেরামত আলী জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকা প্রনয়ন ও কার্ড বিতরনের দায়িত্ব থাকে মেম্বারদের। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানায়, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।