ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কুষ্টিয়ার যৌতুকলোভী নরপশু স্বামীর শারীরিক নির্যাতনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাতরাচ্ছে এক গৃহবধু

এস,এম,ওয়ালিদুজ্জামান
 কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা সোহাগী খাতুন (৪০) তার স্বামীর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে হরিনারায়নপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৫ বছর আগে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামের আবেরের ছেলে সেকেনের সঙ্গে সোহাগীর বিয়ে হয়। তাদের বিবাহের পাঁচ বছর পর থেকে শুরু হয় সোহাগীর উপর শারীরিক নির্যাতন, এরই মাঝে তাদের কোলজুড়ে আসে তিনটি সন্তান অনেক কষ্ট করে তাদেরকে মানুষ করেছে এই সোহাগি। কিন্তু বিধাতার নির্মম পরিহাসে আজ তাকে ঘরছাড়া করেছেন তার পাষণ্ড স্বামী সেকেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে যাই সোহাগীর পিতার বাড়িতে, সেখানে গিয়ে দেখা যায় সোহাগী বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ বিষয়ে সোহাগীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী আজ থেকে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে শুধু অর্থের জন্য। গত ১০ বছর আগে আমার অনুমতি না নিয়ে তিনি আরেকটি বিবাহ করেন। এত নির্যাতনের পরেও আমি আমার সন্তানাদি নিয়ে দিনের পর দিন স্বামীর ঘর করেছি। গত ১০ বছর আগে আমাকে শারীরিকভাবে প্রচন্ড প্রহার করে সন্তানাদি দিয়ে আমাকে আমার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মাঝখানে দশটি বছর আমাকে আমার বাপের বাড়ি থাকতে হয়েছে। রাধানগর বাপের বাড়িতে থেকে সেকেন্ড এর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম। অবশেষে সেকেন্ড কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আবার পুনরায় আমাকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। আমি সেলাই মেশিনের কাজ জানি সেই সুবাদে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা জমিয়ে ছিলাম, গরু ক্রয় করেছিলাম, তৈরি করেছিলাম ঘরের আসবাবপত্র। উক্ত নগদ অর্থ সহ আসবাবপত্র গরু সহ আমাদেরকে আমাকে নিয়ে যায় ঝাউদিয়া মাছপাড়া তার বাড়িতে।
এরইমধ্যে আমাকে না জানিয়ে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবুও আমি মেনে নিয়ে সংসার করতে আগ্রহী হই। তার বাড়িতে ওঠার পর থেকেই নতুন করে এই নরপশু সেকেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুবি, ননদ কাজল ও ননদের ছেলে শলক একত্রে আমার ও আমার মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ৩ মাস আগে ইবি থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ইবি থানার কর্মকর্তা অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেন এবং সেকেনকে ফোন দিয়ে বলে যে, তোর বউ এসেছে তোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে তোর বউকে বাড়িতে নিয়ে যা।
সেখানে বিচার না পেয়ে অবশেষে গত ৩ মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোন ফলাফল পাইনি। কারণ উক্ত ইউনিয়নের মসজিদের মেম্বারের একান্ত সহচর এই নরপশুর সেকেন তার কথায় উঠাবসা করে সেকেন। সোহাগী আরো বলেন, সেকেন বিভিন্ন মামলার আসামি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি থেকে শুরু করে এমন কোন অভিযোগ নাই তার বিরুদ্ধে যা তিনি করেন না। অন্যদিকে সে একজন মাদকাসক্তি ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। সুষ্ঠু বিচারের আশায় কোর্ট থানা ইউনিয়ন পরিষদ মজিদ মেম্বার থেকে শুরু করে সকলের কাছে ঘুরেছি কিন্তু কেউ কোনো বিচার করে দেন নাই। অবশেষে গত মঙ্গলবার নরপশু সেকেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুবি, ননদ কাজল ও ননদের ছেলে শলক একত্রে মিলে আমাকে ও আমার ছোট মেয়েকে বেপরোয়া শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বর্তমানে আমি এখন আমার পিতার বাড়িতে আছি। বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার সময় বলে আরো নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসবি তাহলে তোদেরকে বাড়িতে জায়গা দেবো।
এদিকে তার বিবাহ উপযুক্ত ছোট মেয়ে বলেন, আমার বাবাসহ সকলে মিলে আমার মা ও আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং বলে এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসবি তাহলে তোদেরকে ঘরে তুলে নেব। মেয়েটি তেলটুপি হাই স্কুলে লেখাপড়া করছে বলে জানায়।
অন্যদিকে নির্যাতিত সোহাগীর পিতা প্রতিবেদককে বলেন, ২৫ বছর আগে আমার সোহাগী কে বিবাহ দিয়েছিলাম সেকেনের সাথে কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সে আবার ফিরে এসেছে আমাদের ঘরে আমি তার দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারছিনা। এই পঁচিশ বছরে সেকেনকে দফায় দফায় লাখ লাখ টাকা দিয়েছি কিন্তু এখন আমার দেওয়ার মতো কোন সামর্থ্য নাই আমরা এই সেকেনের কঠোর বিচার চাই।
এ বিষয়ে সেকেনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি দেখা করতে রাজি হননি। অন্যদিকে মজিদ মেম্বারের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি কাজে ব্যস্ত আছি এই মুহূর্তে দেখা করতে পারবোনা। অপরদিকে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেরামত আলীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সেকেন সম্পর্কে বলেন, সে একজন খারাপ ছেলে সে কারোর কথা শুনতে চায় না। আপনারা পারলে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা ব্যবস্থা করেন আমরা তার সঙ্গে পেরে দিচ্ছি না।
সেকেনের স্ত্রী সোহাগী বলেন, সেকেন ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মজিদ মেম্বারের হাতিয়ার হিসাবে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। মজিদের নেতৃত্বে সেকেন সকল প্রকার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে যে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউই ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না এবং বিচার সালিশ করতে পারছে না। তিনি এটাও বলেন এলাকার গডফাদার মসজিদের নেতৃত্বেই বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন এই সেকেন।
আমি এই সেকেন ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের কঠোর শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানাতে গত ২৮ তারিখে সেকেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান। প্রতিবেদনের কাছে বক্তব্য প্রদান করার পর তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহাগী হরিনারায়নপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রত অবস্থায় আছে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার যৌতুকলোভী নরপশু স্বামীর শারীরিক নির্যাতনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাতরাচ্ছে এক গৃহবধু

আপডেট টাইম ০২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
এস,এম,ওয়ালিদুজ্জামান
 কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা সোহাগী খাতুন (৪০) তার স্বামীর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে হরিনারায়নপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৫ বছর আগে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামের আবেরের ছেলে সেকেনের সঙ্গে সোহাগীর বিয়ে হয়। তাদের বিবাহের পাঁচ বছর পর থেকে শুরু হয় সোহাগীর উপর শারীরিক নির্যাতন, এরই মাঝে তাদের কোলজুড়ে আসে তিনটি সন্তান অনেক কষ্ট করে তাদেরকে মানুষ করেছে এই সোহাগি। কিন্তু বিধাতার নির্মম পরিহাসে আজ তাকে ঘরছাড়া করেছেন তার পাষণ্ড স্বামী সেকেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে যাই সোহাগীর পিতার বাড়িতে, সেখানে গিয়ে দেখা যায় সোহাগী বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ বিষয়ে সোহাগীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী আজ থেকে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে শুধু অর্থের জন্য। গত ১০ বছর আগে আমার অনুমতি না নিয়ে তিনি আরেকটি বিবাহ করেন। এত নির্যাতনের পরেও আমি আমার সন্তানাদি নিয়ে দিনের পর দিন স্বামীর ঘর করেছি। গত ১০ বছর আগে আমাকে শারীরিকভাবে প্রচন্ড প্রহার করে সন্তানাদি দিয়ে আমাকে আমার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মাঝখানে দশটি বছর আমাকে আমার বাপের বাড়ি থাকতে হয়েছে। রাধানগর বাপের বাড়িতে থেকে সেকেন্ড এর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম। অবশেষে সেকেন্ড কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আবার পুনরায় আমাকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। আমি সেলাই মেশিনের কাজ জানি সেই সুবাদে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা জমিয়ে ছিলাম, গরু ক্রয় করেছিলাম, তৈরি করেছিলাম ঘরের আসবাবপত্র। উক্ত নগদ অর্থ সহ আসবাবপত্র গরু সহ আমাদেরকে আমাকে নিয়ে যায় ঝাউদিয়া মাছপাড়া তার বাড়িতে।
এরইমধ্যে আমাকে না জানিয়ে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবুও আমি মেনে নিয়ে সংসার করতে আগ্রহী হই। তার বাড়িতে ওঠার পর থেকেই নতুন করে এই নরপশু সেকেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুবি, ননদ কাজল ও ননদের ছেলে শলক একত্রে আমার ও আমার মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ৩ মাস আগে ইবি থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ইবি থানার কর্মকর্তা অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেন এবং সেকেনকে ফোন দিয়ে বলে যে, তোর বউ এসেছে তোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে তোর বউকে বাড়িতে নিয়ে যা।
সেখানে বিচার না পেয়ে অবশেষে গত ৩ মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোন ফলাফল পাইনি। কারণ উক্ত ইউনিয়নের মসজিদের মেম্বারের একান্ত সহচর এই নরপশুর সেকেন তার কথায় উঠাবসা করে সেকেন। সোহাগী আরো বলেন, সেকেন বিভিন্ন মামলার আসামি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি থেকে শুরু করে এমন কোন অভিযোগ নাই তার বিরুদ্ধে যা তিনি করেন না। অন্যদিকে সে একজন মাদকাসক্তি ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। সুষ্ঠু বিচারের আশায় কোর্ট থানা ইউনিয়ন পরিষদ মজিদ মেম্বার থেকে শুরু করে সকলের কাছে ঘুরেছি কিন্তু কেউ কোনো বিচার করে দেন নাই। অবশেষে গত মঙ্গলবার নরপশু সেকেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুবি, ননদ কাজল ও ননদের ছেলে শলক একত্রে মিলে আমাকে ও আমার ছোট মেয়েকে বেপরোয়া শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বর্তমানে আমি এখন আমার পিতার বাড়িতে আছি। বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার সময় বলে আরো নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসবি তাহলে তোদেরকে বাড়িতে জায়গা দেবো।
এদিকে তার বিবাহ উপযুক্ত ছোট মেয়ে বলেন, আমার বাবাসহ সকলে মিলে আমার মা ও আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং বলে এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসবি তাহলে তোদেরকে ঘরে তুলে নেব। মেয়েটি তেলটুপি হাই স্কুলে লেখাপড়া করছে বলে জানায়।
অন্যদিকে নির্যাতিত সোহাগীর পিতা প্রতিবেদককে বলেন, ২৫ বছর আগে আমার সোহাগী কে বিবাহ দিয়েছিলাম সেকেনের সাথে কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সে আবার ফিরে এসেছে আমাদের ঘরে আমি তার দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারছিনা। এই পঁচিশ বছরে সেকেনকে দফায় দফায় লাখ লাখ টাকা দিয়েছি কিন্তু এখন আমার দেওয়ার মতো কোন সামর্থ্য নাই আমরা এই সেকেনের কঠোর বিচার চাই।
এ বিষয়ে সেকেনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি দেখা করতে রাজি হননি। অন্যদিকে মজিদ মেম্বারের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি কাজে ব্যস্ত আছি এই মুহূর্তে দেখা করতে পারবোনা। অপরদিকে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেরামত আলীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সেকেন সম্পর্কে বলেন, সে একজন খারাপ ছেলে সে কারোর কথা শুনতে চায় না। আপনারা পারলে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা ব্যবস্থা করেন আমরা তার সঙ্গে পেরে দিচ্ছি না।
সেকেনের স্ত্রী সোহাগী বলেন, সেকেন ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মজিদ মেম্বারের হাতিয়ার হিসাবে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। মজিদের নেতৃত্বে সেকেন সকল প্রকার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে যে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউই ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না এবং বিচার সালিশ করতে পারছে না। তিনি এটাও বলেন এলাকার গডফাদার মসজিদের নেতৃত্বেই বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন এই সেকেন।
আমি এই সেকেন ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের কঠোর শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানাতে গত ২৮ তারিখে সেকেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান। প্রতিবেদনের কাছে বক্তব্য প্রদান করার পর তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহাগী হরিনারায়নপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রত অবস্থায় আছে।