মাতৃভূমির খবর ডেস্ক 
এস, এম, ওয়ালিদুজ্জামান শুভ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।
পেশাদারিত্ব,সামাজিক দায়বদ্ধতা ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা প্রদানের অনন্য নজির স্থাপন করেছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার সর্বমহলের আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কুষ্টিয়া থেকে চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০০/৬০০ রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকেন। বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা এখন ঘরের পাশে প্রাণের কুষ্টিয়া শহরেই মিলছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র কুষ্টিয়ায় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১৮ তম শাখার শুভ উদ্বোধন হয়। কুষ্টিয়া শহরের কলেজ মোড়ে ১০ তলা বিশিষ্ট পরিবেশ বান্ধব আধুনিক ভবনের পুরো অংশজুড়েই চলছে চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম। ২৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ২৭০ জন কর্মী নিয়ে গঠিত ডেডিকেটেড টিম সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে তৎপর রয়েছেন। সর্বাক্ষনিক জেনারেটর ও লিফ্ট,ট্রলি ও হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকায় রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি কমেছে। দ্রূত সময়ে নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ ল্যাব। ক্যান্সার,এইডসসহ যেকোনো জটিল রোগ নির্ণয়ে এখন আর ঢাকা যেতে হচ্ছে না। সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হচ্ছে। যে সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তন ও চিকিৎসা সেবার মান কয়েক ধাপ বৃদ্ধি পেয়েছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের অন্যতম। কুষ্টিয়া শাখার ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান,সহজে স্বল্প সময়ে
রোগ নির্ণয় ও রোগীর সুস্থতা ও স্বজনদের স্বস্তি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি আরো বলেন, সকাল ৭ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত হটলাইন নাম্বারে ৮৮০৯৬১৩৭৮৭১৭ নাম্বারে যে কোন অপারেটর থেকে কল করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সিরিয়াল প্রদান,জরুরী এ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে পারেন। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে বিনামুল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক রোগী কে ডিজিটাল কিউআর কোড সমৃদ্ধ কার্ড দেওয়া হয়। রোগীর মোবাইল নাম্বারই এই কার্ডের আইডি পাসওয়ার্ড। ঘরে বসেই পপুলারের ওয়েবসাইটে লগ ইন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নিতে পারে। রোগীর তথ্য ও প্রেসক্রিপসন অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে বলে জানান তিনি। রোগী ও রোগীর স্বজনের কোনরকম হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে ব্যাপক পেশাদার ও আন্তরিক প্রতিষ্ঠানটির কর্মীবৃন্দ। দরিদ্র রোগীদের প্যাথলজিক্যাল টেস্টের সেবামূল্যে রয়েছে ছাড়ের ব্যবস্থা। সেবামূল্য পরিশোধ করলে গ্রাহককে কম্পিউটারাইজড রিসিট দেয়া হয়। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রত্যেক ফ্লোরে রয়েছে সুপ্রশস্ত করিডোর। ১ম তলায় অবস্থিত মডেল ফার্মেসীতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ওষুধ বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ১০ তলায় রয়েছে নামাজের স্থান। উল্লেখ্য যে, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সাল থেকে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের এখন আর দূরে যেতে হয় না হাতের কাছে উন্নত মানের সেবা আমরা পাচ্ছি এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাতে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে সেই সাথে আমাদের সময় ও বেঁচে যাচ্ছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
