ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত রানীশংকৈল মডেল স্কুলের আলোচিত ধীরেন্দ্রনাথ সহ ৪ শিক্ষক বদলি । কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদন্ড টাঙ্গাইলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনের সাথেও জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের ২জনের রিমান্ড মঞ্জুর। “পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন” যুবলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে.. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী দুমকিতে ১২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাবের ফাঁদে পলায়নরত ধর্ষক আটক। সন্তানের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে লক্ষ্মীপুরে পঙ্গু বাবার আকুতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোডে মই বিক্রেতার মূল হোতা গ্রেফতার

কুলাউড়ায় বিদ্যুতের ভেলকিতে, অতিষ্ঠ গ্রাহক দেখার কেউ নেই

উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বক্স (পাবেল)

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক চলছে কঠোর লক ডাউন। সমাজের সকল পর্যায়ের নাগরিক এখন ঘরবন্দী। টিভি কম্পিউটার আর মোবাইল ব্যবহারের মধ্যেই অতিবাহিত হচ্ছে জীবন । স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারনে পড়া লেখা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। করোনা আতংক, আর্থিক সমস্যা সহ নানাবিধ দুঃশ্চিতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের দিনকাল, সংকটপুর্ন এই সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন কুলাউড়ার ঘরবন্দী মানুষ।

বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কুলাউড়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা, তীব্র গরমে বাইরে কাজ করা তো দূরের কথা, ঘরে থেকেও প্রাণ যায় যা অবস্থা। এ দূর্বিষহ অবস্থায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পিডিবির হাজার হাজার গ্রাহককে।

কুলাউড়া উপজেলার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি।

কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রটি প্রথমে ৩৩ হাজার তাপ থাকলেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে নতুন একলক্ষ সংযুক্ত করে একলক্ষ ৩৩ হাজার করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও বিদ্যুৎ সমস্যা পিছু চাড়ছেনা কুলাউড়াবাসীর।সামান্য ঝড় বৃষ্টি বা বাতাস অাসলেই লাপাত্তা কুলাউড়ার বিদ্যুৎ। নির্ধারিত অভিযোগ নাম্বার থাকলেও বার বার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়না কাউকে, সৌভাগ্যক্রমে ফোন রিসিভ হলেও পাওয়া যায়না কোন সদ্বুত্তর।এছাড়া অবৈধ লাইন সংযোগ, অতিরিক্ত বিল প্রদান ও মাসের পর মাস বিল না দিয়ে হটাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, কয়েকজন কর্মচারী কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহক হয়রানি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে কুলাউড়ায় কর্মরত বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে ইলেকট্রিক অনেক মেশিনারী ও ব্যবহারিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে জনসাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন, এই লোডশেডিং যন্ত্রণার শেষ কোথায়। বিদ্যুত বিভ্রাট ও ঘনঘন লোডশেডিং থেকে পরিত্রাণ পেথে জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন কুলাউড়ার সচেতন জনসাধারণ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত

কুলাউড়ায় বিদ্যুতের ভেলকিতে, অতিষ্ঠ গ্রাহক দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম ০৪:০১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বক্স (পাবেল)

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক চলছে কঠোর লক ডাউন। সমাজের সকল পর্যায়ের নাগরিক এখন ঘরবন্দী। টিভি কম্পিউটার আর মোবাইল ব্যবহারের মধ্যেই অতিবাহিত হচ্ছে জীবন । স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারনে পড়া লেখা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। করোনা আতংক, আর্থিক সমস্যা সহ নানাবিধ দুঃশ্চিতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের দিনকাল, সংকটপুর্ন এই সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন কুলাউড়ার ঘরবন্দী মানুষ।

বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কুলাউড়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা, তীব্র গরমে বাইরে কাজ করা তো দূরের কথা, ঘরে থেকেও প্রাণ যায় যা অবস্থা। এ দূর্বিষহ অবস্থায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পিডিবির হাজার হাজার গ্রাহককে।

কুলাউড়া উপজেলার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি।

কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রটি প্রথমে ৩৩ হাজার তাপ থাকলেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে নতুন একলক্ষ সংযুক্ত করে একলক্ষ ৩৩ হাজার করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও বিদ্যুৎ সমস্যা পিছু চাড়ছেনা কুলাউড়াবাসীর।সামান্য ঝড় বৃষ্টি বা বাতাস অাসলেই লাপাত্তা কুলাউড়ার বিদ্যুৎ। নির্ধারিত অভিযোগ নাম্বার থাকলেও বার বার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়না কাউকে, সৌভাগ্যক্রমে ফোন রিসিভ হলেও পাওয়া যায়না কোন সদ্বুত্তর।এছাড়া অবৈধ লাইন সংযোগ, অতিরিক্ত বিল প্রদান ও মাসের পর মাস বিল না দিয়ে হটাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, কয়েকজন কর্মচারী কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহক হয়রানি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে কুলাউড়ায় কর্মরত বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে ইলেকট্রিক অনেক মেশিনারী ও ব্যবহারিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে জনসাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন, এই লোডশেডিং যন্ত্রণার শেষ কোথায়। বিদ্যুত বিভ্রাট ও ঘনঘন লোডশেডিং থেকে পরিত্রাণ পেথে জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন কুলাউড়ার সচেতন জনসাধারণ।