ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কুলাউড়ায় বিদ্যুতের ভেলকিতে, অতিষ্ঠ গ্রাহক দেখার কেউ নেই

উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বক্স (পাবেল)

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক চলছে কঠোর লক ডাউন। সমাজের সকল পর্যায়ের নাগরিক এখন ঘরবন্দী। টিভি কম্পিউটার আর মোবাইল ব্যবহারের মধ্যেই অতিবাহিত হচ্ছে জীবন । স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারনে পড়া লেখা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। করোনা আতংক, আর্থিক সমস্যা সহ নানাবিধ দুঃশ্চিতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের দিনকাল, সংকটপুর্ন এই সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন কুলাউড়ার ঘরবন্দী মানুষ।

বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কুলাউড়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা, তীব্র গরমে বাইরে কাজ করা তো দূরের কথা, ঘরে থেকেও প্রাণ যায় যা অবস্থা। এ দূর্বিষহ অবস্থায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পিডিবির হাজার হাজার গ্রাহককে।

কুলাউড়া উপজেলার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি।

কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রটি প্রথমে ৩৩ হাজার তাপ থাকলেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে নতুন একলক্ষ সংযুক্ত করে একলক্ষ ৩৩ হাজার করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও বিদ্যুৎ সমস্যা পিছু চাড়ছেনা কুলাউড়াবাসীর।সামান্য ঝড় বৃষ্টি বা বাতাস অাসলেই লাপাত্তা কুলাউড়ার বিদ্যুৎ। নির্ধারিত অভিযোগ নাম্বার থাকলেও বার বার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়না কাউকে, সৌভাগ্যক্রমে ফোন রিসিভ হলেও পাওয়া যায়না কোন সদ্বুত্তর।এছাড়া অবৈধ লাইন সংযোগ, অতিরিক্ত বিল প্রদান ও মাসের পর মাস বিল না দিয়ে হটাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, কয়েকজন কর্মচারী কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহক হয়রানি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে কুলাউড়ায় কর্মরত বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে ইলেকট্রিক অনেক মেশিনারী ও ব্যবহারিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে জনসাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন, এই লোডশেডিং যন্ত্রণার শেষ কোথায়। বিদ্যুত বিভ্রাট ও ঘনঘন লোডশেডিং থেকে পরিত্রাণ পেথে জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন কুলাউড়ার সচেতন জনসাধারণ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কুলাউড়ায় বিদ্যুতের ভেলকিতে, অতিষ্ঠ গ্রাহক দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম ০৪:০১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বক্স (পাবেল)

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক চলছে কঠোর লক ডাউন। সমাজের সকল পর্যায়ের নাগরিক এখন ঘরবন্দী। টিভি কম্পিউটার আর মোবাইল ব্যবহারের মধ্যেই অতিবাহিত হচ্ছে জীবন । স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারনে পড়া লেখা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। করোনা আতংক, আর্থিক সমস্যা সহ নানাবিধ দুঃশ্চিতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের দিনকাল, সংকটপুর্ন এই সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন কুলাউড়ার ঘরবন্দী মানুষ।

বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কুলাউড়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা, তীব্র গরমে বাইরে কাজ করা তো দূরের কথা, ঘরে থেকেও প্রাণ যায় যা অবস্থা। এ দূর্বিষহ অবস্থায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পিডিবির হাজার হাজার গ্রাহককে।

কুলাউড়া উপজেলার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি।

কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রটি প্রথমে ৩৩ হাজার তাপ থাকলেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে নতুন একলক্ষ সংযুক্ত করে একলক্ষ ৩৩ হাজার করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও বিদ্যুৎ সমস্যা পিছু চাড়ছেনা কুলাউড়াবাসীর।সামান্য ঝড় বৃষ্টি বা বাতাস অাসলেই লাপাত্তা কুলাউড়ার বিদ্যুৎ। নির্ধারিত অভিযোগ নাম্বার থাকলেও বার বার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়না কাউকে, সৌভাগ্যক্রমে ফোন রিসিভ হলেও পাওয়া যায়না কোন সদ্বুত্তর।এছাড়া অবৈধ লাইন সংযোগ, অতিরিক্ত বিল প্রদান ও মাসের পর মাস বিল না দিয়ে হটাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, কয়েকজন কর্মচারী কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহক হয়রানি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে কুলাউড়ায় কর্মরত বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে ইলেকট্রিক অনেক মেশিনারী ও ব্যবহারিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে জনসাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন, এই লোডশেডিং যন্ত্রণার শেষ কোথায়। বিদ্যুত বিভ্রাট ও ঘনঘন লোডশেডিং থেকে পরিত্রাণ পেথে জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন কুলাউড়ার সচেতন জনসাধারণ।