ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

কুলাউড়ায় পাকা সেতুর অপেক্ষায় ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও, দুর্ভোগে পোহাচ্ছে চার গ্রামের মানুষ

কুলাউড়ায় পাকা সেতুর অপেক্ষায় ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও, দুর্ভোগে পোহাচ্ছে চার গ্রামের মানুষ

উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বক্স (পাবেল)
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ স্বাধীনতার আগ থেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হলেও একটি পাকা সেতুর অভাবে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না আবুতালিপুর, রামপাশা, মিঠুপুর ও বেগমানপুর প্রায় ১০ সহস্রাধিক লোকজন। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধির উপর স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে নানা ক্ষোভ ও হতাশা। এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের আক্ষেপ আদৌ কি এই সেতু হবে। নাকি সেতু নির্মাণের স্বপ্ন নিয়েই মরতে হবে এই ধারনা কাজ করছে তাদের মনে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের একটি সাঁকো তৈরি করে দেয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ অনেকেই সাময়িক যাতায়াত করতে পারছেন।

জানা যায়, উপজেলা জয়চন্ডী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গোগালীছড়া নদী। সেই উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় চারটি গ্রামের লোকজন। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করলে প্রায় ৫০ বছর থেকে এই সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার পথচারী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পারপার হতে হয়। বাঁশের ওই সাঁকোটি প্রতি বছর খরা ও পানির স্রোতে ভেঙ্গে পড়লে এলাকাবাসী আবার তা পুনরায় সংস্কার করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে তুলেন।

চার গ্রামের লোকজন স্বাধীনতার পর থেকে গোগালী ছড়া নদীর উপর একটি পাঁকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের অনেক বড়কর্তাও। কিন্তু কবে বাস্তবায়ন হবে সেই প্রতিশ্রুতির আশায় এখনো পথ চেয়ে আছেন ভুক্তভোগীরা।

আবুতালিপুর, রামপাশা, মিঠুপুর ও বেগমানপুর গ্রামের মানুষ নিয়মিত এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও এলাকার শিক্ষার্থীরা সাঁকো পার হয়ে স্থানীয় দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রহমত আলী ও বন্দে আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে স্থানীয় ব্যক্তিরা চাঁদা তুলে সাঁকো সংস্কার করে থাকেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

কুলাউড়ায় পাকা সেতুর অপেক্ষায় ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও, দুর্ভোগে পোহাচ্ছে চার গ্রামের মানুষ

আপডেট টাইম ০৭:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

কুলাউড়ায় পাকা সেতুর অপেক্ষায় ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও, দুর্ভোগে পোহাচ্ছে চার গ্রামের মানুষ

উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বক্স (পাবেল)
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ স্বাধীনতার আগ থেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হলেও একটি পাকা সেতুর অভাবে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না আবুতালিপুর, রামপাশা, মিঠুপুর ও বেগমানপুর প্রায় ১০ সহস্রাধিক লোকজন। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধির উপর স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে নানা ক্ষোভ ও হতাশা। এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের আক্ষেপ আদৌ কি এই সেতু হবে। নাকি সেতু নির্মাণের স্বপ্ন নিয়েই মরতে হবে এই ধারনা কাজ করছে তাদের মনে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের একটি সাঁকো তৈরি করে দেয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ অনেকেই সাময়িক যাতায়াত করতে পারছেন।

জানা যায়, উপজেলা জয়চন্ডী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গোগালীছড়া নদী। সেই উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় চারটি গ্রামের লোকজন। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করলে প্রায় ৫০ বছর থেকে এই সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার পথচারী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পারপার হতে হয়। বাঁশের ওই সাঁকোটি প্রতি বছর খরা ও পানির স্রোতে ভেঙ্গে পড়লে এলাকাবাসী আবার তা পুনরায় সংস্কার করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে তুলেন।

চার গ্রামের লোকজন স্বাধীনতার পর থেকে গোগালী ছড়া নদীর উপর একটি পাঁকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের অনেক বড়কর্তাও। কিন্তু কবে বাস্তবায়ন হবে সেই প্রতিশ্রুতির আশায় এখনো পথ চেয়ে আছেন ভুক্তভোগীরা।

আবুতালিপুর, রামপাশা, মিঠুপুর ও বেগমানপুর গ্রামের মানুষ নিয়মিত এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও এলাকার শিক্ষার্থীরা সাঁকো পার হয়ে স্থানীয় দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রহমত আলী ও বন্দে আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে স্থানীয় ব্যক্তিরা চাঁদা তুলে সাঁকো সংস্কার করে থাকেন।