ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বশর ভূঁইয়া পরিষদের ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আশারুল শেখ এবং তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস শেখ ও খায়রুল শেখ’কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

কুয়েতে ১৫৮ বাংলাদেশি শ্রমিকের মুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতবাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ২০৯ শ্রমিকদের মধ্যে ১৫৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে কুয়েত সরকার। আটক অন্য শ্রমিকদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। বুধবার কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধান মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জানুয়ারি দূতাবাসে হামলার ঘটনায় আটক ২০৯ শ্রমিকদের মধ্যে ১৫৮ জনকে মঙ্গলবার মুক্তি দিয়েছে কুয়েত সরকার।

এছাড়া আটক ৫১ জনের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের আটক রাখা হয়েছে। বাকি ৩১ জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভিন্ন মামলা থাকায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, আটক শ্রমিকদের মুক্তির ব্যাপারে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া গত রোববার থেকে দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম অভ্যাহত আছে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ১৭ জানুয়ারি সকালে কুয়েতস্থ খালেদিয়া এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা চালায় প্রবাসী বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশিরা। এতে দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন। ভাঙচুর করা হয় দূতাবাসের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লেসকো কোম্পানির চার শতাধিক শ্রমিক আকামাহীন ও বকেয়া বেতন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার দাবি নিয়ে দূতাবাসে অবস্থান নেন। বিক্ষুব্ধ ও ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের কাছে দালালদের নাম, পাসপোর্ট কপি, ভুক্তভোগী শ্রমিকদের নাম ও সিভিল আইডি নম্বরসহ লিখিত অভিযোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত তাদের অভিযোগ শোনেন এবং তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে সমস্যা সমাধান করে ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় শ্রমিকরা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে না পেরে বের হওয়ার সময় দূতাবাসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত প্রবাসী শ্রমিকরা বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দূতাবাসে ভাঙচুর চালায়।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত বর্তমানে দেশটিতে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। পরিবারের সুখের আশায় দালালের ফাঁদে পড়ে অনেকেই কুয়েতে এসে শ্রমিকরা আকামাহীন, কর্মহীন, চার-পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড

কুয়েতে ১৫৮ বাংলাদেশি শ্রমিকের মুক্তি

আপডেট টাইম ০৯:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতবাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ২০৯ শ্রমিকদের মধ্যে ১৫৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে কুয়েত সরকার। আটক অন্য শ্রমিকদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। বুধবার কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধান মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জানুয়ারি দূতাবাসে হামলার ঘটনায় আটক ২০৯ শ্রমিকদের মধ্যে ১৫৮ জনকে মঙ্গলবার মুক্তি দিয়েছে কুয়েত সরকার।

এছাড়া আটক ৫১ জনের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের আটক রাখা হয়েছে। বাকি ৩১ জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভিন্ন মামলা থাকায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, আটক শ্রমিকদের মুক্তির ব্যাপারে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া গত রোববার থেকে দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম অভ্যাহত আছে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ১৭ জানুয়ারি সকালে কুয়েতস্থ খালেদিয়া এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা চালায় প্রবাসী বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশিরা। এতে দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন। ভাঙচুর করা হয় দূতাবাসের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লেসকো কোম্পানির চার শতাধিক শ্রমিক আকামাহীন ও বকেয়া বেতন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার দাবি নিয়ে দূতাবাসে অবস্থান নেন। বিক্ষুব্ধ ও ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের কাছে দালালদের নাম, পাসপোর্ট কপি, ভুক্তভোগী শ্রমিকদের নাম ও সিভিল আইডি নম্বরসহ লিখিত অভিযোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত তাদের অভিযোগ শোনেন এবং তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে সমস্যা সমাধান করে ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় শ্রমিকরা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে না পেরে বের হওয়ার সময় দূতাবাসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত প্রবাসী শ্রমিকরা বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দূতাবাসে ভাঙচুর চালায়।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত বর্তমানে দেশটিতে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। পরিবারের সুখের আশায় দালালের ফাঁদে পড়ে অনেকেই কুয়েতে এসে শ্রমিকরা আকামাহীন, কর্মহীন, চার-পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।