মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদরের কৃতিসন্তান তাহার বেড়ে ওঠা জীবন একজন প্রকৃত, খাঁটি ও ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা মুহাম্মদ রুহুল আমিন সভাপতি, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ।
মুহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সদরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা: ওয়ালী আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশে কুমিল্লা-৩ আসনের প্রথম নির্বাচিত এমপি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। মুহাম্মদ রুহুল আমিন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ হতে এম.কম ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনৈতিক কর্মকান্ড:
১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুরাদনগর গেলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিরোচিত সংবর্ধনা জানান মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ডা: ওয়ালী আহমদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জনাব হাজী আবুল হাসেম বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তখন ছাত্রনেতা হিসাবে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে মুজিব বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন। যুদ্ধকালে কারাবন্দী হন ওনার বাবা ডা: ওয়ালী আহমেদ এবং বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন রুহুল আমিন ও তাঁর আপন দুই ভাই।
তিনি ১৯৭২ সালে মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়ে উনার পিতা জনাব ডা: ওয়ালী আহমেদ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। উক্ত নির্বাচনে ছাত্রনেতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন রুহুল আমিন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট, ঘাতকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে নির্মম মৃত্যুতে, ডা: ওয়ালী আহমদের নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ করেন রুহুল আমিন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবী জানাজা অনুষ্ঠিত করলে, তৎকালীন খুনী মোস্তাকের সরকার ওয়ালী আহমদের পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দেয়।
মুহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৭৯ সালে মুরাদনগর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ১৯৮৪ সালে মুরাদনগর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৮৮ সালে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত হন।
১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান কিন্তু দলের বৃহত্তর স্বার্থে সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
১৯৯২ সালে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৬ সালে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনীত হন।
২০১৯ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এর দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে বর্তমানে কুমিল্লার উত্তর জেলার সভাপতি হিসেবে দিয়িত্ব পালন করছেন।