মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর:
সজিবের মা ফুলমতি বেগম সারাদিন অন্যের বাসায় জীয়ের কাজ করেন। কাজ শেষে গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর শংরাই এলাকায় এক মাদ্রাসায় তার ছেলে সজিব পড়াশুনা করে তাকে দেখতে ও সন্তানের জন্য খাবার নিয়ে গেলন। কিন্তু গিয়ে তার সন্তানের খোজ করে পাচ্ছিলেন না।
মাদ্রাসার লোকজন তাকে জানান তার সন্তান সজিব ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছে।
ফুলমতি বেগম বললেন তার সন্তান বাড়ী যায় নি। একটু পরেই তিনি মাদ্রাসার লেপ তোষকের স্তুপে দেখেন তার প্রিয় সন্তানের লাশ পরে আছে। কিছুদিন পূর্বে ফুলমতির স্বামী মারা গেছেন। সন্তানকে অবলম্বন করেই তার যুদ্ধ। আজ সন্তান হারিয়ে তিনি পাগল মনা হয়ে কাঁদছে। আর কোন সান্তনাই মা ফুলমতির মন শান্ত করতে পারছে না।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার জনগন একনজর দেখতে ভীড় জমায় তারা চোখের পানি আটকে রাখতে পারে নি। কুমিল্লা সংরাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জনসাধারণের ধারনা এটা হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ ধারনা করছে মাদ্রাসার ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য বহিরাগতরাও এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ খবর পেয়ে কোতোয়ালি পুলিশ ঘটনা স্থলে যায় এবং মাদ্রাসার তিন হুজুর কে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় নিয়ে আসে। সূত্রে আরো জনা যায় সজিবদের বাড়ি জগন্নাথ মন্দিরের পাশে, বাবা না থাকায় শংরাইশ মায়ের সাথে থাকতো।