ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কুমিল্লায় ঔষধ রাখার ফ্রিজে মাংস রাখার দায়ে হাসপাতাল সিলগালা

তানজিন আহমেদ সাদ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনার নুরপুরের সাথের এলাকায় নিবেদিতা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে যন্ত্রপাতি ও আলাদা একটি কক্ষে ওষুধ রাখার ফ্রিজে মাংস পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই হাসপাতাল সিলগালা করে দেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার (কোওর্ডিনেটর) আবদুল্লাহ আল সাকী। অভিযানে আরও উপস্থিত সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার কেয়া রাণী। আতি সম্প্রতি কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে নিবেদিতা হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি ও আলাদা একটি কক্ষে ঔষধ সংরক্ষণের ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালে সদ্য জড়াইয়ু অপারেশন করা মরিয়ম নামের এক রোগী পাওয়া গেলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও নার্স বা ডাক্তার তাকে দেখতে আসেননি। কোনও ডাক্তার বা নার্সকেও হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। এমন অবেহেলা ও স্বাস্থ্য সেবার মানের দুরবস্থার কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে রোগী থাকায় হাসপাতালটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করা হয়নি। নতুন রোগী ভর্তি না করিয়ে বর্তমান যারা আছেন তাদের চলে যাওয়ার পর হাসপাতাল বন্ধ করা হবে।
আবদুল্লাহ আল সাকী বলেন,আমরা তিনটি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছি। দুটির সামান্য কিছু ত্রুটি ছিল। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু নিবেদিতা হাসপাতালে অবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য সংখ্যক রোগী। কোনও ডাক্তার নেই, নার্স নেই, বর্জ্য ব্যবস্থা নেই। আমরা হাসপাতালটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। তবে একটি রোগী থাকায় বলেছি নতুন কাউকে ভর্তি না করাতে বলেছি।

এদিকে অভিযুক্ত নিবেদিতা হাসপাতালের মালিক অরুণ দেব বলেন আমি ও আমার ওয়াইফ দু’জনই হিন্দু আমরা কেন ফ্রিজে গরুর মাংস রাখতে যাব?। হাসাপাতালের রোগীও জানে আমরা হিন্দু তাই তারা রাখবে না। ফ্রিজের নরমালে ঔষধ রাখি কিন্তু কোন ফাঁকে রোগীর আত্মীয়রা মাছ মাংস রাখছে তা আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত হাসপাতালের একমাত্র ভর্তি থাকা রোগী মরিয়ম বেগম এর বোন জানান,আমার ছেলে বাসা থেকে মাছ এনেছিল ওটা ডিপে রাখছি ঔষধ যেখানে থাকে সেখানে রাখিনি। আমরা গোশত না মাছ রেখেছি।
কুমিল্লায় এত হাসপাতাল থাকতে আপনারা চৌদ্দগ্রাম থেকে রোগী এখানে এনেছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রোগীর বড় বোন জামাই বলেন, বছর খনেক আগে আমার মেয়ের এখানে বাচ্চা হয়েছে সে জন্য আমরা এখানে এসেছি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় ঔষধ রাখার ফ্রিজে মাংস রাখার দায়ে হাসপাতাল সিলগালা

আপডেট টাইম ১২:১২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

তানজিন আহমেদ সাদ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনার নুরপুরের সাথের এলাকায় নিবেদিতা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে যন্ত্রপাতি ও আলাদা একটি কক্ষে ওষুধ রাখার ফ্রিজে মাংস পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই হাসপাতাল সিলগালা করে দেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার (কোওর্ডিনেটর) আবদুল্লাহ আল সাকী। অভিযানে আরও উপস্থিত সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার কেয়া রাণী। আতি সম্প্রতি কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে নিবেদিতা হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি ও আলাদা একটি কক্ষে ঔষধ সংরক্ষণের ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালে সদ্য জড়াইয়ু অপারেশন করা মরিয়ম নামের এক রোগী পাওয়া গেলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও নার্স বা ডাক্তার তাকে দেখতে আসেননি। কোনও ডাক্তার বা নার্সকেও হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। এমন অবেহেলা ও স্বাস্থ্য সেবার মানের দুরবস্থার কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে রোগী থাকায় হাসপাতালটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করা হয়নি। নতুন রোগী ভর্তি না করিয়ে বর্তমান যারা আছেন তাদের চলে যাওয়ার পর হাসপাতাল বন্ধ করা হবে।
আবদুল্লাহ আল সাকী বলেন,আমরা তিনটি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছি। দুটির সামান্য কিছু ত্রুটি ছিল। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু নিবেদিতা হাসপাতালে অবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য সংখ্যক রোগী। কোনও ডাক্তার নেই, নার্স নেই, বর্জ্য ব্যবস্থা নেই। আমরা হাসপাতালটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। তবে একটি রোগী থাকায় বলেছি নতুন কাউকে ভর্তি না করাতে বলেছি।

এদিকে অভিযুক্ত নিবেদিতা হাসপাতালের মালিক অরুণ দেব বলেন আমি ও আমার ওয়াইফ দু’জনই হিন্দু আমরা কেন ফ্রিজে গরুর মাংস রাখতে যাব?। হাসাপাতালের রোগীও জানে আমরা হিন্দু তাই তারা রাখবে না। ফ্রিজের নরমালে ঔষধ রাখি কিন্তু কোন ফাঁকে রোগীর আত্মীয়রা মাছ মাংস রাখছে তা আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত হাসপাতালের একমাত্র ভর্তি থাকা রোগী মরিয়ম বেগম এর বোন জানান,আমার ছেলে বাসা থেকে মাছ এনেছিল ওটা ডিপে রাখছি ঔষধ যেখানে থাকে সেখানে রাখিনি। আমরা গোশত না মাছ রেখেছি।
কুমিল্লায় এত হাসপাতাল থাকতে আপনারা চৌদ্দগ্রাম থেকে রোগী এখানে এনেছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রোগীর বড় বোন জামাই বলেন, বছর খনেক আগে আমার মেয়ের এখানে বাচ্চা হয়েছে সে জন্য আমরা এখানে এসেছি।