ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কুমিল্লার সোহেল হত্যাকান্ডে ঘটনাস্থলের কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। কাউন্সিলর সোহেলকে সুজানগরে যেখানে হত্যা করা তার ঠিক আধা কিলোমিটার দূরে একটি বাসাবাড়ির সীমানা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে এলজি, পাইপগান, ১২টি গুলি, বোমা সদৃশ বস্তু, ব্যাগ ও কালো পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, সোমবারের কিলিং মিশনে এ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। তবুও আমরা ব্যাপক বিশ্লেষণ করব।’

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেলাল মিয়ার বাসার সীমানা প্রাচীরের আশপাশে তিনটি কাঁধ ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ ব্যাগ তল্লাশি করে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ১৫-২০টি অবিস্ফোরিত বোমাসদৃশ বস্তু, তিনটি কালো ব্যাগ, দুটি কালো জামা ও ১২ রাউন্ড বুলেট পায়। নিজ কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ওই কাউন্সিলরসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৫ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাছুরায়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।

১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া জানান, নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায়।
হামলায় আহত জুয়েল বলেন, ‘আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি, সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর কী হয়েছে বলতে পারছি না।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।’ হামলাকারীরা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

কুমিল্লার সোহেল হত্যাকান্ডে ঘটনাস্থলের কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

আপডেট টাইম ০৭:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। কাউন্সিলর সোহেলকে সুজানগরে যেখানে হত্যা করা তার ঠিক আধা কিলোমিটার দূরে একটি বাসাবাড়ির সীমানা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে এলজি, পাইপগান, ১২টি গুলি, বোমা সদৃশ বস্তু, ব্যাগ ও কালো পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, সোমবারের কিলিং মিশনে এ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। তবুও আমরা ব্যাপক বিশ্লেষণ করব।’

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেলাল মিয়ার বাসার সীমানা প্রাচীরের আশপাশে তিনটি কাঁধ ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ ব্যাগ তল্লাশি করে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ১৫-২০টি অবিস্ফোরিত বোমাসদৃশ বস্তু, তিনটি কালো ব্যাগ, দুটি কালো জামা ও ১২ রাউন্ড বুলেট পায়। নিজ কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ওই কাউন্সিলরসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৫ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাছুরায়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।

১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া জানান, নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায়।
হামলায় আহত জুয়েল বলেন, ‘আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি, সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর কী হয়েছে বলতে পারছি না।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।’ হামলাকারীরা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।