ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

কুমিল্লার র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স শোরুমে নকল পণ্য বিক্রির দায়ে এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

দামি ব্র্যান্ডের নামে নকল পণ্য বিক্রির দায়ে কুমিল্লায় র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস-এর শোরুমের এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিল্পী আক্তার নামে এক ক্রেতা। দামি ব্র্যান্ডের নামে নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়েছেন শিল্পী আক্তার এ ঘটনায় তিনি র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জে এম একরাম হোসেনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আঁখি মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই কোম্পানি মানুষের কাছে নকল পণ্য দিয়ে আসছে। সোমবার একজন ভুক্তভোগী এসে অভিযোগ করলে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করি। পরে বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেছেন শিল্পী আক্তার। তিনি কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বাদী শিল্পী আক্তার বলেন, অনলাইনে আমি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ মডেলের একটি ফ্রিজ দেখে পছন্দ করি এবং গত ১৪ মার্চ কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে গিয়ে ফ্রিজটি কিনি। এর আগে শোরুমে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আমার। তখন নিশ্চিত হই এটি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ মডেলের ফ্রিজ। কিন্তু আমি শোরুমে গিয়ে দেখি সেই ফ্রিজে কোনো লোগো বা স্টিাকার নেই। এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারীরা নিজেরা এসে হাতে লোগো লাগিয়ে দেন। আমি বিশ্বাস করে ফ্রিজটি ক্রয় করি।

বাড়ি আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফ্রিজটি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ নয় বলে সন্দেহ করেন। একাধিক ফ্রিজ টেকনিশিয়ান এসে ফ্রিজটি দেখে নকল ও লোকাল পণ্য বলে দাবি করেন। এরপর আমি ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শোরুম কর্তৃপক্ষ ফেরত নিতে অস্বীকার করে। আমি চাই আমার মতো কেউ যেন প্রতারিত না হয়। তাই মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেডের জিএম (বিক্রয় ও বিপণন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা ঝাউতলা শোরুমের সনি-র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা ঝাউতলা শোরুমের সনি-র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কাস্টমারের অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে এটি মালয়েশিয়ার তৈরি কেলভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করছি। যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তবে আমরা এ বিষয়ে জাবাব দিতে প্রস্তুত।
তারিখ :- ২১-০৩-২২ ইং

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

কুমিল্লার র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স শোরুমে নকল পণ্য বিক্রির দায়ে এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

আপডেট টাইম ০৮:১৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

দামি ব্র্যান্ডের নামে নকল পণ্য বিক্রির দায়ে কুমিল্লায় র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস-এর শোরুমের এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিল্পী আক্তার নামে এক ক্রেতা। দামি ব্র্যান্ডের নামে নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়েছেন শিল্পী আক্তার এ ঘটনায় তিনি র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জে এম একরাম হোসেনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আঁখি মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই কোম্পানি মানুষের কাছে নকল পণ্য দিয়ে আসছে। সোমবার একজন ভুক্তভোগী এসে অভিযোগ করলে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করি। পরে বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেছেন শিল্পী আক্তার। তিনি কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বাদী শিল্পী আক্তার বলেন, অনলাইনে আমি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ মডেলের একটি ফ্রিজ দেখে পছন্দ করি এবং গত ১৪ মার্চ কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে গিয়ে ফ্রিজটি কিনি। এর আগে শোরুমে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আমার। তখন নিশ্চিত হই এটি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ মডেলের ফ্রিজ। কিন্তু আমি শোরুমে গিয়ে দেখি সেই ফ্রিজে কোনো লোগো বা স্টিাকার নেই। এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারীরা নিজেরা এসে হাতে লোগো লাগিয়ে দেন। আমি বিশ্বাস করে ফ্রিজটি ক্রয় করি।

বাড়ি আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফ্রিজটি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ নয় বলে সন্দেহ করেন। একাধিক ফ্রিজ টেকনিশিয়ান এসে ফ্রিজটি দেখে নকল ও লোকাল পণ্য বলে দাবি করেন। এরপর আমি ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শোরুম কর্তৃপক্ষ ফেরত নিতে অস্বীকার করে। আমি চাই আমার মতো কেউ যেন প্রতারিত না হয়। তাই মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেডের জিএম (বিক্রয় ও বিপণন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা ঝাউতলা শোরুমের সনি-র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা ঝাউতলা শোরুমের সনি-র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কাস্টমারের অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে এটি মালয়েশিয়ার তৈরি কেলভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করছি। যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তবে আমরা এ বিষয়ে জাবাব দিতে প্রস্তুত।
তারিখ :- ২১-০৩-২২ ইং