মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে শোডাউনে আসা লোকজনের পদদলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের পক্ষে শোডাউন ও মানববন্ধনের আয়োজন করে তার অনুসারীরা। এ সময় উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের বেশ কয়েকটি সৌন্দর্য্য বর্ধনের এলইডি লাইট ভাঙচুর এবং অন্যান্য সামগ্রী নষ্ট করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ কারীরা। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের একটি বিতর্কিত অডিও ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে রোশন আলী বলেন, যারা নৌকা করে তারা সবাই রাজাকার। এই দেশে টাকা দিলে মন্ত্রিত্ব এবং মনোনয়ন পাওয়া যায়।
অডিওটি ভাইরালের পর কুমিল্লা উত্তর জেলাজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গত কয়েকদিন যাবত বিতর্কিত ওই নেতাকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন এবং ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়।
এদিকে আজ শনিবার বিকেলে বিতর্কিত রোশন আলীর পক্ষ নিয়ে মানববন্ধন করতে আসেন তার একদল অনুসারী। এ সময় উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে উঠে ৬টি এলইডি লাইট ভেঙে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে দেবীদ্বারে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলেও স্থানীয় প্রশাসন এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অপরদিকে পুলিশের সামনে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এমন ভাঙচুর করা হলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধনের নামে তারা আমাদের ঐতিহ্যের লালিত মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ভাঙচুর করেছে। ওই চত্বরে নিয়মিত নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও কেউ কোনো সময় তা নষ্ট করেনি। শনিবার (১ জানুয়ারি) রোশন আলীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে চত্বরের এসব লাইট ভেঙেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।
সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে নির্বিচারে ভাঙচুর এটা মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ভাঙচুরের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারিখ :- ০১-০১-২০২২ ইং