ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলার সেই পানিবন্দি বিদ্যালয়ের রাস্তা গড়ে দিলেন ইউএনও

মামুনুর রশিদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত ১৯ জুন দৈনিক মানবজমিনে ”বুকপানি ভেঙ্গে স্কুলে যেতে হয় শিশু শিক্ষার্থিদের” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ধ্বসে যাওয়া রাস্তাটি তরিৎ চলাচল উপযোগি করে দিয়েছেন নিকলীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তাটি শত শত বস্তা ফেলে চলাচল উপযোগি করা হয়েছে। মজবুতের জন্য রাস্তাটির দুপাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ঘন খুাঁট। আগের মতোই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থিরা। এ প্রতিনিধিকে দেখে এগিয়ে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীসহ অপরাপর শিক্ষকবৃন্দ। মানবজমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা জানান, সংবাদটি প্রকাশের পরদিনই পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। পরিদর্শন করে যাওয়ার পরদিনই রাস্তার কাজ শুরু হয়। দ্যিালয়টির পক্ষ থেকে ইউএনও মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ সংশিলষ্ট সকলের প্রতি তারা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশেও ভুল করেননি ।মো. স্বাধীন মিয়াসহ একাধিক শিক্ষার্থির অভিভাবক ও এলাকাবাসি বলেন, ইউএনও মহোদয়ের প্রতি আমাদের আস্থা শতগুন বেড়ে গেছে। এমন দ্রুত কাজ হতে এই প্রথম দেখলাম। আমরা উনাকে ভুলতে পারবোনা। নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার মানবজমিনকে জানান, পানিবন্দি বিদ্যালয়টির দুরাবস্থার কথা শোনা মাত্রই পরিদর্শনে যাই। এটি এলজিইডির করা সড়ক। দুপাশেই পুকুর থাকায় পরীক্ষামূলক ব্লক নির্মিত সড়কটিতে ধ্বস নামে। ব্লক পদ্ধতির বদলে পাকাকরণ করণেরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। চলমান সমস্যা দূর করণে সাময়িকভাবে বস্তা ও মাটি দিয়ে সড়কটি গড়ে দিয়েছি। উল্লেখ্য, নিকলী উপজেলা পরিষদ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্র হয়ে নিকলী থানা ও পুরাতন বাজারে সংযুক্ত সড়কটি ২০১৭ সালে নির্মান করে এলজিইডির হিলিপ প্রকল্প। পরীক্ষামূলক ব্লক পদ্ধতিতে করা সড়কটির পাশেই পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু শিক্ষার্থিদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র পথও এটি। গত ঈদুল ফিতরের একদিন আগে থেকে ক্রমাগত বৃষ্টিতে প্রায় ১শ গজ সড়কে ধ্বস নামে। পানিতে তলিয়ে যায়। বুকপানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছিল শিশু শিক্ষার্থিদের। এছাড়াও নিকলীর পশ্চিম এলাকার স্কুল-কলেজগামি সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থিসহ এলাকাবাসির জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছিলো সড়কটি। ১৯ শে জুন দৈনিক মানবজমিনে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হলে তরিৎ ব্যবস্থা নেন নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলার সেই পানিবন্দি বিদ্যালয়ের রাস্তা গড়ে দিলেন ইউএনও

আপডেট টাইম ০২:০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯

মামুনুর রশিদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত ১৯ জুন দৈনিক মানবজমিনে ”বুকপানি ভেঙ্গে স্কুলে যেতে হয় শিশু শিক্ষার্থিদের” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ধ্বসে যাওয়া রাস্তাটি তরিৎ চলাচল উপযোগি করে দিয়েছেন নিকলীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তাটি শত শত বস্তা ফেলে চলাচল উপযোগি করা হয়েছে। মজবুতের জন্য রাস্তাটির দুপাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ঘন খুাঁট। আগের মতোই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থিরা। এ প্রতিনিধিকে দেখে এগিয়ে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীসহ অপরাপর শিক্ষকবৃন্দ। মানবজমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা জানান, সংবাদটি প্রকাশের পরদিনই পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। পরিদর্শন করে যাওয়ার পরদিনই রাস্তার কাজ শুরু হয়। দ্যিালয়টির পক্ষ থেকে ইউএনও মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ সংশিলষ্ট সকলের প্রতি তারা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশেও ভুল করেননি ।মো. স্বাধীন মিয়াসহ একাধিক শিক্ষার্থির অভিভাবক ও এলাকাবাসি বলেন, ইউএনও মহোদয়ের প্রতি আমাদের আস্থা শতগুন বেড়ে গেছে। এমন দ্রুত কাজ হতে এই প্রথম দেখলাম। আমরা উনাকে ভুলতে পারবোনা। নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার মানবজমিনকে জানান, পানিবন্দি বিদ্যালয়টির দুরাবস্থার কথা শোনা মাত্রই পরিদর্শনে যাই। এটি এলজিইডির করা সড়ক। দুপাশেই পুকুর থাকায় পরীক্ষামূলক ব্লক নির্মিত সড়কটিতে ধ্বস নামে। ব্লক পদ্ধতির বদলে পাকাকরণ করণেরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। চলমান সমস্যা দূর করণে সাময়িকভাবে বস্তা ও মাটি দিয়ে সড়কটি গড়ে দিয়েছি। উল্লেখ্য, নিকলী উপজেলা পরিষদ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্র হয়ে নিকলী থানা ও পুরাতন বাজারে সংযুক্ত সড়কটি ২০১৭ সালে নির্মান করে এলজিইডির হিলিপ প্রকল্প। পরীক্ষামূলক ব্লক পদ্ধতিতে করা সড়কটির পাশেই পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু শিক্ষার্থিদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র পথও এটি। গত ঈদুল ফিতরের একদিন আগে থেকে ক্রমাগত বৃষ্টিতে প্রায় ১শ গজ সড়কে ধ্বস নামে। পানিতে তলিয়ে যায়। বুকপানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছিল শিশু শিক্ষার্থিদের। এছাড়াও নিকলীর পশ্চিম এলাকার স্কুল-কলেজগামি সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থিসহ এলাকাবাসির জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছিলো সড়কটি। ১৯ শে জুন দৈনিক মানবজমিনে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হলে তরিৎ ব্যবস্থা নেন নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।