ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কালের সাক্ষী বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

অপু চক্রবর্তী ধামরাই ঢাকা: বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে হলে আপনাকে যেতে
হবে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে ।সাতটি ঐতিহ্যবাহী স্হাপনা নিয়ে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি গৌরবের সাক্ষী হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। দৃস্টিনন্দন এই জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ভবন একেক জন উওরাধীকারীদের মাধ্যমে পৃথক পৃথক সময়ে নিমিত্ত হয়ছে। বালিয়াটি জমিদার বাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে আর জমিদার কেন্দীয় ব্লকে রংমহল খ্যাত ভবনে জাদুঘর তোলা হয়েছে। বালিয়াটি প্যালেস নামে ও পরিচিত এই জমিদার বাড়ি উনবিশ শতকে নিমিত্ত ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদের চত্বরটি ১৬ হাজার ৫৫৪বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জমিদার বাড়ির প্রবেশ ফটকের দুই পাশে স্থাপিত রয়েছে দুটি সিংহের মূর্তি। সমস্ত জমিদার চত্বর উচু প্রাচীর দিয়ে ঘেড়া এবং জমিদার বাড়ির মূল ফটকের দিকে প্রবেশ করলেই সুপশস্ত ঢাকা আঙ্গিনা চোখে পড়ে। আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান। আঙ্গিনার পড়েই পাশাপাশি চারটি বহুতল ভবন রয়েছে এই ভবন গুলোর পেছনেই আছে চার পুকুর ও জমিদার আন্দরমহল। প্রাসাদের কক্ষ সংখ্যা ২০০টি এবং প্রতিটি কক্ষেই সুনিপণ কারুকাজ লক্ষ্য যায়। চুন_ সুরকি লোহার পাত আর কাদামাটিতে নিমিত্ত ভবন গুলোর প্রতিটি দেওয়াল প্রায় ২০ইঞ্চি পুরু। অন্যান্য নির্মান কৌশল আর কারুকার্য পূর্ন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি তৎকালীন জমিদারদের অভিজাতকেই ফুটিয়ে তোলে। গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর)বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত এবং শীতকালে (অক্টোবর থেকে মার্চ। বালায়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে শুক্রবার বাদে বছরের অন্যান্য দিন দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত সাময়িক বিরতিতে জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০মিনিট থেকে ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত নামাজের জন্য জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে প্রতি রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার অর্ধ দিবস ছাড়াও সকল সরকারি ছুটির দিন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে। ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জ যে সব বাস সাটুরিয়া যায় সেইসব করে যেতে পারবেন। ভালো হয় গাবতলী সাটুরিয়া গামী এস বি লিংক পরিবহণে গেলে। সাটুরিয়া পার হয়ে সাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট নেমে যেতে হবে। বাসের সুপারভাইজারকে বালিয়াটি জমিদার বাড়ির কথি বললেই নামিয দিবে। ঢাকার থেকে বাসে সাটরিয়া জিরো পয়েন্ট যেতে সাধারণত ২ঘন্টার চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে। জামের কথা মাথাই রেখে আপনাকে রওনা। জিরো পয়েন্ট সেখান থেকে জমিদার বাড়ির দুরত্ব ১কিলোমিটার। ইজিবাইক বা সি এন জি নিয়ে, ২০থেকে ৩০টাকা দিয়েই যেতে পারবেন বালিয়াটি প্যালেসে এছাড়া সাটূরিয়া বা থেমে ও সি এন জি। ইজিবাইক দিয়ে যেতে পারবেন ৫০ ৬০,টাকাই ভাড়ায়

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কালের সাক্ষী বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

আপডেট টাইম ০৪:২৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

অপু চক্রবর্তী ধামরাই ঢাকা: বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে হলে আপনাকে যেতে
হবে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে ।সাতটি ঐতিহ্যবাহী স্হাপনা নিয়ে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি গৌরবের সাক্ষী হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। দৃস্টিনন্দন এই জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ভবন একেক জন উওরাধীকারীদের মাধ্যমে পৃথক পৃথক সময়ে নিমিত্ত হয়ছে। বালিয়াটি জমিদার বাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে আর জমিদার কেন্দীয় ব্লকে রংমহল খ্যাত ভবনে জাদুঘর তোলা হয়েছে। বালিয়াটি প্যালেস নামে ও পরিচিত এই জমিদার বাড়ি উনবিশ শতকে নিমিত্ত ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদের চত্বরটি ১৬ হাজার ৫৫৪বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জমিদার বাড়ির প্রবেশ ফটকের দুই পাশে স্থাপিত রয়েছে দুটি সিংহের মূর্তি। সমস্ত জমিদার চত্বর উচু প্রাচীর দিয়ে ঘেড়া এবং জমিদার বাড়ির মূল ফটকের দিকে প্রবেশ করলেই সুপশস্ত ঢাকা আঙ্গিনা চোখে পড়ে। আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান। আঙ্গিনার পড়েই পাশাপাশি চারটি বহুতল ভবন রয়েছে এই ভবন গুলোর পেছনেই আছে চার পুকুর ও জমিদার আন্দরমহল। প্রাসাদের কক্ষ সংখ্যা ২০০টি এবং প্রতিটি কক্ষেই সুনিপণ কারুকাজ লক্ষ্য যায়। চুন_ সুরকি লোহার পাত আর কাদামাটিতে নিমিত্ত ভবন গুলোর প্রতিটি দেওয়াল প্রায় ২০ইঞ্চি পুরু। অন্যান্য নির্মান কৌশল আর কারুকার্য পূর্ন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি তৎকালীন জমিদারদের অভিজাতকেই ফুটিয়ে তোলে। গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর)বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত এবং শীতকালে (অক্টোবর থেকে মার্চ। বালায়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে শুক্রবার বাদে বছরের অন্যান্য দিন দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত সাময়িক বিরতিতে জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০মিনিট থেকে ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত নামাজের জন্য জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে প্রতি রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার অর্ধ দিবস ছাড়াও সকল সরকারি ছুটির দিন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে। ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জ যে সব বাস সাটুরিয়া যায় সেইসব করে যেতে পারবেন। ভালো হয় গাবতলী সাটুরিয়া গামী এস বি লিংক পরিবহণে গেলে। সাটুরিয়া পার হয়ে সাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট নেমে যেতে হবে। বাসের সুপারভাইজারকে বালিয়াটি জমিদার বাড়ির কথি বললেই নামিয দিবে। ঢাকার থেকে বাসে সাটরিয়া জিরো পয়েন্ট যেতে সাধারণত ২ঘন্টার চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে। জামের কথা মাথাই রেখে আপনাকে রওনা। জিরো পয়েন্ট সেখান থেকে জমিদার বাড়ির দুরত্ব ১কিলোমিটার। ইজিবাইক বা সি এন জি নিয়ে, ২০থেকে ৩০টাকা দিয়েই যেতে পারবেন বালিয়াটি প্যালেসে এছাড়া সাটূরিয়া বা থেমে ও সি এন জি। ইজিবাইক দিয়ে যেতে পারবেন ৫০ ৬০,টাকাই ভাড়ায়