ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

কাপাসিয়ায় ইউপি ভূমি অফিসে তহশীলদারের কান্ড

স্টাফ রিপোর্ট।।

আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেপরোয়া তহশীলদার একই চান্দিনা ভিটি ২২ দিনের ব্যবধানে ভিন্ন নামে বরাদ্ধ দিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দি কাপাসিয়া’য় পরিনত হয়েছে। ভুক্তভোগি আনোয়ার হোসাইন সরকার সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চন্ডালহাতা গ্রামের মৃত: আঃ হেকিম আমিন সরকারের পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসাইন সরকারের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, তিনি চান্দিনা ভিটি বরাদ্ধ প্রাপ্তির সকল নিয়ম-নীতি মেনে ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে অন্যান্যের সাথে স্থানীয় আড়াল বাজারে একটি দোকান বরাদ্ধ প্রাপ্ত হন। যথারীতি তিনি সর্বশেষ গত বছরের ৯ নভেম্বর তারিখে বাংলা সাল ১৪২৮ বা ইংরেজি ২০২১ সাল পর্যন্ত হাল নাগাদ যাবতীয় পাওনাদি (লীজমানি) পরিশোধ করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘জননী ভ্যারাইটিজ ষ্টোর’ নামে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
অপর দিকে একই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী মৃধার পুত্র জনৈক মোঃ মোখলেছুর রহমান মৃধা একই তফসিলভূক্ত ভূমি নিজ নামে লীজপ্রাপ্ত বলে দাবী করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তি তার দাবীর স্বপক্ষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বরের বরাদ্ধ পত্রের অনুকুলে একটি পরিশোধিত টাকার রশীদ রয়েছে। তাতে উভয় পক্ষের চান্দিনা ভিটির লাইসেন্স ফি আদায় রশিদে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া ইয়াসমিন ও একই অফিসের নাজির ফারিয়া সরকারের স্বাক্ষর রয়েছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বরাদ্ধপ্রাপ্ত ব্যক্তির বরাদ্ধ বাতিল না করে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির নামে বরাদ্ধ দেয়া সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সমর্থণ করে না। অর্থাৎ মোঃ আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ ফরম নং- ২২২, বহি নং- এম-৩৪১০০, পৃষ্ঠা নং-০৬, টাকার পরিমান =২,৯২৫/- টাকা বাংলা-১৪২৮/ইং-২০২১ইং পর্যন্ত তাং- ১৮/১১/২০২১ইং লীজ মানি পরিশোধ করেন। অন্যদিকে মোঃ মোখলেছুর রহমান মৃধা, বাংলাদেশ ফরম নং- ২২২ বহি নং- এম-৩৪১০০, পৃষ্ঠা নং-১৮, তাং-১৩/১২/২০২১ইং, টাকার পরিমাণ= ৪,১৯৫/- টাকা লীজ মানি পরিশোধ করেন। পর্যালোচনায় দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে একই চান্দিনা ভিটির বিপরীতে দুই ব্যক্তির নিকট থেকে কিভাবে লীজ মানি গ্রহণ করা হয়েছে।
তাছাড়া নানা অপকর্মের মূলহোতা, বেপরোয়া তহশীলদার শচীন্দ্র কুমার রাজবংশী কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় কাঁচারী বাড়ির পুকুর, আর.এস ১৮০৫ দাগে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে আড়াল গ্রামের আফছার উদ্দিন বেপারীর পুত্র কাজল বেপারীর নামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লীজ প্রদান করেন। আর.এস ১৮২৪ দাগে পেরী ফেরি নক্সায় তোহা বাজার হলেও নক্সা বিকৃত করে চান্দিনা ভিটিতে রূপান্তরিত করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ১২টি দোকান বরাদ্ধ প্রদান করেন। আর.এস. ১৮০১ দাগে মোট জমির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ, তার মধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় ১৪ শতাংশ, বাকী ২৪ শতাংশ সম্পূর্ণ সরকারী খাস জমি, যাহা পেরী ফেরি নক্সার বাহিরে। কিন্তু ঐ খাস জমি মৌখিক নির্দেশে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে দক্ষিনগাঁও গ্রামের জনৈক খোরশেদকে স্থাপনা তৈরী করার অনুমতি প্রদান করেন। সম্প্রতি আড়াল বাজার বাসষ্ট্যান্ডের পূর্বপাশে মহিলা কর্ণারের দক্ষিণ পাশে বিশাল আকৃতির জামগাছটি কেটে বিক্রি করে দেন।
এলাকায় দালাল হিসাবে ব্যাপক পরিচিত এসবের মূলহোতা আড়াল গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আঃ রহমান খান ওরফে গেদু পন্ডিতের পুত্র জনৈক ওয়াহিদ। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবৈধ লেনদেন ও নানা অপকর্ম করে আসছে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সামান্য বেতনের কর্মচারী ইউনিয়ন ভূমি তহশীলদার ভয়াবহ আর্থিক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে রাজকীয় ফ্ল্যাট ও ব্যক্তিগত গাড়ী (ঢাকা মেট্রো- গ-১১-৩০৫১) ব্যবহার করছেন। বিলাস বহুল জীবন যাপনকারী শচীন্দ্র কুমার রাজবংশী গাজীপুরের রাজবাড়ী সড়কে সরকারী মহিলা কলেজের পূর্বপাশের্^ ১৫ ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপার্সের ডি/১৭০ নং ‘সাফা টাওয়ারে’ ১০ম তলা বিশিষ্ট ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সি ইউনিটে এল-৫ এর, ১৩০০ বর্গফুটের ১টি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। যাহার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ১ কোটি টাকা। যাহা তদন্ত করলে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে আসবে বলে ধারনা। সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা- ১৯৭৯ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শচীন্দ্র কুমার রাজবংশীর সম্পদের হিসাব বিবরনী পর্যালোচনা করা অতীব জরুরী। যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে আনোয়ার হোসাইন সরকার তার বরাদ্ধকৃত চান্দিনা ভিটি রক্ষায় ভূমিকা রাখলে অবৈধ পন্থায় বরাদ্ধ নেয়া মোখলেছুর রহমান মৃধা তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে। ফলে আনোয়ার হোসেন গত ২২ ফেব্রুয়ারী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং- ১২৪৯) করেছেন। বিষয়টি থানার এসআই নজরুল ইসলাম তদন্ত করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান পাভেল জানান, চান্দিনা ভিটির পূর্বে লীজপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেনের একটি লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

কাপাসিয়ায় ইউপি ভূমি অফিসে তহশীলদারের কান্ড

আপডেট টাইম ০৯:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

স্টাফ রিপোর্ট।।

আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেপরোয়া তহশীলদার একই চান্দিনা ভিটি ২২ দিনের ব্যবধানে ভিন্ন নামে বরাদ্ধ দিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দি কাপাসিয়া’য় পরিনত হয়েছে। ভুক্তভোগি আনোয়ার হোসাইন সরকার সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চন্ডালহাতা গ্রামের মৃত: আঃ হেকিম আমিন সরকারের পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসাইন সরকারের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, তিনি চান্দিনা ভিটি বরাদ্ধ প্রাপ্তির সকল নিয়ম-নীতি মেনে ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে অন্যান্যের সাথে স্থানীয় আড়াল বাজারে একটি দোকান বরাদ্ধ প্রাপ্ত হন। যথারীতি তিনি সর্বশেষ গত বছরের ৯ নভেম্বর তারিখে বাংলা সাল ১৪২৮ বা ইংরেজি ২০২১ সাল পর্যন্ত হাল নাগাদ যাবতীয় পাওনাদি (লীজমানি) পরিশোধ করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘জননী ভ্যারাইটিজ ষ্টোর’ নামে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
অপর দিকে একই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী মৃধার পুত্র জনৈক মোঃ মোখলেছুর রহমান মৃধা একই তফসিলভূক্ত ভূমি নিজ নামে লীজপ্রাপ্ত বলে দাবী করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তি তার দাবীর স্বপক্ষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বরের বরাদ্ধ পত্রের অনুকুলে একটি পরিশোধিত টাকার রশীদ রয়েছে। তাতে উভয় পক্ষের চান্দিনা ভিটির লাইসেন্স ফি আদায় রশিদে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া ইয়াসমিন ও একই অফিসের নাজির ফারিয়া সরকারের স্বাক্ষর রয়েছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বরাদ্ধপ্রাপ্ত ব্যক্তির বরাদ্ধ বাতিল না করে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির নামে বরাদ্ধ দেয়া সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সমর্থণ করে না। অর্থাৎ মোঃ আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ ফরম নং- ২২২, বহি নং- এম-৩৪১০০, পৃষ্ঠা নং-০৬, টাকার পরিমান =২,৯২৫/- টাকা বাংলা-১৪২৮/ইং-২০২১ইং পর্যন্ত তাং- ১৮/১১/২০২১ইং লীজ মানি পরিশোধ করেন। অন্যদিকে মোঃ মোখলেছুর রহমান মৃধা, বাংলাদেশ ফরম নং- ২২২ বহি নং- এম-৩৪১০০, পৃষ্ঠা নং-১৮, তাং-১৩/১২/২০২১ইং, টাকার পরিমাণ= ৪,১৯৫/- টাকা লীজ মানি পরিশোধ করেন। পর্যালোচনায় দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে একই চান্দিনা ভিটির বিপরীতে দুই ব্যক্তির নিকট থেকে কিভাবে লীজ মানি গ্রহণ করা হয়েছে।
তাছাড়া নানা অপকর্মের মূলহোতা, বেপরোয়া তহশীলদার শচীন্দ্র কুমার রাজবংশী কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় কাঁচারী বাড়ির পুকুর, আর.এস ১৮০৫ দাগে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে আড়াল গ্রামের আফছার উদ্দিন বেপারীর পুত্র কাজল বেপারীর নামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লীজ প্রদান করেন। আর.এস ১৮২৪ দাগে পেরী ফেরি নক্সায় তোহা বাজার হলেও নক্সা বিকৃত করে চান্দিনা ভিটিতে রূপান্তরিত করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ১২টি দোকান বরাদ্ধ প্রদান করেন। আর.এস. ১৮০১ দাগে মোট জমির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ, তার মধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় ১৪ শতাংশ, বাকী ২৪ শতাংশ সম্পূর্ণ সরকারী খাস জমি, যাহা পেরী ফেরি নক্সার বাহিরে। কিন্তু ঐ খাস জমি মৌখিক নির্দেশে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে দক্ষিনগাঁও গ্রামের জনৈক খোরশেদকে স্থাপনা তৈরী করার অনুমতি প্রদান করেন। সম্প্রতি আড়াল বাজার বাসষ্ট্যান্ডের পূর্বপাশে মহিলা কর্ণারের দক্ষিণ পাশে বিশাল আকৃতির জামগাছটি কেটে বিক্রি করে দেন।
এলাকায় দালাল হিসাবে ব্যাপক পরিচিত এসবের মূলহোতা আড়াল গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আঃ রহমান খান ওরফে গেদু পন্ডিতের পুত্র জনৈক ওয়াহিদ। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবৈধ লেনদেন ও নানা অপকর্ম করে আসছে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সামান্য বেতনের কর্মচারী ইউনিয়ন ভূমি তহশীলদার ভয়াবহ আর্থিক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে রাজকীয় ফ্ল্যাট ও ব্যক্তিগত গাড়ী (ঢাকা মেট্রো- গ-১১-৩০৫১) ব্যবহার করছেন। বিলাস বহুল জীবন যাপনকারী শচীন্দ্র কুমার রাজবংশী গাজীপুরের রাজবাড়ী সড়কে সরকারী মহিলা কলেজের পূর্বপাশের্^ ১৫ ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপার্সের ডি/১৭০ নং ‘সাফা টাওয়ারে’ ১০ম তলা বিশিষ্ট ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সি ইউনিটে এল-৫ এর, ১৩০০ বর্গফুটের ১টি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। যাহার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ১ কোটি টাকা। যাহা তদন্ত করলে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে আসবে বলে ধারনা। সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা- ১৯৭৯ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শচীন্দ্র কুমার রাজবংশীর সম্পদের হিসাব বিবরনী পর্যালোচনা করা অতীব জরুরী। যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে আনোয়ার হোসাইন সরকার তার বরাদ্ধকৃত চান্দিনা ভিটি রক্ষায় ভূমিকা রাখলে অবৈধ পন্থায় বরাদ্ধ নেয়া মোখলেছুর রহমান মৃধা তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে। ফলে আনোয়ার হোসেন গত ২২ ফেব্রুয়ারী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং- ১২৪৯) করেছেন। বিষয়টি থানার এসআই নজরুল ইসলাম তদন্ত করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান পাভেল জানান, চান্দিনা ভিটির পূর্বে লীজপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেনের একটি লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।