ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

কাঁধে স্কুল ব্যাগ থাকার কথা, এর বদলে গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :   স্বপ্ন দেখতে সবাই ভালোবাসে, কিন্তু অভাব পিছু না হটলে স্বপ্ন পূরণ করা করো পক্ষে সম্ভব হয় না বরং স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। পরিবারে সবার খরচ যোগাতে স্কুলে না গিয়ে অল্প বয়সেই ডিম বিক্রি করছে হিলির ছোট ছোট শিশুরা।

যে বয়সে বই হাতে স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সাথে ছোটাছুটি করার কথা, আজ সেই বয়সে হিলি সীমান্ত এলাকার জেমস নামের এক শিশুর পড়াশুনোর ইচ্ছা থাকলেও সংসারে অভাবের কারনে গলায় ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে শহরের অলি-গলিতে ডিম বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। জেমসের কাঁধে স্কুল ব্যাগ নয়, এখন গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমান্ত এলাকা হিলি স্থলবন্দর শহরে কাঁধে ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে অলি-গলিতে পায়ে হেঁটে হেঁটে ডিম বিক্রি করছে শিশু জেমস। জেমস হাকিমপুর পৌরসভার মধ্যবাসুদেবপুর কালিগঞ্জ গ্রামের জাহানারা বেগমের ছেলে। জাহানারা বেগমের পাচঁ সন্তানের মাঝে পাচঁ বছর বয়সের তৃতীয় ছেলে জেমস এখন সংসারের অভাব কারনে বন্দর এলাকায় ডিম বিক্রেতা।

হিলি গোডাউন মোড়ের পান দোকানদার রেজাউল করিম জানান, জেমস গলায় ভারি ডিমের ডালা ঝুলিয়ে বাজারে যখন ডিম বিক্রি করে তখন তাকে দেখে কষ্ট হয়। আমার দোকানের সামনে প্রতিদিন তাকে ডিম বিক্রি করতে দেখি, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি তাকে সাহায্য করে তাহলেই সে কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের মত স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে পারতো।

জেমস বলেন, আমরা পাচঁ ভাইবোন আমি তৃতীয় নাম্বার। মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা আর একটা বিয়ে করেছে আমাদের আর খোজঁ-খবর নেয় না। মা একা সংসার চালাতে পারে না। মায়ের কাজের টাকা আর আমার ডিম বিক্রির টাকা দিয়েই চলে আমাদের সংসার।

জেমসের মা জাহানারা বলেন, সে মেধাবী ছেলে, কি আর করার বা হামারো তো পেটে খিদা আছে, তাই কামকাজ করে খেতে হবে। হামার আবার স্কুল কলেজ আছে বা, হারাই ভাত খাওয়ার টেকাই পাই না। ছেলেটি উপরে সংসারটি চলে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

কাঁধে স্কুল ব্যাগ থাকার কথা, এর বদলে গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা

আপডেট টাইম ০২:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :   স্বপ্ন দেখতে সবাই ভালোবাসে, কিন্তু অভাব পিছু না হটলে স্বপ্ন পূরণ করা করো পক্ষে সম্ভব হয় না বরং স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। পরিবারে সবার খরচ যোগাতে স্কুলে না গিয়ে অল্প বয়সেই ডিম বিক্রি করছে হিলির ছোট ছোট শিশুরা।

যে বয়সে বই হাতে স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সাথে ছোটাছুটি করার কথা, আজ সেই বয়সে হিলি সীমান্ত এলাকার জেমস নামের এক শিশুর পড়াশুনোর ইচ্ছা থাকলেও সংসারে অভাবের কারনে গলায় ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে শহরের অলি-গলিতে ডিম বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। জেমসের কাঁধে স্কুল ব্যাগ নয়, এখন গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমান্ত এলাকা হিলি স্থলবন্দর শহরে কাঁধে ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে অলি-গলিতে পায়ে হেঁটে হেঁটে ডিম বিক্রি করছে শিশু জেমস। জেমস হাকিমপুর পৌরসভার মধ্যবাসুদেবপুর কালিগঞ্জ গ্রামের জাহানারা বেগমের ছেলে। জাহানারা বেগমের পাচঁ সন্তানের মাঝে পাচঁ বছর বয়সের তৃতীয় ছেলে জেমস এখন সংসারের অভাব কারনে বন্দর এলাকায় ডিম বিক্রেতা।

হিলি গোডাউন মোড়ের পান দোকানদার রেজাউল করিম জানান, জেমস গলায় ভারি ডিমের ডালা ঝুলিয়ে বাজারে যখন ডিম বিক্রি করে তখন তাকে দেখে কষ্ট হয়। আমার দোকানের সামনে প্রতিদিন তাকে ডিম বিক্রি করতে দেখি, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি তাকে সাহায্য করে তাহলেই সে কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের মত স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে পারতো।

জেমস বলেন, আমরা পাচঁ ভাইবোন আমি তৃতীয় নাম্বার। মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা আর একটা বিয়ে করেছে আমাদের আর খোজঁ-খবর নেয় না। মা একা সংসার চালাতে পারে না। মায়ের কাজের টাকা আর আমার ডিম বিক্রির টাকা দিয়েই চলে আমাদের সংসার।

জেমসের মা জাহানারা বলেন, সে মেধাবী ছেলে, কি আর করার বা হামারো তো পেটে খিদা আছে, তাই কামকাজ করে খেতে হবে। হামার আবার স্কুল কলেজ আছে বা, হারাই ভাত খাওয়ার টেকাই পাই না। ছেলেটি উপরে সংসারটি চলে।