ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

কাদেরকে দুপুরেই পাঠানো হচ্ছে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। আজ সোমবার দুপুরেই তাকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুর পাঠানো হতে পারে।

আজ সকালে ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষে শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল মতামত দেন গতকালের তুলনায় আজ ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তাই রোগীকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই। একই মতামত ব্যক্ত করেন বিএসএসএমইউর চিকিৎসকরা। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ  বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা গতকাল রাত থেকে ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। কোনো প্রশ্ন করলে ইশারায় সায় দিচ্ছেন। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে পোস্ট সিসিইউ ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ ইনফেকশন কন্ট্রোলসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা জরুরি। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা গ্রহণে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুসারে ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগবিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে দুপুর ১টায় ঢাকায় আসছেন। গতকাল থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিএসএমএমইউর হৃদরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.মোস্তফা জামান। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা শুনে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ আসতে রাজি হন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে আনার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়।

দেবী শেঠি এসে দেখার পর তিনি, বিএসএমএমইউ ও সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসবেন। ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সিঙ্গাপুর পাঠানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তবে একাধিক হৃদরোগবিশেষজ্ঞ বলেন, ‘হাসপাতাল অ্যাকুয়ারর্ড ইনফেকশন এড়াতে ও সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিত। গতকাল শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল বলে তারা সিঙ্গাপুরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

তারা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম অর্থাৎ ইলেকট্রোরাল ইমব্যালান্স হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্রুত স্থানান্তরই শ্রেয়।’

রোববার (৩ মার্চ) সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিএসএমএমইউর আইসিইউতে ভর্তির পর ওবায়দুল কাদেরের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। আইসিইউতে চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তার এনজিওগ্রাম করে হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এসময় একটি রক্তনালীতে রিং (স্ট্যান্টিং) বসানো হয়। এরপর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

কাদেরকে দুপুরেই পাঠানো হচ্ছে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে

আপডেট টাইম ০৬:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। আজ সোমবার দুপুরেই তাকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুর পাঠানো হতে পারে।

আজ সকালে ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষে শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল মতামত দেন গতকালের তুলনায় আজ ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তাই রোগীকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই। একই মতামত ব্যক্ত করেন বিএসএসএমইউর চিকিৎসকরা। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ  বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা গতকাল রাত থেকে ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। কোনো প্রশ্ন করলে ইশারায় সায় দিচ্ছেন। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে পোস্ট সিসিইউ ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ ইনফেকশন কন্ট্রোলসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা জরুরি। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা গ্রহণে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুসারে ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগবিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে দুপুর ১টায় ঢাকায় আসছেন। গতকাল থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিএসএমএমইউর হৃদরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.মোস্তফা জামান। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা শুনে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ আসতে রাজি হন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে আনার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়।

দেবী শেঠি এসে দেখার পর তিনি, বিএসএমএমইউ ও সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসবেন। ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সিঙ্গাপুর পাঠানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তবে একাধিক হৃদরোগবিশেষজ্ঞ বলেন, ‘হাসপাতাল অ্যাকুয়ারর্ড ইনফেকশন এড়াতে ও সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিত। গতকাল শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল বলে তারা সিঙ্গাপুরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

তারা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম অর্থাৎ ইলেকট্রোরাল ইমব্যালান্স হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্রুত স্থানান্তরই শ্রেয়।’

রোববার (৩ মার্চ) সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিএসএমএমইউর আইসিইউতে ভর্তির পর ওবায়দুল কাদেরের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। আইসিইউতে চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তার এনজিওগ্রাম করে হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এসময় একটি রক্তনালীতে রিং (স্ট্যান্টিং) বসানো হয়। এরপর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।