ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

মো : ফরহাদ ( ফখরুল) :

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে ফ্রিডমপার্টির কো-অর্ডিনেটর উল্লেখ করে সংবাদপত্রে অভিমত প্রকাশ ও মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রয়াতের স্ত্রী কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সখিনা আলম। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ইং সোমবার দুপুরে চান্দিনা উপজেলার সংবাদপত্র অফিসে ওই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী সখিনা আলম ওই মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিমত সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আলমকে দায়ী করে লিখিত বক্তব্যবে জানান, “গত ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ১২নং পৃষ্ঠায় ‘কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ প্রস্তাবিত কমিটিতে ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আলম আমার স্বামী মরহুম কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে ফ্রিডম পার্টির কো-অর্ডিনেটর ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তিনি আরও জানান- “প্রকৃত পক্ষে আমার স্বামী ছাত্র রাজনীতি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ সংগঠন করার পর ১৯৮৭ সালে চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমৃত্যু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৯৭ সালে চান্দিনা পৌরসভার প্রথম পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে পৌর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। আমার বড় ছেলে কাজী গোলাম দস্তগীর পাপন ২০১৩সাল থেকে ২০১৯সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আমার দেবর বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলম মোস্তফা ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আমার ভাতিজা কাজী ইয়াসিন আহমেদ অভি উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করছেন।”

কাজী সখিনা আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- আমাদের পরিবারের প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আলম সাংবাদিকের মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে ১৯৮৮ইং চান্দিনাতে ফ্রিডম পার্টি আভির্ভাব হওয়ার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ এর পিতা এডভোকেট শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকা সত্বেও ফ্রিডম পার্টির লিগ্যাল এডভাইজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের কারনে আমি আমার পরিবারের সাথে পরামর্শ করে মানহানির মামলা করা সিদ্ধান্ত নিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী গোলাম দস্তগীর পাপন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সদস্য কাউন্সিলর দৌলতুর রহমান, রফিকুল ইসলাম লবু, উপজেলা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক কমিটি সদস্য কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম ০৩:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

মো : ফরহাদ ( ফখরুল) :

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে ফ্রিডমপার্টির কো-অর্ডিনেটর উল্লেখ করে সংবাদপত্রে অভিমত প্রকাশ ও মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রয়াতের স্ত্রী কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সখিনা আলম। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ইং সোমবার দুপুরে চান্দিনা উপজেলার সংবাদপত্র অফিসে ওই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী সখিনা আলম ওই মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিমত সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আলমকে দায়ী করে লিখিত বক্তব্যবে জানান, “গত ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ১২নং পৃষ্ঠায় ‘কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ প্রস্তাবিত কমিটিতে ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আলম আমার স্বামী মরহুম কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে ফ্রিডম পার্টির কো-অর্ডিনেটর ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তিনি আরও জানান- “প্রকৃত পক্ষে আমার স্বামী ছাত্র রাজনীতি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ সংগঠন করার পর ১৯৮৭ সালে চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমৃত্যু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৯৭ সালে চান্দিনা পৌরসভার প্রথম পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে পৌর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। আমার বড় ছেলে কাজী গোলাম দস্তগীর পাপন ২০১৩সাল থেকে ২০১৯সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আমার দেবর বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলম মোস্তফা ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আমার ভাতিজা কাজী ইয়াসিন আহমেদ অভি উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করছেন।”

কাজী সখিনা আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- আমাদের পরিবারের প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আলম সাংবাদিকের মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে ১৯৮৮ইং চান্দিনাতে ফ্রিডম পার্টি আভির্ভাব হওয়ার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ এর পিতা এডভোকেট শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকা সত্বেও ফ্রিডম পার্টির লিগ্যাল এডভাইজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের কারনে আমি আমার পরিবারের সাথে পরামর্শ করে মানহানির মামলা করা সিদ্ধান্ত নিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী গোলাম দস্তগীর পাপন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সদস্য কাউন্সিলর দৌলতুর রহমান, রফিকুল ইসলাম লবু, উপজেলা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক কমিটি সদস্য কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।