ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

করোনায় ২১-৩০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত

দেশে বর্তমানে এক হাজার ৮৩৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১-৩০ বছর বয়সীরা সংক্রমিত হয়েছেন। যা কিনা মোট আক্রান্তের ২১ শতাংশ। আর মোট আক্রান্তের ১৯ ভাগ ৩১-৪০ বছর বয়সীরা। এরপর রয়েছেন ৪১-৫০ বছরের মানুষ। শতকরার হিসাবে যা ১৫ শতাংশ।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

অনলাইন বুলেটিনে আরও যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. সেব্রিনা বলেন,  ‘রোগীদের বয়সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২১-৫০ বছরের মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। আবার নারী-পুরুষ সংক্রমণের হার বিভাজনে দেখা গেছে শতকরা ৬৮ শতাংশ পুরুষ আর ৬২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৪৬ ভাগ রোগী ঢাকা শহরে। এরপর নারায়ণগঞ্জে শতকরা ২০ ভাগ এবং তারপর নতুন করে অনেক এলাকাতে নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাচ্ছি। তার মধ্যে রয়েছে গাজীপুর, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জেও নতুন করে রোগী দেখা যাচ্ছে। আবার ঢাকা শহরের মধ্যে সংক্রমিত রোগীর মধ্যে বেশি রয়েছে। এরমধ্যে মিরপুরে সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমরা দেখেছি টোলারবাগে সংক্রমণ বেশি ছিল, এখন মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল এবং টোলারবাগ-পুরোটা এলাকা জুড়েই।  এটা শতকরা হিসাবে যদি বলি, শতকরা ১১ ভাগ। এরপরে রয়েছে মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে রয়েছে শতকরা চার ভাগের মতো সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারপর রয়েছে উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে শতকরা তিন ভাগ।

তিনি বলেন, সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩২ ভাগের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। তবে এখানে আমি একটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে চাই। তা হলো এই ৩২ ভাগেরও অনেকের হাসপাতালে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তাদেরকে বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে যেতে হয়। তারমধ্যে একটি হচ্ছে, সামাজিকভাবে তাদের ওপর চাপ ছিল। তারা যেন বাড়িতে না থেকে হাসপাতালে যান।

ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘আমি এখানে বলতে চাই, একজন রোগী যদি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন, সারা বিশ্ব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাদের উৎসাহিত করেছে। তবে সেক্ষেত্রে রোগী হোম আইসোলেশনে থাকবেন স্ট্রিক্টলি। একটি ঘরের ভেতরে থাকবেন এবং তারসঙ্গে যেন অন্য কারও মেলামেশা না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আর এটা করা গেলে রোগীর জন্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যও একটি ভালো পদক্ষেপ। আমরা যদি যাদের হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই, যাদের মৃদু লক্ষণ উপসর্গ রয়েছে কিংবা খুবই কম তাদেরকে হাসপাতালে পাঠালে হাসপাতালের ওপরও চাপ পড়ে। তাই যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে কল করলে সেখান থেকেই চিকিৎসা সর্ম্পকিত প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।’

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরের চিকিৎসকরাও রোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

করোনায় ২১-৩০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত

আপডেট টাইম ০৫:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

দেশে বর্তমানে এক হাজার ৮৩৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১-৩০ বছর বয়সীরা সংক্রমিত হয়েছেন। যা কিনা মোট আক্রান্তের ২১ শতাংশ। আর মোট আক্রান্তের ১৯ ভাগ ৩১-৪০ বছর বয়সীরা। এরপর রয়েছেন ৪১-৫০ বছরের মানুষ। শতকরার হিসাবে যা ১৫ শতাংশ।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

অনলাইন বুলেটিনে আরও যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. সেব্রিনা বলেন,  ‘রোগীদের বয়সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২১-৫০ বছরের মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। আবার নারী-পুরুষ সংক্রমণের হার বিভাজনে দেখা গেছে শতকরা ৬৮ শতাংশ পুরুষ আর ৬২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৪৬ ভাগ রোগী ঢাকা শহরে। এরপর নারায়ণগঞ্জে শতকরা ২০ ভাগ এবং তারপর নতুন করে অনেক এলাকাতে নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাচ্ছি। তার মধ্যে রয়েছে গাজীপুর, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জেও নতুন করে রোগী দেখা যাচ্ছে। আবার ঢাকা শহরের মধ্যে সংক্রমিত রোগীর মধ্যে বেশি রয়েছে। এরমধ্যে মিরপুরে সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমরা দেখেছি টোলারবাগে সংক্রমণ বেশি ছিল, এখন মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল এবং টোলারবাগ-পুরোটা এলাকা জুড়েই।  এটা শতকরা হিসাবে যদি বলি, শতকরা ১১ ভাগ। এরপরে রয়েছে মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে রয়েছে শতকরা চার ভাগের মতো সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারপর রয়েছে উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে শতকরা তিন ভাগ।

তিনি বলেন, সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩২ ভাগের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। তবে এখানে আমি একটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে চাই। তা হলো এই ৩২ ভাগেরও অনেকের হাসপাতালে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তাদেরকে বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে যেতে হয়। তারমধ্যে একটি হচ্ছে, সামাজিকভাবে তাদের ওপর চাপ ছিল। তারা যেন বাড়িতে না থেকে হাসপাতালে যান।

ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘আমি এখানে বলতে চাই, একজন রোগী যদি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন, সারা বিশ্ব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাদের উৎসাহিত করেছে। তবে সেক্ষেত্রে রোগী হোম আইসোলেশনে থাকবেন স্ট্রিক্টলি। একটি ঘরের ভেতরে থাকবেন এবং তারসঙ্গে যেন অন্য কারও মেলামেশা না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আর এটা করা গেলে রোগীর জন্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যও একটি ভালো পদক্ষেপ। আমরা যদি যাদের হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই, যাদের মৃদু লক্ষণ উপসর্গ রয়েছে কিংবা খুবই কম তাদেরকে হাসপাতালে পাঠালে হাসপাতালের ওপরও চাপ পড়ে। তাই যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে কল করলে সেখান থেকেই চিকিৎসা সর্ম্পকিত প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।’

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরের চিকিৎসকরাও রোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি।