ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

করোনাকে কেন্দ্র করে বাবার সাথে মেয়ের প্রতারনা।

 

মোঃ বাহার উদ্দিন
  আলহাজ্ব বাচ্চু হাওলাদার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পারি জমান বিদেশে। দীর্ঘ দিন প্রবাসে থেকে ২০০৪ এ তিনি প্রবাস ত্যাগ করেন। জমানো অর্থ দিয়ে নারায়গঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার জালকুড়ি দেলপাড়াতে নিজের একটি বাড়ি তৈরি করেন। স্ত্রি ও ৫ সন্তান দের মধ্যে বড় মেয়ে সাজেদা আনোয়ার, মেঝো মেয়ে (প্রতারক) সানজিদা রহমান রিনা, সেজো মেয়ে শরিফা আক্তার রুপা, ছোট মেয়ে কানিজ ফাতেমা ও ছোট একমাত্র ছেলে মুসা মাহফুজ জিদান কে নিয়ে তার সংসার ছিলো। বড় দুই মেয়ের ২০০৩ এ এবং ছোট মেয়ে কানিজ ফাতেমার বিয়ে হয় ২০১৩ তে। ২০১৩ নভেম্বর ২ তারিখে স্ত্রি মারা যাওয়ার পর সেঝো মেয়ে ও এক মাত্র ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন।  বাচ্চু হাওলাদারের সেঝো মেয়ের কর্পোরেট চাকরি হওয়ায় বাবার সাথে দুরত্ত বারে। এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি প্রতারক রিনার সামি মিজানুর রহমান সুমন। ২০০৩ এ সানজিদা রহমান কে বিয়ে করেন তিনি। দীর্ঘ দিনের সংসার হলেও তেমন কোন চাকরি বা ব্যাবসা করতেন না। নিজের মা বোন অথবা শশুর বাড়ির সাহায্য দিয়েই তার সংসার চলতো। অসহায় বাচ্চু হাওলাদার যখন স্ত্রি হারানোর শোকে মানসিক ভেঙে পরেন তখন রিনা ও তার সামি তাকে ওন্য সন্তানদের নামে ভুল ও বাজে মন্তব্য করে সন্তানদের প্রতি বাবকে বিশিয়ে তোলেন। রিনা ও তার সামি মিজানুর রহমান সুমন বেকার থাকায় তারা ৭ লক্ষ টাকা ঋন  হয়। এই টাকাকে কেন্দ্র করেই রিনা তার বাবাকে সুমনের পরামর্শে বাড়ি বিক্রির জন্য চাপ দেয়। এরই মধ্যে এলাকার মেম্বার ও গুনিমানি লোকজন নিয়ে রিনা ও তার সামি এবং তাদের ২ সন্তান নিয়ে বাবাকে দেখভাল করবে বলে বাবার বাড়িতে উঠে। ছোট ভাই জিদান ও কানিজ ফাতেমা রুপা কে বাড়ি ছাড়াও করেন। ছোট দুই ভাই বোন আশ্রয় নেয় বড় বোন সাজেদা আনোয়ারের কাছে।
  এদিকে বাবাকে বাড়ি বিক্রির চাপ দিয়ে সফল হয় রিনা ও তার সামি।  ৪৪ লক্ষ টাকায় বাড়ি বিক্রি করে অন্য সন্তানদের ছেড়ে চলে যান বাচ্চু হাওলাদার।  রিনাকে নিয়ে চলে যায় ভাড়া বাড়িতে।  রিনার ব্যক্তিগত ৭ লক্ষ টাকা ঋন পরিশোধ করেন তিনি।  ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে থান কাপড়ের দোকান দেন বাচ্চু হাওলাদার। দোকান ও টাকা বাচ্চু হাওলাদারের হলেও দোকানের প্রোপাইটর ও লাইসেন্স থাকে সানজিদা রহমানের নামে জা বচ্চু হাওলাদার যানেন না। বাস্তব সমিতেতে বাবার নামে টাকা রাখবে বলে ৫ লক্ষ টাকা নেন রিনা। যে বাড়িতে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির বাড়িওয়ালাকে দেয় ৭ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে। পরবর্তীতে বাস্তব সমিতি ও বাড়িওয়ালার কাছ থেকে টাকা ফেরত নেয় রিনা জা বাচ্চু হাওলাদার জানেনা।  এবং বাকি যে টাকা ব্যাংকে জমা থাকে তা করোনার অজুহাত দেখিয়ে ঘর থেকে বের হতে না দিয়ে ও তার সিম কার্ড বন্ধ করে ব্যাংক কার্ড চুরি করে টাকা তুলে নেয় রিনা ও তার সামি। এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় টাকা তুলতে যায় বাচ্চু হাওলাদার।
  যখন বারবার চেষ্টা করার পরে তার কার্ডের নাম্বার ভুল আসছিলো তখন সে কার্ডটি নিয়ে ব্যাংকে যায়  ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে জানায় এই কার্ডটি সানজিদা রহমান রিনার নামে। তাহলে বাচ্চু হাওলাদারের কার্ড টি গেলো কোথায়? এখানেই প্রশ্ন রয়ে যায়। সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরে শুরু করে বাচ্চু হাওলাদারের সাথে খারাপ ব্যাবহার।  টাকা গুলো গেলো কোথায় জানতে চাইলে রিনা ও তার সামি বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও অত্যাচার শুরু করে। দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে কোন পথ না দেখে এক কাপড়ে চলে আসেন বাচ্চু হাওলাদার  তার সেই সন্তানদের কাছে যাদের তিনি রিনা ও সুমনের পরামর্শে ফেলে চলে গিয়েছিলেন। অসহায় বাবাকে ফেলেনি তার চার সন্তান।
৪২ বছরের সংসার জীবনের স্ত্রির স্রিতি জড়ানো আসবাবপত্র  গুলো চেয়ে পাননি তিনি।  অসহায় বাচ্চু শেষ বয়সে সর্বশান্ত। নিজের মেয়েকে বিসশাস করে আজ তার এই পরিনতি। বাবা মা যদি সন্তানকে বিসশাস করে সর্বশান্ত হয় তাহলে পৃথিবিতে বিসশাসের মরজাদা কোথায়। অসহায় এই বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার কাছে নিজের সংসার জীবনের আসবাবপত্র ও নিজের বাড়ি বিক্রির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছে যেনো শেষ বয়সে তিনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

করোনাকে কেন্দ্র করে বাবার সাথে মেয়ের প্রতারনা।

আপডেট টাইম ১১:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

 

মোঃ বাহার উদ্দিন
  আলহাজ্ব বাচ্চু হাওলাদার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পারি জমান বিদেশে। দীর্ঘ দিন প্রবাসে থেকে ২০০৪ এ তিনি প্রবাস ত্যাগ করেন। জমানো অর্থ দিয়ে নারায়গঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার জালকুড়ি দেলপাড়াতে নিজের একটি বাড়ি তৈরি করেন। স্ত্রি ও ৫ সন্তান দের মধ্যে বড় মেয়ে সাজেদা আনোয়ার, মেঝো মেয়ে (প্রতারক) সানজিদা রহমান রিনা, সেজো মেয়ে শরিফা আক্তার রুপা, ছোট মেয়ে কানিজ ফাতেমা ও ছোট একমাত্র ছেলে মুসা মাহফুজ জিদান কে নিয়ে তার সংসার ছিলো। বড় দুই মেয়ের ২০০৩ এ এবং ছোট মেয়ে কানিজ ফাতেমার বিয়ে হয় ২০১৩ তে। ২০১৩ নভেম্বর ২ তারিখে স্ত্রি মারা যাওয়ার পর সেঝো মেয়ে ও এক মাত্র ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন।  বাচ্চু হাওলাদারের সেঝো মেয়ের কর্পোরেট চাকরি হওয়ায় বাবার সাথে দুরত্ত বারে। এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি প্রতারক রিনার সামি মিজানুর রহমান সুমন। ২০০৩ এ সানজিদা রহমান কে বিয়ে করেন তিনি। দীর্ঘ দিনের সংসার হলেও তেমন কোন চাকরি বা ব্যাবসা করতেন না। নিজের মা বোন অথবা শশুর বাড়ির সাহায্য দিয়েই তার সংসার চলতো। অসহায় বাচ্চু হাওলাদার যখন স্ত্রি হারানোর শোকে মানসিক ভেঙে পরেন তখন রিনা ও তার সামি তাকে ওন্য সন্তানদের নামে ভুল ও বাজে মন্তব্য করে সন্তানদের প্রতি বাবকে বিশিয়ে তোলেন। রিনা ও তার সামি মিজানুর রহমান সুমন বেকার থাকায় তারা ৭ লক্ষ টাকা ঋন  হয়। এই টাকাকে কেন্দ্র করেই রিনা তার বাবাকে সুমনের পরামর্শে বাড়ি বিক্রির জন্য চাপ দেয়। এরই মধ্যে এলাকার মেম্বার ও গুনিমানি লোকজন নিয়ে রিনা ও তার সামি এবং তাদের ২ সন্তান নিয়ে বাবাকে দেখভাল করবে বলে বাবার বাড়িতে উঠে। ছোট ভাই জিদান ও কানিজ ফাতেমা রুপা কে বাড়ি ছাড়াও করেন। ছোট দুই ভাই বোন আশ্রয় নেয় বড় বোন সাজেদা আনোয়ারের কাছে।
  এদিকে বাবাকে বাড়ি বিক্রির চাপ দিয়ে সফল হয় রিনা ও তার সামি।  ৪৪ লক্ষ টাকায় বাড়ি বিক্রি করে অন্য সন্তানদের ছেড়ে চলে যান বাচ্চু হাওলাদার।  রিনাকে নিয়ে চলে যায় ভাড়া বাড়িতে।  রিনার ব্যক্তিগত ৭ লক্ষ টাকা ঋন পরিশোধ করেন তিনি।  ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে থান কাপড়ের দোকান দেন বাচ্চু হাওলাদার। দোকান ও টাকা বাচ্চু হাওলাদারের হলেও দোকানের প্রোপাইটর ও লাইসেন্স থাকে সানজিদা রহমানের নামে জা বচ্চু হাওলাদার যানেন না। বাস্তব সমিতেতে বাবার নামে টাকা রাখবে বলে ৫ লক্ষ টাকা নেন রিনা। যে বাড়িতে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির বাড়িওয়ালাকে দেয় ৭ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে। পরবর্তীতে বাস্তব সমিতি ও বাড়িওয়ালার কাছ থেকে টাকা ফেরত নেয় রিনা জা বাচ্চু হাওলাদার জানেনা।  এবং বাকি যে টাকা ব্যাংকে জমা থাকে তা করোনার অজুহাত দেখিয়ে ঘর থেকে বের হতে না দিয়ে ও তার সিম কার্ড বন্ধ করে ব্যাংক কার্ড চুরি করে টাকা তুলে নেয় রিনা ও তার সামি। এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় টাকা তুলতে যায় বাচ্চু হাওলাদার।
  যখন বারবার চেষ্টা করার পরে তার কার্ডের নাম্বার ভুল আসছিলো তখন সে কার্ডটি নিয়ে ব্যাংকে যায়  ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে জানায় এই কার্ডটি সানজিদা রহমান রিনার নামে। তাহলে বাচ্চু হাওলাদারের কার্ড টি গেলো কোথায়? এখানেই প্রশ্ন রয়ে যায়। সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরে শুরু করে বাচ্চু হাওলাদারের সাথে খারাপ ব্যাবহার।  টাকা গুলো গেলো কোথায় জানতে চাইলে রিনা ও তার সামি বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও অত্যাচার শুরু করে। দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে কোন পথ না দেখে এক কাপড়ে চলে আসেন বাচ্চু হাওলাদার  তার সেই সন্তানদের কাছে যাদের তিনি রিনা ও সুমনের পরামর্শে ফেলে চলে গিয়েছিলেন। অসহায় বাবাকে ফেলেনি তার চার সন্তান।
৪২ বছরের সংসার জীবনের স্ত্রির স্রিতি জড়ানো আসবাবপত্র  গুলো চেয়ে পাননি তিনি।  অসহায় বাচ্চু শেষ বয়সে সর্বশান্ত। নিজের মেয়েকে বিসশাস করে আজ তার এই পরিনতি। বাবা মা যদি সন্তানকে বিসশাস করে সর্বশান্ত হয় তাহলে পৃথিবিতে বিসশাসের মরজাদা কোথায়। অসহায় এই বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার কাছে নিজের সংসার জীবনের আসবাবপত্র ও নিজের বাড়ি বিক্রির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছে যেনো শেষ বয়সে তিনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।